নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ | |
---|---|
পরিচালক | মাসুদ পথিক |
প্রযোজক | মাসুদ পথিক |
চিত্রনাট্যকার | মাসুদ পথিক |
উৎস | নির্মলেন্দু গুণ কর্তৃক নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সাইম রানা |
চিত্রগ্রাহক | লরেন্স অপু রোজারিও |
সম্পাদক | জুনায়েদ হালিম |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ব্রাত্য চলচ্চিত্র |
মুক্তি | ২০ জুন ২০১৪ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ মাসুদ পথিক পরিচালিত ২০১৪ সালের বাংলাদেশী নাট্য চলচ্চিত্র। নির্মলেন্দু গুণ রচিত নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ কবিতা অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুদ পথিক এবং সংলাপ লিখেছেন রাজিব আহসান ও মাসুদ পথিক।[১] বাংলাদেশ সরকার-এর অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে ব্রাত্য চলচ্চিত্র। এতে নাম চরিত্রে (নেকাব্বর) অভিনয় করেছেন জুয়েল জহুর এবং ফাতেমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমলা। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে মামুনুর রশীদ, প্রবীর মিত্র, রানী সরকার, বাদল শহীদ, রেহানা জলি প্রমুখ। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণসহ আরো ১৫ জন কবি। চলচ্চিত্রটিতে কাহিনি চিত্রের পাশাপাশি তথ্যচিত্রের আবহকে ধারণ করার চেষ্টা করে, প্রেম, প্রকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের গাথা সূত্রে তথ্যের ইমেজ ধরে আবহমান বাংলার নিবিড় সংস্কৃতি, জীবনের অন্তর্গত দর্শন, তথা জীবনবোধকে তুলে ধরা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটি প্রাথমিকভাবে ৫টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ঘোষিত হয়। পরে বৃহন্নলা চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ উঠলে[২] নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগেও পুরস্কৃত হয়।[৩][৪] অন্য বিভাগগুলো হল শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী, শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জাকার।[৫]
একজন বঞ্চিত মানুষের প্রতিকৃতি হচ্ছেন নেকাব্বর। যিনি অন্যায় ভাবে তার সম্পদ হারিয়েছেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে তিনি তার প্রেমিকাকে হারিয়েছেন, যুদ্ধে একটি পা খুইয়েছেন। যুদ্ধের পরে পঙ্গু হয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে হয়েছে। তাকে পাগলা গারদেও থাকতে হয়েছে। পাগলা গারদ থেকে বেরিয়ে অনাহারে থেকেছেন, পেয়েছেন সমাজের বঞ্চনা আর লাঞ্ছনা। একজন নেকাব্বর এমনি লাঞ্ছনা বঞ্চনা সহ্য করতে করতে একসময় মৃত্যুবরণ করেন।
চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং শেষ হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে।[৬] শব্দ ও আবহসংগীতসহ সম্পাদনার কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালের জুলাই মাসে।[৭] ২০১৩ সালে ডিসেম্বরে ছবিটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র লাভ করে।[৮]
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ২০১৪ সালের ২০ জুন সারাদেশে নয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড ও মধুমিতা।[৯] এছাড়া ২০১৬ সালের ২ জুন শ্রীলংকার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সার্ক চলচ্চিত্র উৎসব-এ ছবিটি প্রদর্শিত হয়।[১০]
নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা ও শব্দ সম্পাদনা করেছেন সাইম রানা। সুর করেছেন বেলাল খান, মুশফিক লিটু, প্রিন্স মাহমুদ, সাইম রানা ও সেলিম মাহমুদ। গীত রচনা করেন মাসুদ পথিক, নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, সাইম রানা, অতনু তিয়াস। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ বেগম, বারী সিদ্দিকী, বেলাল খান, সাবরিনা পড়শী, বাদল শহীদ।[১১]
আলোকিত বাংলাদেশে লেখা একটি চলচ্চিত্র সমালোচনায় ওয়াহিদ সুজন চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়ন ও সঙ্গীতের প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি আবহ সঙ্গীত, দৃশ্যের দিক পরিবর্তন ও কাহিনির অসামঞ্জস্যতার জন্য এর সমালোচনা করেছেন।[১২]
টেলি-সিনে পুরস্কার