নুসায়র ইয়াসিন | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ইসরাইল |
অন্যান্য নাম | নাস |
নাগরিকত্ব | ইসরাইল, সেন্ট কিটস ও নেভিস |
শিক্ষা | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ভিডিও ব্লগার |
কর্মজীবন | ২০১৩ - চলমান |
সঙ্গী | অ্যালাইন তামির (২০১৭– বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | https://nasdaily.com |
নুসায়র ইয়াসিন (আরবি: نصير ياسين, ইংরেজি: Nuseir Yassin, হিব্রু ভাষায়: נוסייר יאסין; জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২) একজন আরব-ইসরায়েলি ব্লগার।[১] তিনি তার ফেসবুক, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামে নাস ডেইলি পৃষ্ঠার অধীনে দৈনিক এক মিনিটের ১,০০০টির বেশি ভিডিও তৈরি করার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। তিনি বর্তমানে নাস ডেইলি কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ইয়াসিন ইসরায়েলের আরাবায় মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি নিজেকে ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি হিসেবে পরিচয় দেন। তার বাবা একজন মনোবিদ এবং মা পেশায় শিক্ষিকা; চার সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। [২][৩] তার মাতৃভাষা আরবি, এছাড়াও ইংরেজি ও ভাঙা ভাঙা হিব্রু বলতে পারেন।[৪][৫]যদিও তিনি একজন মুসলিম হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন, তারপর থেকে তিনি মূলত ইসলাম পালন করা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং নিজেকে "অধর্মীয় মুসলিম" হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
উনিশ বছর বয়সে ইয়াসিন বায়বান্তরীক্ষ প্রকৌশলে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেন এবং শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন।[৩] তিনি তার আবেদন রচনায় আরব হিসেবে ইসরায়েলে তার স্বপ্নপূরণের প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।[২] ২০১৪ সালে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়েও পড়াশোনা করেন।[৩][৪] এসময় তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পে-ইট-ফরওয়ার্ড রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস, একটি সামাজিক সাইট এবং সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠা করেন।[৬][৭]
২০১৪ এর সেপ্টেম্বরে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ভেনমোতে কাজ শুরু করেন, ভেনমো পেপ্যালের একটি মোবাইল পেমেন্ট সার্ভিস।[৮]
২০১৬ সালে ইয়াসিন দুনিয়া ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভেনমোতে ইস্তফা দেন।[৩][৮] তার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভিডিও-ডকুমেন্টারি তৈরির ইচ্ছায় তিনি নাস ডেইলি পাতা তৈরি করেন (আরবিতে "নাস" বলতে বোঝায় "জনসাধারণ")। পাতাটির জন্য প্রতিদিন একটি করে ১০০০টি ভিডিও তৈরি করেন।[৩] ২০১৮ এর শুরুতে মার্ক জাগারবার্গের সাথে বৈঠকের পর নাস ডেইলিকে "শো" মর্যাদায় উন্নীত করা হয়।[৯] ২০১৮ এর সেপ্টেম্বরে তার পাতায় অনুসারীর সংখ্যা হয় ৮০ লাখ।[১০]; একই বছরের নভেম্বরে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক কোটিতে।[১১]
তার সব ভিডিও এক মিনিট ব্যাপ্তির এবং তা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। ২০১৭তে ইয়াসিন বলেন যে তিনি ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করেননি; কারন হিসেবে বলেন ফেসবুক অধিক লাভজনক হবার পাশাপাশি মানুষের বেশি কাছে পৌঁছানোর উপায় মনে হয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল নাস ডেইলিতে পুরাতন ভিডিওগুলো আপলোড করতে শুরু করেন। মাইক্রোফোন লাগোয়া একটি এসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়, সম্পাদনের কাজ শেষে পরেরদিন মুক্তি দেওয়া হয়। গড়ে প্রত্যেক ভিডিও ধারণ ও সম্পাদনায় সময় লাগে যথাক্রমে ছ'ঘণ্টা ও তিন ঘণ্টা। ফেসবুক অনুসারীদের পরামর্শানুযায়ী ভিডিওর বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়। "দ্যাট'স ওয়ান মিনিট, সি ইউ টুমরো (আজকে এই একমিনিটই, আবার কাল দেখা হবে)" ট্যাগলাইনে ভিডিও সমাপ্ত হয়।
ইয়াসিনের সহযোগীদের তালিকায় রয়েছে ইসরায়েলি-মার্কিন ভিডিও নির্মাতা (পাশাপাশি প্রেমিকা) অ্যালিন তামির এবং পোল্যান্ডের ভিডিও ব্লগার ও সুরকার অ্যাগন হেয়ার।
অইংরেজিভাষীদের মাঝে ভিডিওগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে হিন্দি, আরবি, মান্দারিন সহ বিভিন্ন ভাষার সাবটাইটেল যুক্ত করা হয়।[১২]