নার্গিস | |
---|---|
জন্ম | ফাতিমা রশিদ ১ জুন ১৯২৯ |
মৃত্যু | ৩ মে ১৯৮১ | (বয়স ৫১)
মৃত্যুর কারণ | অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার |
সমাধি | বড়কবরস্থান, মেরিন লাইনস, বোম্বে |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৫–১৯৩৬ ১৯৪২–১৯৬৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুনীল দত্ত (বি. ১৯৫৮; মৃ. ১৯৮১) |
সন্তান | সঞ্জয় দত্ত প্রিয়া দত্ত নম্রতা দত্ত |
পিতা-মাতা | আবদুল রশিদ (পিতা) জদ্দানবাই (মাতা)[২] |
আত্মীয় | দেখুন দত্ত পরিবার |
পুরস্কার | |
সম্মাননা | পদ্মশ্রী (১৯৫৮) |
নার্গিস (জন্ম: ফাতিমা রশিদ; ১ জুন ১৯২৯ - ৩ মে ১৯৮১) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ধ্রুপদী বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সুনীল দত্তের সাথে বিবাহোত্তর তিনি নার্গিস দত্ত নামে পরিচিতি লাভ করেন।[৩] বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে গণ্য নার্গিস ১৯৩৫ সালে পাঁচ বছর বয়সে তালাশ-ই-হক চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আবির্ভূতা হন। ১৯৪২ সালে তামান্না চলচ্চিত্র দিয়ে তার পূর্ণাঙ্গ অভিনয় জীবন শুরু হয়।
নার্গিস ১৯২৯ সালের ১লা জুন ব্রিটিশ ভারত-এর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) কলকাতায় এক পাঞ্জাবি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম ফাতিমা রশিদ। তার পিতা আবদুল রশিদ, যার জন্মনাম মোহনচাঁদ উত্তমচাঁদ ("মোহন বাবু"), রাওয়ালপিণ্ডির এক ধনাঢ্য পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যিনি পরে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।[২][৪][৫][৬] তার মাতা জদ্দানবাই হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম অগ্রদূত। নার্গিসের মায়ের দিক থেকে তার সৎ ভাই আনোয়ার হুসেনও একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
ফাতিমা ১৯৩৫ সালে ছয় বছর বয়সে তালাশে হক চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এতে নাম প্রদর্শিত হয় বেবি নার্গিস। নার্গিস (نرگس [ˈnərɡɪs]) একটি পার্সি শব্দ, যার অর্থ নার্সিসাস, বা ড্যাফোডিল ফুল। এরপর থেকে তার সকল চলচ্চিত্রে তার নাম নার্গিস হিসেবেই প্রদর্শিত হয়।[৭][৮]
১৯৪৯ সালে নার্গিস মেহবুব খান-এর সমাদৃত নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র আন্দাজ-এ অভিনয় করেন। এতে তাকে নীনা চরিত্রে দেখা যায়, যার স্বামী রাজন (রাজ কাপুর) তার বন্ধু দীলিপের (দিলীপ কুমার) সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ধীরগতিতে চলতে শুরু করার পর লোক-মুখে ইতিবাচক প্রচারের পর ব্যবসায়িক সফল্য পায় এবং সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[৯]
১৯৪৯ সালের বরসাত চলচ্চিত্রের রাজ কাপুর এক হাতে নার্গিসকে এবং অন্য হাতে বেহালা ধরার দৃশ্যটির ভিত্তিতে আর. কে. ফিল্মস-এর লোগো নির্ধারণ করা হয়।[১০][১১]
নার্গিসকে নিয়ে একাধিক বই রচিত হয়েছে। তাকে নিয়ে ১৯৯৪ সালে প্রথম বইটি দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব নার্গিস লেখেন টি. জে. এস. জর্জ।[১২] ২০০৭ সালে নার্গিসের দুই কন্যা প্রিয়া ও নম্রতা দত্ত তাদের পিতামাতার জীবনী নিয়ে একটি বই লেখেন, যার নাম মিস্টার অ্যান্ড মিসেস দত্ত: মেমোরিজ অব আওয়ার প্যারেন্টস।[১৩][১৪][১৫] একই বছর কিশওয়ার দেসাই ডার্লিংজী: দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অব নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত প্রকাশ করেন।[১৬][১৭]
২০১৮ সালে তার পুত্র সঞ্জয় দত্তের জীবনীমূলক চলচ্চিত্র সঞ্জু-তে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা তার ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালের সর্বাধিক আয়কারী চলচ্চিত্রের একটি।[১৮][১৯] একই বছর ফেরিনা ওয়াজির মান্টো চলচ্চিত্রে তার ভূমিকায় অভিনয় করেন।[২০][২১]
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিন্দি চলচ্চিত্রে নার্গিস দত্তের অবদানের সম্মানার্থে জাতীয় সংহতি বিষয়ক শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে নার্গিস দত্ত পুরস্কার প্রদান করে।[২২]
তার স্মরণার্থে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে নার্গিস দত্ত রোড।[২৩] ১৯৯৩ সালের ৩০শে ডিসেম্বর নার্গিসের সম্মানার্থে ১০০ পয়সা মূল্যমানের একটি পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়।[২৪] ২০১৫ সালের ১লা জুন নার্গিস দত্তের ৮৬তম জন্মদিনে গুগল তাকে নিয়ে ডুডল প্রকাশ করে।[২৫]
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
১৯৫৮ | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মাদার ইন্ডিয়া | বিজয়ী | [২৬] |
১৯৫৮ | কারলভি ভ্যারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | মাদার ইন্ডিয়া | বিজয়ী | [২৭] |
১৯৬৮ | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রাত অউর দিন | বিজয়ী | [২৮] |
১৯৬৯ | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | রাত অউর দিন | মনোনীত | [২৯] |
২০০০ | হিরো হোন্ডা ও স্টারডাস্ট ম্যাগাজিন | — | "সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ শিল্পী" | অমিতাভ বচ্চনের সাথে যৌথভাবে | [৩০] |
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; TSGBetter18
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি