নুয়াখাই | |
---|---|
অন্য নাম | নবান্ন উৎসব |
ধরন | আঞ্চলিক উৎসব / ভারতীয় উৎসব |
তাৎপর্য | নবান্ন উৎসব |
পালন | পুরো পশ্চিম ওড়িশা |
শুরু | ভাদ্র মাসের চন্দ্র পক্ষের পঞ্চমী তিথি (পঞ্চম দিন) |
তারিখ | আগস্ট সেপ্টেম্বর |
সংঘটন | বার্ষিক |
নুয়াখাই বা নওয়াখাই মূলত ভারতের পশ্চিম ওড়িশা এবং দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের মানুষ দ্বারা পালিত একটি কৃষি উৎসব।[১] এটি মরসুমের নতুন ধানকে স্বাগত জানাতে এটি পালন করা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে এটি ভাদ্র মাসের চন্দ্র পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে (পঞ্চম দিন) বা ভাদ্রবা (আগস্ট-সেপ্টেম্বর), গণেশ চতুর্থী উৎসবের পরের দিন পালন করা হয়। এটি পশ্চিম ওড়িশা এবং সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা অঞ্চলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উৎসব, এখানে পশ্চিম ওড়িশা সংস্কৃতি অনেক বেশি প্রাধান্যপ্রাপ্ত।
নুয়াখাইকে নুয়াখাই পরব বা নুয়াখাই ভেতগীত নামেও ডাকা হয়। এটি ছত্তিশগড়ে নওয়াখাই পরব নামেও পরিচিত। নুয়া শব্দের অর্থ নতুন এবং খাই এর অর্থ খাদ্য, সুতরাং নামের অর্থ কৃষকদের দখলে নতুন কাটা ধান। গণেশ চতুর্থী উৎসবের পরের দিন অনুষ্ঠিত এই উৎসবটিকে আশার নতুন কিরণ হিসাবে দেখা হয়। কৃষক এবং কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের কাছে এই উৎসবের একটি বিশাল তাৎপর্য রয়েছে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই উৎসবটি উদযাপিত হয়, এই সময়টিকে বলা হয় লগন। এই উৎসবটি উদযাপনের জন্য আয়ারস পিঠা প্রস্তুত করা হয়। যখন লগন আসে, লোকেরা প্রথমে তাদের গ্রামের দেবতা বা দেবীকে স্মরণ করে এবং তারপরে তাদের নুয়া গ্রহণ করে।[২][৩]
নুয়াখাই পশ্চিম ওড়িশার মানুষের কৃষি উৎসব। পুরো ওডিশা জুড়ে এই উৎসব পালন করা হয়, তবে এটি পশ্চিম ওড়িশার জীবন ও সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্যশস্যের পূজার উৎসব। কালাহাণ্ডি, সম্বলপুর, বলাঙ্গির, বড়গড়, সুন্দরগড়, ঝারসুগুড়া, সুবর্ণপুর, বৌধ এবং ওডিশার নূয়াপড়া জেলায় এই উৎসব সবচেয়ে বেশি উদযাপিত হয়।[৪]