নীল ফেয়ারব্রাদার

নীল ফেয়ারব্রাদার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
নীল হার্ভে ফেয়ারব্রাদার
জন্ম (1963-09-09) ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩ (বয়স ৬১)
ওয়ারিংটন, ল্যাঙ্কাশায়ার (বর্তমানে - চেশায়ার), ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৭৫ ৩৬৬ ৫০৫
রানের সংখ্যা ২১৯ ২০৯২ ২০,৬১২ ১৪,৭৬১
ব্যাটিং গড় ১৫.৬৪ ৩৯.৪৭ ৪১.২২ ৪১.৬৯
১০০/৫০ –/১ ১/১৬ ৪৭/১০৪ ৯/১০৭
সর্বোচ্চ রান ৮৩ ১১৩ ৩৬৬ ১৪৫
বল করেছে ১২ ৭৯৫ ১৭৪
উইকেট
বোলিং গড় ৭১.৪২ ৬৪.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৯১ ১/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৩৩/– ২৯০/– ১৮৫/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নীল হার্ভে ফেয়ারব্রাদার (ইংরেজি: Neil Fairbrother; জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওয়ারিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার[] বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার নীল হার্ভে’র নামানুসারে একনিষ্ঠ সমর্থক তার মা এ নামকরণ করেন।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেন নীল ফেয়ারব্রাদার। তন্মধ্যে, ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়কত্ব করেন। ক্রিকেট লেখক কলিন ব্যাটম্যান ফেয়ারব্রাদারকে আবিষ্কর্তা, বুদ্ধিমান বামহাতি হিসেবে চিত্রিত করেছেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

লিম হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি। ২ এপ্রিল, ১৯৮৭ তারিখে ভারতের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন। ১৯৯১ সালে লর্ডসে ম্যালকম মার্শাল, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশের ন্যায় ভয়ঙ্কর গতির ফাস্ট বোলারের অংশগ্রহণে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা জয়ী সেঞ্চুরি করেন। এরপর থেকেই নিজেকে দলের নিয়মিত সদস্য করেন ও বেশ কয়েকবছর একদিনের দলে মাঝারি সারির ব্যাটসম্যানরূপে গড়ে তুলেন।

কিন্তু টেস্টে তার অংশগ্রহণ তেমন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল না। অভিষেক টেস্টেই শূন্য রানের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। ১৫ ইনিংসে কেবলমাত্র একটি অর্ধ-শতক করেন ও ব্যাটিং গড় ছিল ১৫.৬৪।[] তাস্বত্ত্বেও ইংল্যান্ডের পক্ষে তিনটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।[]

অর্জনসমূহ

[সম্পাদনা]

১৯৯০ সালে ওভালে সারের বিপক্ষে ল্যাঙ্কাশায়ারের সদস্যরূপে ৩৬৬ রান তোলেন। তন্মধ্যে, ৩১১ রানই এসেছিল একদিনে। একদিনে প্রতি অধিবেশনে কমপক্ষে ১০০ রান তোলা ক্রিকেটারদের মধ্যে তার এ অর্জন একমাত্র উদাহরণ হিসেবে রয়েছে।[] ১৯৯৮ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে লর্ডসের একদিনের ঘরোয়া ক্রিকেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় দশমবারের মতো উপস্থিতি ছিল।

২০০২ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর তিনি ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারদের নেতৃত্বদানকারী ক্রীড়া সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 66আইএসবিএন 1-869833-21-X। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১১ 
  2. "Neil Fairbrother - Profile"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১১ 
  3. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask Bearders। BBC Books। পৃষ্ঠা 108আইএসবিএন 978-1-84607-880-4। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০১১ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]