পিছন্দি

পিছন্দি
Shiral
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Malvales
পরিবার: মালভেসি
উপপরিবার: Grewioideae
গণ: Microcos
প্রজাতি: M. paniculata
দ্বিপদী নাম
Microcos paniculata
L.
প্রতিশব্দ
  • Microcos nervosa (Lour.) S.Y. Hu []

পিছন্দি একপ্রকার ফল যার বৈজ্ঞানিক নাম মাইক্রোকস পানিকুলাটা (Microcos paniculata)।[] এই ফলটিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। কোথাও কোথাও এটি আছার আবার কোথাও আসার, পটকা, ফট্টাশ, দাতই ইত্যাদি নামে পরিচিত। সারা বাংলাদেশেই বন এলাকায় এ ফল গাছ দেখা যায় যদিও চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট ও ময়মনসিংহের বন-জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। এটি একটি বুনো ফল হিসেবে পরিচিত। পিছন্দি গাছ প্রতিকূল পরিবেশে টিঁকে থাকতে পারে। এটি মাঝারি আকারের বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। পিছন্দির ফুল ছোট, সাদা রংয়ের, হালকা সুগন্ধযুক্ত। ফলও ছোট। ফলের ব্যাস মাত্র ০.৮ সেন্টিমিটার। সুগোল ফলটি টিকটিকির ডিমের মতো। ফলের বোঁটা একটু লম্বা। পাকা আছার গুটির রং কালো। পাকা ফল খেতে দানা দানা লাগে।[]

বৈজ্ঞানিক প্রতিনামসমূহ

[সম্পাদনা]

আছার গাছ তথা মাইক্রোকস পানিকুলাটা'র বেশ ক'টি বৈজ্ঞানিক প্রতিনাম (Synonims) আছে।[] যথা,

  • Grewia microcos
  • Grewia nervosa
  • Fallopia nervosa
  • Microcos nervosa
  • Microcos paniculata L.

অন্য ভাষায় নাম

[সম্পাদনা]

আছার বা পিছন্দি গাছকে হিন্দী ভাষায় শিরল, মারাঠি ভাষায় হসোলী, তামিল ভাষায় বিশালম ও তটম, মলয়ালম ভাষায় কোট্টক্ক, কন্নড় ভাষায় অভরাঙ্গা, চীনা ভাষায় Bù Zhā Yè, মগ ভাষায় তারক, গারো ভাষায় বোল-সুব্রেত মার্মা ভাষায় এবা, তারনী এবং মুরং ভাষায় ইয়োরিয়া সোক নামে অভিহিত করা হয়।[]

রাসায়নিক দ্রব্য

[সম্পাদনা]

আছার গাছের পাতায় Isorhamnetin, Kaempferol, Quercetin নামক রাসায়নিক দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। ডাঁটার বাকলে N-Methyl-6β-(deca-l′,3′,5′-trienyl)-3β-methoxy-2β-methylpiperidine ইত্যাদি বিশেষ ধরনের এলকালয়েড থাকে, যা কীটনাশকে ব্যবহার হয়।[][]

ভেষজ ব্যবহার

[সম্পাদনা]

আছার গাছের পাতার রস বদহজম, একজিমা এবং টাইফয়েডের জ্বরে ব্যবহার হয়। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৮ 
  2. "MEDICINAL PLANTS OF BANGLADESH INFO"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  3. মৃত্যুঞ্জয় রায়: বাংলার বিচিত্র ফল। দিব্য প্রকাশ,২০০৭, ঢাকা। আইএসবিএন ৯৮৪-৪৮৩-২৬৬-৭ পৃ: ১৫৬-১৫৭।
  4. India Biodiversity.org
  5. Flowers of India
  6. Alternative Healing.org এর ওয়েবপেইজ
  7. Chinese Medicinal Plant Images Database