ধিমাল হিমালয়ের পাদদেশের তরাই অঞ্চলে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র জন-গোষ্ঠী। ধিমাল জন-গোষ্ঠীর মানুষেরা প্রধানত নেপালের মোরাঙ্গ ও ঝাপা জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় বসবাস করেন। সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন ধিমাল একটি হারিয়ে যাওয়া জন-গোষ্ঠী।[১]
উনিশ শতকে, ঔপনিবেশিক ভারতের নৃবিজ্ঞান- সমীক্ষকেরা ধিমালকে একটি অনার্য জনজাতি হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন। বর্তমানে ধিমালদের কিরাত জন গোষ্ঠীর একটি শাখা বলে মনে করা হয় । এঁদের সম্বন্ধে সেরকম কোনো গবেষণা হয়নি। হজসন, হান্টার, গেইট প্রমুখ ইংরেজ লেখক গণ এঁদের সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন মাত্র । গেইট এর মতে, ধিমলেরা রাজবংশী সম্প্রদায় ভুক্ত ব্যতীত অন্য কিছু নয় । কতিপয় ঐতিহাসিকের অনুমান, ধীনালদের আদি নিবাস উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে। তাঁদের মতে, 'ধিমাল' শব্দটি 'হিমাল' শব্দেরই অপভ্রংশ। ঠিক কোন সময় থেকে উত্তরবঙ্গের ও নেপালের তরাই অঞ্চলে ধিমলেরা বসবাস করছে, তা অনুমান সাপেক্ষ । ধিমালদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে । তবে, ধিমালদের ভাষা, মুখাবয়ব, ও দেহের আকৃতি দেখে এঁদের লিম্বু জনজাতির একটি ঘনিষ্ঠ শাখা বলে মনে করা যেতে পারে।
তরাই এর ধিমলেরা নিজেদেরকে রাই, লিম্বু, কোচ জাতির ঘনিষ্ঠ বলে মনে করেন । প্রথাগত ভাবে, ধিমলেরা প্রকৃতির উপাসক ধিমালদের উপাসনায়, কোনো মন্দির বা মূর্তি নেই. হজসন সাহেব, ধিমালদের ধর্মকে এক নিরাকার প্রাকৃতিক ধর্ম বলে উল্লেখ করেছিলেন ।[২]
২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, নেপালে ১৯,৫৩৭ জন ধিমাল বাস করেন। নেপালের ঝাপা ও মোরাঙ্গ জেলার মোট ৭৫ টি গ্রামে ধিমাল জাতির মানুষ বাস করেন। ২০০১ সালে, ভারতের জনগণনায় মাত্র ৯৮১ জন ধিমাল ভাষী মানুষ পাওয়া গেছে । দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ী ও হাতীঘিসা অঞ্চলের ১৬টি গ্রামে এঁদের বাস।
ধিমালেরা মূলত কৃষক। পূর্বে, তাঁরা ঝুম চাষ করতেন। জঙ্গল কেটে বা পুড়িয়ে পরিষ্কার করে কোদালের সাহায্যে খাদ্য শস্য উৎপাদন করার এই প্রদ্ধতি এখন পুরোপুরি লুপ্ত। ধিমালদের প্রধান খাদ্য ভাত, পশু পাখির মাংস ও মাছ ।[৩]
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গে, ধিমালদের ও.বি.সি (অন্যান্য পিছিয়েপড়া জাতি) তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |