কান্দো কাবরাল | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম | লা প্লাতা, বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনা | ২২ মে ১৯৩৭
মৃত্যু | ৯ জুলাই ২০১১ গুয়াতেমালা সিটি, গুয়াতেমালা | (বয়স ৭৪)
ধরন | ত্রোবাদোর, ফোকলোর, ফোক রক |
পেশা | গায়ক-গীতিকার |
বাদ্যযন্ত্র | গিটার, হারমোনিকা |
কার্যকাল | ১৯৫৯-২০১১ |
ফাকান্দো কাবরাল (জন্ম: ২২ মে, ১৯৩৭ -মৃত্যু: ৯ জুলাই, ২০১১) লা প্লাতায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট আর্জেন্টেনীয় গায়ক, গীতিকার ও দার্শনিক ছিলেন।[১] 'নো সয় দে আকুই নি সয় দে আলা' শীর্ষক গানে সুর করে সর্বাধিক পরিচিত পেয়েছেন তিনি।[২] তার গানগুলো স্পেনীয় ভাষায় আলবার্তো কর্তেজ অনুবাদ করেছিলেন।
সচরাচর ধরে নেয়া হয় যে, কাবরাল কখনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে জড়িত নন। তাস্বত্ত্বেও তিনি বেশ কয়েকবছর যাবৎ যুদ্ধ-সংঘর্ষ থামাতে শান্তিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের পর ১৯৮০-এর দশকে শুরুতে নিজ জন্মভূমিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। মালভিনাস যুদ্ধের পর আর্জেন্টেনীয় বেতারে অংশগ্রহণের ফলেই তার এ সাফল্য আসে। এছাড়াও, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় তার অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা ছিল। পেরু ও মেক্সিকোকে তিনি দ্বিতীয় জন্মভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করতেন। ঐ দেশগুলোয় তার সঙ্গীত আয়োজনের অনেক পূর্বেই টিকেট বিক্রী হয়ে যেতো।
১৯৯৬ সালে তাকে ইউনেস্কো কর্তৃক শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৩]
নয় বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে পারতেন না। চৌদ্দ বছর বয়স পর্যন্ত অশিক্ষিত ছিলেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে বিপত্নীক হন ও ৪৬ বছর বয়সে বাবার সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। তার শৈশবকাল তেমন বর্ণাঢ্যময় ছিল না। খুব ছোটবেলায় বাড়ী থেকে বের হয়ে যান ও জীবিকা নির্বাহে সকল ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করতেন। শুরুতে হোঁচট খেলেও তিনি তার গান, কবিতা ও রচিত ৬৬টি বইয়ের মাধ্যমে অগণিত লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। নয় বছর বয়সেই মা ও ভাই-বোনদের সহায়তার লক্ষ্যে চার শতাধিক কিলোমিটার হাঁটেন। ঐ সময়ে তার বাবা তাদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। বাড়ী ছেড়ে চলে যাবার সময় তার মাকে বলেছিলেন, এটি আমার দ্বিতীয় ও সর্বশেষ উপহার হিসেবে আমি তোমাকে দেব।
মার দেল প্লাতায় চলে যান ও একটি হোটেলে কাজ পান। দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী তার গিটার দেখে তাকে গান পরিবেশন করার সুযোগ দেন। তিনি গান লিখেছেন যা অগণিত লোক উজ্জ্বীবিত হয়েছেন। মাদার তেরেসার সাথেও তার স্বাক্ষাৎ ঘটেছে। আটটি ভিন্ন ভাষায় ১৬৫-এর অধিক দেশ ভ্রমণ করেন।
শুরুতে তার নাম ছিল এর ইন্দিয়ো গাসপারিনো। ১৯৭৮ সালে তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী কন্যা পিএসএ ফ্লাইট ১৮২ ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে বিধ্বস্ত হলে তারা নিহত হন। তিনি প্রায় অন্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি হাঁড়ের ক্যান্সারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিশ বছর বয়সে চিকিৎসাকালে ডাক্তার তাকে কয়েকমাস বেঁচে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘজীবন লাভ করে সকলের অনুকরণীয় থাকেন।
মঞ্চে গান পরিবেশনের উদ্দেশ্যে গুয়াতেমালা সফর করেন। নিহত হন তিনি। ৯ জুলাই, ২০১১ তারিখে লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাবার পথে গুয়াতেমালা সিটিতে আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।[৪]