নবেন্দু ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ঢাকা, ব্রিটিশ ভারতের শাসনামলে (বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানীতে) | ২৭ মার্চ ১৯১৭
মৃত্যু | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৭ কলকাতা | (বয়স ৯০)
জাতীয়তা | ভারত |
অন্যান্য নাম | মুকুল; নবেন্দু ভূষণ ঘোষ |
পেশা | গ্রন্থাগার, চলচ্চিত্র নাট্যকার |
নবেন্দু ঘোষ (২৭ মার্চ, ১৯১৭ - ১৫ ডিসেম্বর ২০০৭) বাংলা সাহিত্যে একজন ভারতীয় লেখক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি ধ্রুপদী বলিউডের চলচ্চিত্রগুলি যেমন সুজাতা, বন্দিনী, দেবদাস, মাঝলি দিদি, অভিমান এবং তিসরী কসম (৩টি দিব্যি) এর মত চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখেন। তিনি বাপ বেটি, শতরঞ্জি এবং রাজাজানির মত চলচ্চিত্রের জন্য গল্প লিখেছেন। তিনি দো বিঘা জমিন, তিসরী কসম ও লুকোচুরিতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে তার কর্মজীবনে তিনি চারটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
নবেন্দু ঘোষ ১৯১৭ সালের ২৭ মার্চ ঢাকাতে (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। ১২ বছর বয়সেই তিনি জনপ্রিয় মঞ্চাভিনেতা হয়ে যান। ইংরাজী সাহিত্যে তিনি এম.এ পাশ করেন। [১] তিনি উদয়শঙ্কর শৈলীতে প্রশংসিত নৃত্য করার মাধ্যমে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পদক জিতে নেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর জন্য "ডাক দিয়ে যাই" নামক ভারত ছাড় আন্দোলন এর পক্ষে উপন্যাস লেখেন। এ উপন্যাসটি তাঁকে খ্যাতি এনে দিয়েছিল, কিন্তু উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিল। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতায় স্থানান্তরিত হন এবং রাজদ্রোহমূলক রচনার অপরাধে সরকারি চাকরিটি খুইয়েছিলেন। [২] তিনি খুব দ্রুতই বাংলা সাহিত্যের প্রগতিশীল তরুণ লেখকদের মধ্যে স্থান লাভ করেন।
তিনি ১৫ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মারা যান। তার দুই পুত্র ও এক কন্যা আছে। তারা হলেন ড দীপঙ্কর এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা শুভঙ্কর, এবং কন্যা রত্নোত্তমা সেনগুপ্ত (চলচ্চিত্র উৎসব কারিকর, লেখক, এবং সাবেক দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার চলচ্চিত্র সাংবাদিক)। ১৯৯৯ সালে তার স্ত্রী কনকলতা মারা যান। [৩]
তার আত্মজীবনী, "একা নৌকার যাত্রী" ২০০৮ এর মার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। [৪] তার পুত্রবধূ ড.সোমা ঘোষ একজন প্রশংসিত শাস্ত্রীয় গায়িকা এবং ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন।[৫]
তার জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে, তার বিজ্ঞান কথাসাহিত্য আমি ও আমি (১৯৯৯) ইংরেজিতে অনুবাদ হিসেবে ২৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে প্রকাশ পায়। বইটির ইংরেজিতে নাম ছিল মি এণ্ড আই। এই অনুবাদ নবেন্দু ও তার পৌত্র দেবত্তম সেনগুপ্ত যুগ্মভাবে করেন। [৬]