পশুখাদ্য বা জাব হল যেকোনোও কৃষি খাদ্যদ্রব্য যেমন গাছপালা, বিভিন্ন ধরনের লতা, গুল্ম, খড় যা গরু, খরগোশ, ভেড়া, ঘোড়া, মুরগি এবং শূকরের মতো পোষা প্রাণিসম্পদকে বিশেষভাবে খাওয়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। "পশুখাদ্য" বলতে বিশেষত পশুদের দেওয়া খাবারকে বোঝায় । কিন্তু যদি পশুরা নিজেরাই তাদের খাবারের জন্য মাঠ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে তাহলে তাকে চারণ বলা হয়। ইংরেজিতে পশুখাদ্যকে ফোডার (/ˈfɒdər/) বা প্রভেন্ডার (/ˈprɒvəndər/) নামেও অভিহিত করা হয়।
অধিকাংশ পশুখাদ্যই উদ্ভিদ থেকে তৈরি হয়, কিন্তু কেউ কেউ উদ্ভিজ্জ উপাদানের সাথে প্রাণিজ উপাদানও যোগ করে। ২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী পশুখাদ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলো ৮৭৩ মিলিয়ন টন পশুখাদ্য উৎপাদন করেছিল।[১] আন্তর্জাতিক ফিড ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশন অনুসারে সে বছর দ্রুত ১ বিলিয়ন টন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।[২] সে সময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ২%।
মানুষের খাদ্য না উৎপাদন করে পশুখাদ্য জন্মানোর জন্য কৃষিজমি ব্যবহার বিতর্কিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে গবাদি পশুর জন্য ঘাসের উৎপাদন মানুষের ব্যবহার উপযোগী ফসলের জন্য একটি মূল্যবান আন্তঃফল হয়, কারণ এটি মাটিতে জৈব পদার্থ তৈরি করে।
উদ্ভিজ্জ পশুখাদ্য প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
বাংলাদেশে পশুখাদ্যের একটি মুখ্য উপাদান হচ্ছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও খড় এবং অন্যান্য ডাল বা তেল ও শস্য জাতীয় উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের উপজাতের পাশাপাশি আপদকালীন সময়ে বাঁশের পাতা, কলা পাতা, কচুরিপানার পাতা ও ডাঁটা, অপ্রকৃতকান্ড পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব গাছপালা, লতা-গুল্ম সেগুলো গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হয়। তাছাড়া এগুলো পশুর দেহে আমিষ এবং আঁশ জাতীয় খাদ্য উপাদানের যোগান দেয়। যেহেতু এদেশের সব এলাকায় একই ধরনের পশুখাদ্য উদ্ভিদ না জন্মানোয়, তাই বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে পশুখাদ্যের ভিন্নতা রয়েছে।
বাংলাদেশে পশুখাদ্যের চাহিদা পূরণ করার জন্য বিদেশ হতে কিছু প্রজাতির ঘাস আমদানিকৃত হয়েছে। সেগুলো হলো:[৩]
বর্তমানে গবাদি পশুর খাদ্য সংস্থানের জন্য বাংলাদেশের কৃষকেরা এসব ঘাস চাষ করে থাকেন।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘাস, যেমন: চ্যাপড়া, চাইলা, দূর্বা, মনিয়া, ঝরা ঘাস, ঝরা ধান, কানাইবাঁশি, আড়াইল, উলু ঘাস, কানাইলতা, আংটা, মূথা ঘাস, গামারী, কাটানটে, জাপানি লতা, পুটি ঘাস, নল ঘাস ইত্যাদি খাওয়ানো হয়।[৩]
অঙ্কুরিত শস্যের দানা যেমন যব এবং কলাই আকারে ছোট কিংবা বড় পরিমাণে জন্মাতে পারে। হাইড্রোপোনিক সিস্টেমগুলি সাবধানে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বছরব্যাপী প্রতিদিন কয়েক টন অঙ্কুর বৃদ্ধি করতে পারে। [৪] অনঙ্কুরিত শস্যদানার তুলনায় অঙ্কুরিত শস্যদানা পশুখাদ্যের পুষ্টির মান বাড়িয়ে তুলে। [৫] এছাড়াও এক্ষেত্রে প্রচলিত ঘাসের চেয়ে কম পানি ব্যবহার করলেই চলে; তাই খরা পরিস্থিতির জন্য অঙ্কুরিত শস্যদানা পশুখাদ্য হিসেবে আদর্শ। হাইড্রোপোনিক অবস্থায়, ৫০ মিমি মূল সহ ১৫০ মিমি লম্বা অঙ্কুরিত চারা পশুখাদ্য রূপে ব্যবহৃত হয়। যদিও বার্লি জাতীয় পণ্যগুলি যখন অঙ্কুরিত শস্য হয় সেগুলি আমেরিকান গ্রাসফিড অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক গৃহপালিত খাদ্য হিসাবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়।
অতীতে, গবাদি পশুর খাবারের মধ্যে মাংস এবং হাড় মিশানোর মাধ্যমে প্রিয়ন দূষণের কারণে বোভাইন স্পঞ্জিফর্ম এনসেফ্যালোপ্যাথি (বিএসই বা "পাগলা গরু রোগ") ছড়িয়ে পড়ে। তাই পশুখাদ্যে হাড় ও মাংস মিশানো এখন বেশিরভাগ দেশেই নিষিদ্ধ। কিছু প্রাণির মধ্যে অন্য প্রাণিদের তুলনায় নষ্ট বা পঁচা খাবারের ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা কম থাকে এবং কিছু ধরনের ছাঁচ বা বিষাক্ত আগাছা অজান্তে পশুখাদ্যে মিশ্রিত হওয়ার কারণে পশুর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস বাণিজ্যিক লাইভস্টক ফিডের মধ্যে উপস্থিত হতে পারে এমন ভেটেরিনারি ফিড ডিরেক্টিভ জাতীয় ড্রাগগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
Hydroponic sprouts may have profitable application in intensive, small-scale livestock situations with high value outputs, where land and alternative feed costs are high, and where the quality changes (eg less starch, more lysine, vitamins, etc) due to sprouting are advantageous to the particular livestock.