পালাবি কোথায় | |
---|---|
পরিচালক | শহীদুল ইসলাম খোকন |
প্রযোজক | সিনে প্লাস |
রচয়িতা | কাজী মোরশেদ |
চিত্রনাট্যকার | শহীদুল ইসলাম খোকন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৮ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
পালাবি কোথায় হলো ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী নারীবাদী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি বাংলাদেশী নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।[১] ছবিটি প্রযোজনা করেছেন হুমায়ূন ফরীদি। ছবিটি বাংলাদেশের অন্যতম ফ্লপ চলচ্চিত্র।[২] ছবিটি কমল হাসানের তামিল মাগালিত মাত্তুম চলচ্চিত্রের পুনর্নির্মাণ যা আবার ১৯৮০-এর মার্কিন চলচ্চিত্র নাইন টু ফাইভ থেকে অনুপ্রাণিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিরিন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে। সবাই যৌতুক চায় বিধায় যৌতুক নিয়ে বিয়ে করতে রাজি নয় বলে সে বিয়ে করতে পারেনি। শিরিন একটি পোশাক কারখানায় টাইপিস্ট ও ম্যানেজারের পিএস হিসেবে কাজ করেন। নূরী ওই কারখানার একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তার বেকার স্বামী বাচ্চু প্রায়ই তার স্ত্রীর টাকা চুরি করে। চুরির টাকা দিয়ে সে মদ পান করে। বিবাহিত হাওলাদার পোশাক কারখানার ম্যানেজার একজন দুষ্টু ব্যক্তি। তিনি নারী শ্রমিক-কর্মীদের বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করেন। অফিসের নারীরা বিভিন্নভাবে তার কাছ থেকে আত্মরক্ষা করে। অফিসে কম্পিউটার বিভাগ খোলা হয়। মিলি চৌধুরী নামে এক আন্দোলনকারী নারী প্রধান কার্যালয় থেকে নতুন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে সংগঠনে যোগ দেন। শিরিন মনে করেন, কম্পিউটার ব্যবস্থা চালু হলে টাইপিস্টদের আর প্রয়োজন হবে না। তাই ভেতরে ভেতরে সে দুঃখী ছিল। কিন্তু অচিরেই মিলির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় শিরিনের। কারখানার তত্ত্বাবধায়ক নার্গিস একজন খারাপ চরিত্রের মহিলা যে সবসময় শ্রমিকদের নির্যাতন করে। মিলি তার স্বামী-সন্তানকে চট্টগ্রামে রেখে শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে ঢাকায় আসেন, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে থাকেন। শিরিনকে বিপদে ফেলতে নার্গিস একটি জরুরি ফাইল লুকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু নূরী ও মিলির কারণে ফাইল উদ্ধার হয়। কারখানার নারী শ্রমিকদের সংগঠিত করেন মিলি। তিনি সবাইকে বোঝাতে পেরেছিলেন যে নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নারীরা একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে যায়। মিলির অনুপ্রেরণায় তারা সাহস জোগায়। তিনি লিঙ্গ সমতার খাতিরে তাদের বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ম্যানেজার একদিন অফিস ছুটির পরও কাজের অজুহাতে শিরিনকে থাকতে বলেন। সে যখন একা ছিল, সে তার ওপর হামলা চালায়। কিন্তু শিরিনের সাহায্যে এগিয়ে আসে নূরী ও মিলি। মহিলারা বাঁশের লাঠি নিয়ে ম্যানেজারকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। এভাবে লম্পট ম্যানেজার উপযুক্ত শাস্তি পায়।
ছবির প্রধান প্রযোজক ছিলেন হুমায়ূন ফরীদি। শহীদুল ইসলাম খোকন ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক। তিনি এই চলচ্চিত্রের জন্য উত্তরায় অবস্থিত তার আবাসিক বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছিলেন।[৮]
পালাবি কোথায় সহজ উপায়ে নারীর অধিকারের পক্ষে একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠ হয়ে দেখিয়েছে। ছবিটি মুক্তির পর দর্শকরা বেশ সাড়া ফেলে। এটি চলচ্চিত্রের বার্তা এবং অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করেছিল।[৭]
পালাবি কোথায় | |
---|---|
কর্তৃক সঙ্গীত | |
মুক্তির তারিখ | ১৯৯৭ |
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত |
ভাষা | বাংলা |
পালাবি কোথায় চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "জাদু রে সোনা রে ও খুকুমণি রে আমাকে ভালবাসো রে" | মিল্টন খন্দকার | সৈয়দ আব্দুল হাদী, রুনা লায়লা |
পুরস্কার শিরোনাম | শ্রেণী | পুরস্কারপ্রাপ্ত | ফলাফল |
---|---|---|---|
বাচসাস পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ সহকারী অভিনেত্রী | চম্পা | বিজয়ী |
সেরা চিত্রনাট্য লেখক | কাজী মোরশেদ | বিজয়ী | |
বিশেষ জুরি পুরস্কার | শহিদুল ইসলাম খোকন | বিজয়ী |