ধলাকোমর শ্যামা | |
---|---|
পুরুষ | |
স্ত্রী | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Passeriformes |
পরিবার: | Muscicapidae |
গণ: | Copsychus |
প্রজাতি: | C. malabaricus |
দ্বিপদী নাম | |
Copsychus malabaricus (Scopoli, 1788) | |
প্রতিশব্দ | |
Muscicapa malabarica |
ধলাকোমর শ্যামা (বৈজ্ঞানিক নাম: Copsychus malabaricus) বা শামা Muscicapidae (মাসসিকাপিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Copsychus (কপ্সিকাস) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির গানের পাখি।[২][৩] পূর্বে এদেরকে দামাজাতীয় পাখিদের গোত্র টুর্ডিডি-এর অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হত। পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। ধলাকোমর শ্যামার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ মালাবারের কালো পাখি (গ্রিক: kopsukhos = কালো পাখি/দামা; লাতিন: malabaricus = মালাবার, ভারত)।[৩] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত।[৪] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩]
ধলাকোমর শ্যামার আদি আবাস দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। এছাড়া ১৯৩১ ও ১৯৪০ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দুইটি দ্বীপে এদের অবমুক্ত করা হয়।[৫] পোষা পাখি হিসেবে এদের বেশ ভাল জনপ্রিয়তা থাকায় বহু দেশে এদেরকে পোষা হয়। এসব দেশে খাচা থেকে পালিয়ে যাওয়া পাখিরা ক্রমে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। তাইওয়ানে এভাবে অবমুক্ত শ্যামা পাখি স্থানীয় কীটপতঙ্গ খেয়ে এবং স্থানীয় পাখি প্রজাতিকে আক্রমণ করার মাধ্যমে অধিক্রমী প্রজাতি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।[৬]
এশিয়ায় ঘন ঝোপঝাড় ও বাঁশবনে এদের বেশি দেখা যায়।[৭] হাওয়াইয়ের বিভিন্ন উপত্যকায় এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং ছোট ঝোপ বা মিশ্র প্রশস্তপর্ণী বনে এরা বাসা বানায়।[৫]