নাদিম-শ্রাবণ | |
---|---|
![]() | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | নাদিম আখতার সাইফি শ্রাবণ কুমার রাঠোড় |
জন্ম | নাদিম: শ্রাবণ: ১৩ নভেম্বর ১৯৫৪ | ৬ আগস্ট ১৯৫৪
মৃত্যু | শ্রাবণ: ২২ এপ্রিল ২০২১ | (বয়স ৬৬)
ধরন | বলিউডের সঙ্গীত, চলচ্চিত্রের গজল, গজল |
পেশা | সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী, বাদক |
কার্যকাল | ১৯৭৩ – ২০০৫, ২০০৯ |
নাদিম-শ্রাবণ হলেন ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক যুগল। তারা দুজন হলেন নাদিম আখতার সাইফি (জ. ৬ আগস্ট ১৯৫৪) ও শ্রাবণ কুমার রাঠোড় (জ. ১৩ নভেম্বর ১৯৫৪ - ২২ এপ্রিল ২০২১)।[১] তারা মূলত ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পে কাজ করে থাকেন। তারা চারবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দুইবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার ও একবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে জি সিনে পুরস্কার অর্জন করেছেন।
নাদিম-শ্রাবণ যুগল ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর দশকের প্রারম্ভ পর্যন্ত বলিউডে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সর্বাধিক সফলতা অর্জন করেন। তাদের সুরে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রভাব দেখা যায় এবং তারা তাদের সুরারোপিত গানসমূহে বাঁশি, সেতার ও সানাই এই তিনটি বাদ্যযন্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকেন। আধুনিক সময়েও মূল উপযোগ থেকে বিচ্যুত না হয়ে এই বাদ্যযন্ত্রসমূহের ব্যবহারের জন্য ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কয়েকজন উদীয়মান সঙ্গীত পরিচালকদের থেকে তারা নিজেদের পৃথক করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
নাদিম-শ্রাবণ যুগলের প্রথম সাফল্য আসে আশিকি (১৯৯০) চলচ্চিত্রের অ্যালবাম দিয়ে। ভারতে এই অ্যালবামটির ২০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়[২] এবং সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রীত বলিউড চলচ্চিত্রের অ্যালবাম হয়ে ওঠে। এটি প্ল্যানেট বলিউড-এর "১০০ সেরা বলিউড চলচ্চিত্রের সঙ্গীত অ্যালবাম" তালিকায় ৪র্থ স্থান অধিকার করে।[৩] এই চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য তারা তাদের প্রথম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তারা সাজন (১৯৯১), দিওয়ানা (১৯৯২) ও রাজা হিন্দুস্তানী (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে সুর করে আরও তিনবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
তাদের সুরারোপিত পরদেশ (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ধারার গান ছিল; যেমন - দেশপ্রেমমূলক ("আই লাভ মাই ইন্ডিয়া"), প্রণয়মূলক ("মেরি মেহবুবা" ও "দো দিল মিল রাহে হ্যাঁয়"), কাওয়ালি ("নহিঁ হোনা থা"), পপ ("মাই ফার্স্ট ডে ইন আমেরিকা"), বিরহ ("ইয়ে দিল দিওয়ানা")। প্ল্যানেট বলিউড এই অ্যালবামটি সম্পর্কে মন্তব্য করে, "পরদেশ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত নাদিম-শ্রাবণের সর্বকালের সেরা।"[৪] এই চলচ্চিত্রের সুরায়োজনের জন্য তারা শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে স্টার স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেন।
শ্রাবণ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তির পর ২০২১ সালের ২২শে এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।[৫] শ্রাবণ ও তার স্ত্রীয় ২০২১ সালে হরিদ্বারের কুম্ভ মেলায় অংশ নিয়ে মুম্বই ফিরে আসার পর তার মধ্যে কোভিডের উপসর্গ দেখা যায়। তার স্ত্রী ও পুত্রকে শহরের অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৬][৭]
নাদিম-শ্রাবণ তাদের কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।