পিছন্দি Shiral | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Malvales |
পরিবার: | মালভেসি |
উপপরিবার: | Grewioideae |
গণ: | Microcos |
প্রজাতি: | M. paniculata |
দ্বিপদী নাম | |
Microcos paniculata L. | |
প্রতিশব্দ | |
|
পিছন্দি একপ্রকার ফল যার বৈজ্ঞানিক নাম মাইক্রোকস পানিকুলাটা (Microcos paniculata)।[২] এই ফলটিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। কোথাও কোথাও এটি আছার আবার কোথাও আসার, পটকা, ফট্টাশ, দাতই ইত্যাদি নামে পরিচিত। সারা বাংলাদেশেই বন এলাকায় এ ফল গাছ দেখা যায় যদিও চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও ময়মনসিংহের বন-জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। এটি একটি বুনো ফল হিসেবে পরিচিত। পিছন্দি গাছ প্রতিকূল পরিবেশে টিঁকে থাকতে পারে। এটি মাঝারি আকারের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। পিছন্দির ফুল ছোট, সাদা রংয়ের, হালকা সুগন্ধযুক্ত। ফলও ছোট। ফলের ব্যাস মাত্র ০.৮ সেন্টিমিটার। সুগোল ফলটি টিকটিকির ডিমের মতো। ফলের বোঁটা একটু লম্বা। পাকা আছার গুটির রং কালো। পাকা ফল খেতে দানা দানা লাগে।[৩]
আছার গাছ তথা মাইক্রোকস পানিকুলাটা'র বেশ ক'টি বৈজ্ঞানিক প্রতিনাম (Synonims) আছে।[৪] যথা,
আছার বা পিছন্দি গাছকে হিন্দী ভাষায় শিরল, মারাঠি ভাষায় হসোলী, তামিল ভাষায় বিশালম ও তটম, মলয়ালম ভাষায় কোট্টক্ক, কন্নড় ভাষায় অভরাঙ্গা, চীনা ভাষায় Bù Zhā Yè, মগ ভাষায় তারক, গারো ভাষায় বোল-সুব্রেত মার্মা ভাষায় এবা, তারনী এবং মুরং ভাষায় ইয়োরিয়া সোক নামে অভিহিত করা হয়।[৫]
আছার গাছের পাতায় Isorhamnetin, Kaempferol, Quercetin নামক রাসায়নিক দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। ডাঁটার বাকলে N-Methyl-6β-(deca-l′,3′,5′-trienyl)-3β-methoxy-2β-methylpiperidine ইত্যাদি বিশেষ ধরনের এলকালয়েড থাকে, যা কীটনাশকে ব্যবহার হয়।[৬][৭]
আছার গাছের পাতার রস বদহজম, একজিমা এবং টাইফয়েডের জ্বরে ব্যবহার হয়। [২]