নুরুল ইমান মসজিদ | |
---|---|
Masjid Nurul Iman | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | পাদাং, ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ০°৫৭′১৭″ দক্ষিণ ১০০°২১′৪৪″ পূর্ব / ০.৯৫৪৭৮৮° দক্ষিণ ১০০.৩৬২৩১০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | মধ্যপ্রাচ্য |
ভূমি খনন | ২০০৪ |
সম্পূর্ণ হয় | ৭ জুলাই ২০০৭ |
নির্মাণ ব্যয় | Rp ১৮.৪ বিলিয়ন |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ১ |
মিনার | ১ |
নুরুল ইমান মসজিদ(আরবী:مسجد نور الايمان) একটি মসজিদ। যা ইমাম বুনজল এবং মুহাম্মদ থামরিন রোডের কোণায়, পাদাং, ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত। ১৯৬০ সালে পশ্চিম সুমাত্রার বিদ্রোহের পরে ক্ষমা চাওয়ার ইঙ্গিত হিসাবে ইন্দোনেশিয়ান জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং জাতীয় সরকার এই মসজিদটি তৈরি করেছিল। [১]
১৯৬১ সালে কাহারুদিন দাতুক রাঙকায়ো বাসার আমলে পশ্চিম সুমাত্রার গভর্নর, ইন্দোনেশিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এবং সরকার একটি আঞ্চলিক বিদ্রোহ দমনের ধারাবাহিকতায় মসজিদটিকে পুনর্মিলনের ইঙ্গিত হিসাবে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছিল। নির্মাণ কাজটি ১.১৮ হেক্টর (২.৯ একর) জায়গার উপর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে শুরু হয় এবং ভবনটিকে দ্বিতল করা জন্য পরিকল্পনা করা হয়। [২] পশ্চিম সুমাত্রা সরকার ১৯৬৬ সালে নুরুল ইমান মসজিদ নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহ করেছিল। [৩]
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর মসজিদের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। [১] যদিও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, বিস্ফোরণের ফলে প্রথম তলার চিলেকোঠার অনেক ক্ষতি হয় এবং কাচের জানালা ভেঙে যায়। তবে তদন্তের জন্য মসজিদ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও রুটিন মাফিক জুমার নামাজ পরের দিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অপরাধী টিমজার জুবিল, যিনি ইন্দোনেশিয়ান ইসলামিক চরমপন্থী গোষ্ঠী কোমন্ডো জিহাদের সদস্য বলে জানা যায়। ১৯৭৯ সালে তাকে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। পরে রায়টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করা হয় । ১৯৮২ সালে (আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে থাকাকালীন) সে নুরুল ইমান মসজিদে গিয়ে তার কাজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। তবে ১৯৯৯ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। [৪]
২০০৪ সালে জয়নাল বকরের(পশ্চিম সুমাত্রার রাজ্যপাল) আমলে মসজিদটি সংস্কার করার পরিকল্পনা ছিল। ২০০৫ সালে জয়নাল বকর এর সময়কাল শেষ না হওয়া অবধি মসজিদটি অবহেলিত থাকে। নতুন মসজিদটির কাজ ২০০৭ সালে গামাওয়ান ফৌজীর আমলে সমাপ্ত হয়; এবং ৭ জুলাই, ২০০৭-এ সহ-রাষ্ট্রপতি জসুফ কল্লার এই মসজিদটি উদ্বোধন করেন। [২]
এর দু'বছর পরে, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশ্চিম সুমাত্রার ভূমিকম্পের কারণে মসজিদটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেয়াল এবং মেঝেতে ক্ষতির চিহ্ন ছিল। [৩]
মসজিদটি মধ্য প্রাচ্যের স্টাইলে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ আধুনিক মসজিদের জন্য একটি সাধারণ স্টাইল। মসজিদটির একটি গম্বুজ এবং একটি মিনার রয়েছে যা মূল ভবন থেকে পৃথকভাবে নির্মিত। সম্মুখভাগটি বেশিরভাগ সবুজ এবং জ্যামিতিক মোটিফগুলি দিয়ে সজ্জিত।