অ্যান্ড্রয়েড
নেটবুক কম্পিউটার শ্রেণীর মধ্যে একটি ছোট, হালকা এবং কম দামি কম্পিউটার যা ২০০৭ সালে আলোর মুখ দেখে। নেটবুক কম্পিউটার ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং ক্রোমবুকের (একটি বহনযোগ্য নেটওয়ার্ক কম্পিউটার) বাজারের অংশ।
২০০৭ সালের শেষের দিকে যাত্রার শুরুতেই[১] নেটবুক কম্পিউটার বাজারের বিদ্যমান ছিল এবং নেটবুকগুলো কম ওজনের ও কম দামিও ছিল।[২] কিন্তু নেটবুকে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য বাদ দেয়া হয় যেমন অপটিক্যাল ড্রাইভ আর ছিল ছোট মাপের প্রদর্শনী, কিবোর্ড এবং কম শক্তি খরচ করার বৈশিষ্ট্যের। উন্নয়নের বিভিন্ন ধাপে এদের আকার ৫" থেকে শুরু করে ১২" পর্যন্ত দেখা যায়। এদের ওজন হয় ১ কেজি (২.২ পাউন্ড) এবং প্রায়শই অন্যান্য ল্যাপটপ থেকে অত্যন্ত কম দামি।[৩] ২০০৯ সালের মাঝামাঝি কিছু তারবিহিন ডাটা সংযোগকারি কোন "খরচ" ছাড়া ব্যবহারকারীদের নোটবুক প্রদান করে বর্ধিত সেবা ব্যবহারের চুক্তির বিনিময়ে।[৪]
বাজারের আসার কিছুদিনের মধ্যেই নেটবুকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য ও আকারের দেখা পাওয়া যায় যার মধ্যে ছোট, হালকা মাপের ল্যাপটপ এবং সাবনোটবুকও রয়েছে। ২০০৯ সালের আগস্টে, যখন ডেল নেটবুককে ডেল নোটবুকের সাথে তুলনা করা হয়, সিনেট বলেছিল "নেটবুক কিছুই না শুধু ছোট মাপের সস্তা নোটবুক" তারা এও উল্লেখ্য করেছিল যে "এগুলোর হার্ডওয়্যার বৈশিষ্ট্য এত মিল যে একজন গড়পড়তার ক্রেতা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন এই প্রশ্ন করে যে কেন একটি অন্যটির থেকে ভাল?" এবং শেষে তারা এই বলে সারাংশ টেনেছিলেন যে, " দুটো ডিভাইসে আসলে কোন তফাৎ নেই"।[৫] বিভিন্ন প্রস্তুতকারকরা তাদের এই নেটবুকের পন্যে নানা রকম সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। যদিও এর ফলে নেটবুক একটি ছোট আকারের বাজারে সীমিত হয়ে পড়বে এবং খুব কমই আলাদা সুযোগ থাকবে একে অন্যান্য ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট থেকে আলাদা করার।[৬][৭]
২০১১ সালে ট্যাবলেট কম্পিউটারের জনপ্রিয়তার কারণে (বিশেষ করে আইপ্যাড) নেটবুকের বিক্রয়ে ভাটা পড়ে।[৮] এছাড়াও ম্যাকবুক এয়ার যাকে আল্ট্রাবুক বলা হয় এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে কার্যক্ষমতায় কোন ছাড় দেয়া হয়নি কিন্তু হালকা এবং বহনযোগ্য করা হয়েছে কিবোর্ড এবং প্রদর্শনীতে কোন প্রকার ছাড় না দিয়ে আর অবশ্যই এর দামও বেশি।[৯][১০] ম্যাকবুক এয়ারের সাফল্যের কথা মাথায় রেখে[১১] তারই জবাবে ইন্টেল আল্ট্রাবুককে একটি নতুন উচ্চ-বহনযোগ্যতার মান হিসেবে ঠিক করে। যা কিছু বিশ্লেষকের দ্বারা প্রশংসিত হয় কারণ নেটবুক এই সুযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।[১২][১৩][১৪] যার ফলে নেটবুকের জন্য কম দামই শক্তিশালী বৈশিষ্ট হিসেবে প্রতিয়মান হয় অন্যদিকে এটি ট্যাবলেট এবং আল্ট্রাবুকের কাছে নকশা, সহজ ব্যবহারযোগ্যতা এবং বহনযোগ্যতার বৈশিষ্ট্যে পিছিয়ে আছে।[১৫]
অনেক নেটবুক উৎপাদনকারী কোম্পানী ২০১২ সালের শেষ নাগাদ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।[১৬] অনেক নেটবুক পণ্য ক্রোমবুক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় যা নেটবুকেরই অন্য একটি শ্রেণী (এটি নেটওয়ার্ক ভিত্তিক)। ২০১৪ সালে ক্রোমবুকের বৃদ্ধির ফলে, মাইক্রোসফট একটি নতুন নেটবুক ছাড়ে যা উইন্ডোজ ৮.১ এবং বিং সার্চ নিয়ে আসে। ২০১৪ সালে এইচপি আবার নেটবুক বাজারে আসে তাদের স্ট্রিম ১১ পন্যটি নিয়ে।[১৭]
"AT&T announced on Tuesday that customers in Atlanta could get a type of compact PC called a netbook for just 50 US$ if they signed up for an Internet service plan..." — “The era of a perfect Internet computer for 99 US$ is coming this year,” said Jen-Hsun Huang, chief executive of Nvidia, a maker of PC graphics chips that is trying to adapt to the new technological order.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; dvorak
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি