নীলাভিলাক্কু হল একধরনের ঐতিহ্যবাহী প্রদীপ যা সাধারণত কেরলের পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে ব্যবহৃত হয়।[১] তবে তামিলনাড়ুতে এটি নীলাভিলাক্কুর পরিবর্তে কুতুভিলাক্কু নামে পরিচিত। তা ছাড়া, এটিকে কর্ণাটকে দীপদা কাম্ব, মহারাষ্ট্রে সমই এবং ওড়িশায় পিলিবেঢ়ি/পিলিসজাও বলা হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠানে প্রদীপটি জ্বালানো হয়: যেমন- আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আয়োজন এবং মন্দিরে পূজা শুরুর আগে।
মালয়ালম ও তামিল ভাষার নীলাম অর্থ তল বা মাটি এবং ভিলাক্কু অর্থ প্রদীপ।[১]
নীলাভিলাক্কু কেরলের হিন্দু পরিবারগুলোর বিভিন্ন আচার ও অনুষ্ঠানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে পরিবারের অল্প বয়সী মেয়েরা জ্বলন্ত প্রদীপগুলো বাড়ির বারান্দায় নিয়ে আসে, সন্ধ্যার প্রার্থনা পর্যন্ত তা জ্বালিয়ে রাখা হয়। হিন্দু মন্দিরে বিভিন্ন ধরনের নীলাভিলাক্কু যেমন 'কুট্টুভিলাক্কু', 'তুক্কুভিলাক্কু' ইত্যাদি ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো কেরলের ঐতিহ্যগত বিশ্বাস ও ক্রিয়াকলাপের সাথে অনেকটা সম্পর্কিত।
যে কোনও উপলক্ষে নীলাভিলাক্কু জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। বিভিন্ন শিল্পকলা উপস্থাপনে নীলাভিলাক্কু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রদীপ জ্বালানোর পরে শিল্পকলাগুলো সঞ্চালন করা হয়। কেরলে অনেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে নীলাভিলাক্কুর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।[২]
নীলাভিলাক্কু সাধারণত তামা বা পিতল দিয়ে তৈরি করা হয়। প্রদীপ জ্বালানোর জন্য সচরাচর তেল বা ঘি মিশ্রিত সুতির শলতে (পলতে) ব্যবহৃত হয়।
কেরলে খ্রিস্ট ধর্মের আগমনের সাথে সাথে সেন্ট থমাস খ্রিস্টানরা (বা সিরীয় খ্রিস্টানরা) নীলাভিলাক্কুকে তাদের গীর্জা এবং বাড়িতে রাখা শুরু করেছিলেন। ঐতিহ্যগতভাবে নীলাভিলাক্কু জ্বালিয়ে বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে রাখা হয়। মার্গামকলি এবং পরীচামুতুকালির মতো সিরিয়ান খ্রিস্টান শিল্পকলাগুলো নীলাভিলাক্কুর চারপাশে পরিবেশিত হয়। আল ভিলাক্কু নামে একটি বিশেষ ধরনের নীলাভিলাক্কু রয়েছে যা দক্ষিণ ভারতের বিশেষত কেরেলের মন্দিরগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Dance" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে