নিকোলাস হল্ট | |
---|---|
জন্ম | নিকোলাস কারাডক হল্ট ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৯ |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৯৬-বর্তমান |
নিকোলাস কারাডক হল্ট (ইংরেজি: Nicholas Caradoc Hoult)[১] (জন্ম ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৯)[২][৩][৪] হলেন একজন ইংরেজি অভিনেতা। তিনি মার্কিন ও ইংরেজ চলচ্চিত্র শিল্পে বিশাল ব্যয়ের মূলধারার চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় থেকে শুরু করে স্বাধীন চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বাফটা পুরস্কার ও ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন। ফোর্বস সাময়িকীর ২০১২ সালের "৩০ অনূর্ধ্ব ৩০" তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
বার্কশায়ারের ওয়াকিংহামে জন্ম নেওয়া হল্ট শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং স্থানীয় মঞ্চ নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে ইন্টিমেট রিলেশন্স চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয় এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তিনি কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ করেন। ২০০২ সালে অ্যাবাউট আ বয় চলচ্চিত্রে মার্কাস ব্রিউয়ার এবং স্কিনস নামক ই৪ টিভি সিরিজে টনি স্টোনেম চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
হল্ট বার্কশায়ারের ওয়ার্কিংহ্যামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পিয়ানো শিক্ষক গ্লেনিস হল্ট (ব্রাউন) ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পাইলট রজার হল্টের চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয়।[১][৫][৬] তার ভাইবোনেদের নাম জেমস, রোজি ও ক্ল্যারিস্টা। অভিনেত্রী ডেম অ্যানা নিজেল তার আত্মীয়া।[৬] তিনি বার্কশায়ারের ব্র্যাকনেলের রেনলাফ চার্চ অফ ইংল্যান্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। দ্বাদশ বর্ষে তিনি স্কুল ছেড়ে অভিনয় কর্মজীবনে মনোনিবেশ করেন।[৭]
তিন বছর বয়সে হল্ট মায়ের সঙ্গে একটি নাটক দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় নাট্যপরিচালক তাকে দেখতে পান এবং নাটকে অভিনয় করার পরামর্শ দেন।[৮] তিনি সিলভিয়া ইয়ং স্টেজ স্কুলে অভিনয় শেখেন। ১৯৯৬ সালে ইন্টিমেট রিলেশনস ছবিতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অভিনয় করেন। এরপর তিনি মূলত টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। পরে অ্যাবাউট আ বয় চলচ্চিত্রে বারো বছর বয়সী মার্কাসের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
সিক্সথ ফর্মে থাকাকালীন তিনি ই৪ ড্রামা স্কিনস-এর প্রথম দুটি সিরিজে টনি স্টোমেনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই চরিত্রে অভিনয় করে হল্ট ওয়াকারস হোম গ্রোন ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।[৯]
২০০৯ সালের অগস্ট মাসে হল্ট "হেল্প গিভ দেম আ ভয়েস" প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেন। এই প্রচার কর্মসূচিকে সাহায্য করার জন্য মুক্তিপ্রাপ্ত একটি শর্ট ফিল্মে তিনি এক কিশোরীর ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন। ২০০৯ সালেই তিনি টম ফোর্ডের চলচ্চিত্র আ সিঙ্গল ম্যান-এ অভিনয় করেন। এই ছবিটি ক্রিস্টোফার ইশারউড রচিত একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়।
২০১০ সালের মার্চ মাসে তিনি দ্য মিডনাইট ব্লাস্টের একটি ভিডিওতে অভিনয় করেন।[১০] ২০১০ সালের ৮ জুলাই, ঘোষণা করা হয় ম্যাথিউ ভন পরিচালিত এক্স-মেন স্পিন-অফ চলচ্চিত্র এক্স-মেন: ফার্স্ট ক্লাস-এ তিনি বিস্ট চরিত্রে অভিনয় করবেন।[১১] এমটিভি নেটওয়ার্কের নেক্সটমুভি ডট কম 'ব্রেকআউট স্টারস টু ওয়াচ ফর ইন ২০১১' তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।[১২]
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জানা গিয়েছে যে হল্টকে জ্যাক দ্য জায়েন্ট কিলার ছবির প্রধান চরিত্রটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।[১৩]
বছর | নাম | ভূমিকা | দ্রষ্টব্য |
---|---|---|---|
১৯৯৬ | ইন্টিমেট রিলেশনস | ববি | |
২০০২ | অ্যাবাউট আ বয় | মার্কাস ব্রিউয়ার | ফিনিক্স ফিল্ম ক্রিটিকস সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ইউথ অ্যাকটর মনোনীত — ব্রডকাস্ট ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ইয়াং পারফরমার |
২০০৫ | ওয়াহ-ওয়াহ | রালফ কম্পটন | |
২০০৬ | দি ওয়েদার ম্যান | মাইক স্প্রিটজেল | |
২০০৬ | কিডাল্টহুড | ব্লেক | |
২০০৯ | আ সিঙ্গল ম্যান | কেনি পটার | |
২০১০ | ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস | ইউসেবায়োস | |
২০১১ | এক্স-মেন: ফার্স্ট ক্লাস | হ্যাঙ্ক ম্যাককয় / বিস্ট | |
২০১১ | স্কিনস[১৪] | টনি স্টোমেন | |
২০১২ | জ্যাক দ্য জায়েন্ট কিলার | জ্যাক |
বছর | নাম | ভূমিকা | দ্রষ্টব্য |
---|---|---|---|
১৯৯৭ | মি. হোয়াইট গোজ টু ওয়েস্টমিনস্টার | জন | টেলিভিশন চলচ্চিত্র |
২০০১ | ওয়াকিং দ্য ডেড | ম্যাক্স ব্রাইসন | সিরিজ ১ এপিসোড ৭-৮ "আ সিম্পল স্যাক্রিফাইস" |
২০০৩ | কিন এডি | এডওয়ার্ড মিলস | "হু ওয়ান্টস টু বি ইন আ ক্লাব দ্যাট উড হ্যাভ মে অ্যাজ আ মেম্বার?" এপিসোড |
২০০৭ | কামিং ডাউন টু মাউন্টেন | ডেভিড ফিলিপস | টেলিভিশন চলচ্চিত্র |
২০০৭-০৮ | স্কিনস | টনি স্টোমেন | প্রধান চরিত্র (১৯ এপিসোড) |
২০০৮ | ওয়ালান্ডার | স্টিফ্যান ফ্রেডম্যান | "সাইডট্র্যাকড" এপিসোড |
বছর | নাম | ভূমিকা | দ্রষ্টব্য |
---|---|---|---|
২০০৯ | নিউ বয় | ব্যারি | ট্র্যাফালগার স্টুডিওজ |
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | ভূমিকা | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০০৩ | ইয়াং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট পারফরম্যান্স ইন আ ফিচার ফিল্ম লিডিং ইয়াং অ্যাকটর[১৫] |
মার্কাস ব্রিউয়ার, অ্যাবাউট আ বয় চলচ্চিত্রে | মনোনীত |
ফিনিক্স ফিল্ম ক্রিটিকস সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট পারফরম্যান্স বাই আ ইউথ ইন আ লিডিং অর সাপোর্টিং রোল - মেল[১৬] |
বিজয়ী | ||
ব্রডকাস্ট ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড | বেস্ট ইয়াং পারফরমার[১৭] | মনোনীত | ||
২০১০ | ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস | রাইজিং স্টার[১৮] | মনোনীত |