নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() | |||||||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | জনসাধারন | ||||||||||||||
পরিচালক | মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এমআইএএল) | ||||||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | নবি মুম্বই | ||||||||||||||
অবস্থান | উলয়ে, নবি মুম্বই, রায়গড়, মহারাষ্ট্র, ভারত | ||||||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১৮°৫৯′৪০″ উত্তর ০৭৩°০৪′১৩″ পূর্ব / ১৮.৯৯৪৪৪° উত্তর ৭৩.০৭০২৮° পূর্ব | ||||||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||||||
| |||||||||||||||
সিআইডিসিও | |||||||||||||||
সূত্র: সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিআইডিসিও)[১] |
নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের অঙ্গ রাজ্য মহারাষ্ট্রের উলয়ে কোপার-পেনভেলে একটি নির্মাণাধীন গ্রীনফিল্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি মুম্বই মেট্রোপলিটান অঞ্চলের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (সিএসিয়া) পাশাপাশি কাজ করবে এবং ভারতের প্রথম শহুরে বহু-বিমানবন্দর ব্যবস্থা তৈরি করবে।[২] মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এমআইএল) কর্তৃক ₹১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি কার্যকর করা হবে, যার চুক্তি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্থাটি জিতেছে।[৩] এটি এমএলএল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) এবং জিভি কে ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একটি যৌথ উদ্যোগ।[৪] সিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (সিডকো) প্রকল্পটির প্রধান সংস্থা, তারা নকশা, নির্মাণ, অর্থ, পরিচালনা এবং পরিবর্তন (ডিবিএফোট) ভিত্তিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টিশন (পিপিপি) মাধ্যমে তৈরি করাবে। এএআই এবং সিআইডিসিও- এর কাছে ১৩% শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। এছাড়া এই বিমানবন্দরে এমআইএএল ৭৪% ইক্যুইটির মালিক হবে।
এই বিমানবন্দর তৈরি হলে , সিএসআইএ এর উড়ান সংখ্যা হ্রাসের সম্ভাবনা এবং জমি অধিগ্রহণের বিরোধের কারণে বিমানবন্দর প্রকল্পে বিলম্বিত হয়েছে।[৫] বিমানবন্দর প্রকল্পটি পাঁচটি গ্রাম ও প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের (পিএপি) ২৩২০ হেক্টর (৯.০ বর্গ মাইল) জমি জুড়ে বিস্তৃত। ১৩ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে জিভিকে বিমানবন্দর নির্মাণ এবং পরিচালনার দায়িত্ব পায়। সিআইডিসিও দ্বারা বিমানবন্দরের প্রাক-উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার পর, পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ শুরু হয় এবং ২০২০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপকূলীয় ভূমিতে ২,৯০০ হেক্টর (৭,২০০ একর) জমির মধ্যে মূল বিমানবন্দর কার্যক্রমের জন্য ১,৩২০ (৩,৩০০ একর) হেক্টর জমিতে ও ২৪৫ হেক্টর (৬১০ একর) জমি ওয়াগাওয়ালি দ্বীপে ম্যানগ্রভ উদ্যান হিসাবে বিকশিত করা হবে এবং ৩,৮০০ মিটার দুটি সমান্তরাল রানওয়ে থাকবে বিমানবন্দরে।[১] এটি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার (২২ মাইল) দূরে পানভেলের কাছে জাতীয় সড়ক ৪বি -এর পাশে অবস্থিত।
বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২,৫০,০০০ বর্গ মিটার (২৭০,০০০ বর্গ ফুট) আয়োতনের এবং ১০০,০০০ বর্গ মিটার (১,১০০,০০০ বর্গ ফুট) আয়োতনের একটি পণ্য এলাকা থাকবে। বিমানবন্দরটি বছরে ৫০-৫৫ মিলিয়ন যাত্রীকে পরিচালনা করবে।[৬] বিমানবন্দরটি ৯.৫ বর্গ কিলোমিটার (৩.৭ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
সিআইডিসিও অনুযায়ী, নতুন বিমানবন্দরটি ২০২০ সাল নাগাদ ৩৫ মিলিয়ন যাত্রী, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৫ মিলিয়ন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করবে।[৭]
বিমানবন্দরটিতে ৩,৮১০ মি × ৬০ মিটার (১২,৫০০ ফুট × ২০০ ফুট) পরিমাপের দুটি সমান্তরাল রানওয়ে থাকবে এবং রানওয়ে দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে ১,৫৫০ মিটার (৫,০৯০ ফুট) দূরত্ব (আইসিএও সর্বনিম্ন প্রয়োজন দূরত্ব হল ১,০৯০ মিটার বা ৩,৫৮০ ফুট)। রানওয়ে ট্যাক্সিওয়ে দ্বারা অ্যাপ্রণের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। কোড ৪-এফ বিশিষ্ট বিমানবন্দরটি এয়ারবাস এ৩৮০ এবং বোয়িং ৭৪৭-৮ মত নতুন প্রজন্মের বিমানের অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে সক্ষম হবে।