পতৌদি ট্রফি | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | বিসিসিআই ও ইসিবি |
খেলার ধরন | টেস্ট ক্রিকেট |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০০৭ |
প্রতিযোগিতার ধরন | সিরিজ |
দলের সংখ্যা | ২ |
বর্তমান ট্রফি ধারক | ইংল্যান্ড |
সর্বাধিক সফল | ইংল্যান্ড (২বার শিরোপা) |
সর্বাধিক রান | ইয়ান বেল (৯৯১) |
সর্বাধিক উইকেট | জেমস অ্যান্ডারসন (৬০) |
পতৌদি ট্রফি ক্রিকেট খেলায় প্রবর্তিত পুরস্কারবিশেষ। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে বিজয়ী দলের অধিনায়ককে এ ট্রফি প্রদান করা হয়। ২০০৭ সালে ভারতের সাথে ইংল্যান্ডের টেস্ট অভিষেকের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের জন্য ট্রফিটির নামকরণ করা হয়। মনসুর আলি খান পতৌদি’র বাবা পতৌদি’র ৮ম নবাব ইফতিখার আলি খান পতৌদি’র সম্মানার্থে ট্রফির নামকরণ হয়েছে পতৌদি ট্রফি। জোসিলিন বার্টন স্থায়ীভাবে নির্মিত পতৌদি ট্রফি’র নক্সা প্রণয়ন ও ট্রফি তৈরির দায়িত্ব নেন। ২০১৪ সালে ভারতকে পরাজিত করে ইংল্যান্ড বর্তমানে ট্রফির ধারক। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে ভারত জয়লাভ করেছিল। কোন কারণে সিরিজ ড্র হলে ধারক দলের কাছেই ট্রফিটি অবস্থান করবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনার আওতায় এ সিরিজটি পরিচালিত হয়।
পতৌদির ক্রিকেট পরিবারের সম্মানে ট্রফিটির নামকরণ হয়। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ড ও ভারত - উভয় দলের পক্ষেই ইফতিফার আলী খান পতৌদি তিনবার খেলেছেন। তাঁর পুত্র মনসুর আলি খান পতৌদি ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদে ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। বিজয়ী দলকে জয়ের প্রতীকিরুপে পতৌদি ট্রফি প্রদান করা হয়। ভারতীয় দল বিজয়ী হলেও ইংল্যান্ডেই ট্রফিটি রেখে দেয়া হয় ও বেশ কয়েকবার ভারতে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। ফলে, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও ক্রিকেট প্রশাসক অ্যান্থনি ডি মেলো’র সম্মানে ভারতে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের নামকরণ করা হয় অ্যান্থনি ডি মেলো ট্রফি।[১]
২০০৭ সালে ভারতের সাথে ইংল্যান্ডের ১৯৩২ সালে অনুষ্ঠিত টেস্ট অভিষেকের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের উদ্যোগে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের জন্য ট্রফিটির নামকরণ করা হয়। লন্ডনের রৌপ্যকার জোসিলিন বার্টন হলবর্নে অবস্থিত কারখানায় স্থায়ীভাবে নির্মিত পতৌদি ট্রফি’র নক্সা প্রণয়ন ও ট্রফি তৈরি করেন। ডিসেম্বর, ২০১২ সালে লন্ডনের বেন্টলি এন্ড স্কিনার এলাকায় জোসিলিনের প্রদর্শনীতে ট্রফি প্রদর্শন করা হয়।[২]
পতৌদি ট্রফি ধারনের জন্য অবশ্যই একটি দলকে সিরিজে জয়লাভ করতে হয়। কোন কারণে সিরিজ ড্র হলে পূর্বেকার ধারকের কাছেই ট্রফিটি রক্ষিত থাকে। এ পর্যন্ত তিনবার পতৌদি ট্রফি’র টেস্ট সিরিজ খেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইংল্যান্ড দুইবার ও ভারত দল একবার জয়লাভ করেছে। অনুষ্ঠিত ১২ টেস্টের মধ্যে ভারত দুইবার, ইংল্যান্ড সাতবার জয় পায় ও তিনটি টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। মাঠ হিসেবে লর্ডসে (২০০৭, ২০১১ ও ২০১৪), এজবাস্টন (২০১১), দি ওভাল (২০০৭, ২০১১ ও ২০১৪), ট্রেন্ট ব্রিজে (২০০৭, ২০১১ ও ২০১৪), ওল্ড ট্রাফোর্ড (২০১৪) ও রোজ বোলে (২০১৪) খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মৌসুম | সিরিজ বিজয়ী খেলোয়াড় | ইংল্যান্ডের জয় | ভারতের জয় | ড্র | ধারক |
---|---|---|---|---|---|
২০০৭[৩] | জহির খান (ভারত) কেভিন পিটারসন (ইংল্যান্ড) |
০ | ১ | ২ | ভারত |
২০১১[৪] | স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড) রাহুল দ্রাবিড় (ভারত) |
৪ | ০ | ০ | ইংল্যান্ড |
২০১৪ | জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড) ভুবনেশ্বর কুমার (ভারত) |
৩ | ১ | ১ | ইংল্যান্ড |
২০১৮ | স্যাম কারেন (ইংল্যান্ড) বিরাট কোহলি (ভারত) |
৪ | ১ | ০ | ইংল্যান্ড |
নাম | ধারণক্ষমতা | প্রথম টেস্ট | ভারতীয় ব্যাটিং প্রদর্শন | ভারতীয় বোলিং প্রদর্শন |
---|---|---|---|---|
লর্ডস | ৩০,০০০ | ১৯৩২ | অজিঙ্কা রাহানে ১০৩ (২০১৪) | ইশান্ত শর্মা ৭৪-৭ (২০১৪) |
ওল্ড ট্রাফোর্ড | ১৯,০০০ | ১৯৩৬ | - | - |
দি ওভাল | ২৪,০০০ | ১৯৩৬ | লোকেশ রাহুল ১৪৯ (২০১৮)
রবীন্দ্র জাদেজা ৮৬ (২০১৮) |
রবীন্দ্র জাদেজা ৭৯-৪ (২০১৮) |
হেডিংলি | ১৭,০০০ | ১৯৫২ | - | - |
ট্রেন্ট ব্রিজ | ১৬,০০০ | ১৯৫৯ | - | - |
|title=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)