ফরিদা জালাল | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
কর্মজীবন | ১৯৬০–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | তাবরেজ বরমাভার |
সন্তান | ইয়াসিন জালাল |
পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: পরশ (১৯৭২) শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: হান্না (১৯৯২) শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক): মাম্মো (১৯৯৫) শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা অভিনেত্রী: দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (১৯৯৬) |
ফরিদা জালাল (জন্মঃ ১৪ মার্চ ১৯৪৯) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি ১৯৬০ দশক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অসংখ্য চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনে অভিনয় করে আসছেন।
ফরিদা জালাল ১৯৪৯ সালে ভারতের নয়া দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। তিনি ১৯৬০ সালের দিকে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক টেলেন্ট হান্ট কর্তৃক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রাজেশ খান্নার সাথে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সাথে মঞ্চে হাজির হন। তিনি চারকচাদ বরজাতোর কাছ থেকে "তাকদির" চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করার প্রস্তাব পান।[১]
তিনি সাধারণত বোন অথবা প্রত্যাখ্যাত বাগদত্তার চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তাঁর সবচেয়ে সমালোচিত চরিত্র হল ববি; যেখানে তিনি ঋষি কাপুর এর রাজে মানসিকভাবে মোকাবেলা করা হবু বাগদত্তার ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় ফুটিয়ে তোলেন। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর থেকে বান্ধবী, চাচী, মা অথবা নানীর চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে তাঁকে "আরাধনা" চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্মরণ করা হয়; যেখানে তিনি রাজেশ খান্নার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি "বাগো মে বাহার হ্যায়, খিলো পে নিখার হ্যায়" নামক গান গেয়েছিলেন।
তিনি ৪০ বছরের উর্দ্ধে সময় ধরে চলচ্চিত্রে শিল্পে অবস্থান করছেন। যেখানে তিনি বেঙ্গালুরু নিজের বসতি স্থাপন করার কারণে শুধুমাত্র ১৯৮৩ এবং ১৯৯০ সালের সময়ে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন।
ফরিদা জালাল ১৯৯০ সালের সময়ে ভারতে অনেক বড় ব্যাবসা সফল চলচ্চিত্রের অংশ ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছে যেমনঃ রাজা হিন্দুস্তানী, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, দিল তো পাগল হ্যায়, কাহো না... প্যায়ার হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম... এবং দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে এর মত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। যার স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-তারকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে তিনি মাম্মো নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। হিন্দি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চলচ্চিত্র হিসেবে এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) লাভ করে। এছাড়াও তিনি তার অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতার জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচনা পুরস্কারও লাভ করেন। চলচ্চিত্রে কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি অনেক টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। যেমনঃ জনপ্রিয় ধারাবাহিক সিটকম, দেখ বহি দেখ।
২০০৫ সালে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ৫০ তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অনুষ্ঠানে সাইফ আলী খান ও সোনালী বেন্দ্রের সাথে সহকারী উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। ২০০৮ সালের তিনি পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র "আরিয়ান" এ বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি "বালিকা বধূ" নামের একটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন।
ফরিদা জালাল ভাটকালের অভিনেতা তাবরেজ বরমভারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর তাঁর স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ইয়াসিন নামে এটি সন্তান রয়েছে। তিনি তাঁর স্বামীর সাথে "জীবন রেখা" নামক চলচ্চিত্রের কাজের সময়ে প্রথম পরিচিত হন এবং তাঁরা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ১৯৭৮ সালে নভেম্বরে তাঁরা বিবাহ করেন। বিয়ের পরে প্রাথমিকভাবে তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পাননি, যার ফলে তাঁর স্বামীর একটি সাবান কারখানা ব্যবসা সামলাতে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি জমান।[১]
বছর | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | উল্লেখযোগ্য |
---|---|---|---|
১৯৬৩ | ইয়ে রিস্তা হ্যায় প্যায়ার কে | গীতা | |
১৯৬৭ | তকদীর | গীতা (গোপালের ছোট মেয়ে) | |
১৯৬৯ | মহল | ||
আরাধনা | রেনু | নায়িকা হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় | |
১৯৬৮ | বাহারু কি মঞ্জিল | ||
১৯৭০ | পুরস্কার | রেশমা | |
নয়া রাস্তা | রাধা প্রতাপ সিং | ||
গোপি | নন্দিনী | ||
দেবী | শােভা |