ফাতিমা বেগম | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯২ ভারত |
মৃত্যু | ১৯৮৩ (বয়স ৯০–৯১) ভারত |
পেশা | অভিনেত্রী, পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | নওয়াব সিদী ইব্রাহিম মুহাম্মদ ইয়াকুত খান তৃতীয় (অভিযোগে) |
সন্তান | ৩, অন্তর্ভুক্ত হলেন - জুবেইদা এবং সুলতানা (অভিনেত্রী) |
আত্মীয় | রিয়া পিল্লাই (মেয়ের নাতনী) |
ফাতিমা বেগম (১৮৯২-১৯৮৩) ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, পরিচালক, এবং চিত্রনাট্যকার। তাকে প্রায়ই ভারতের চলচ্চিত্রের প্রথম নারী চলচ্চিত্র পরিচালক বলে মনে করা হয় । [১] চার বছর বয়সে, তিনি লিখতে শুরু করেন, তৈরি করেন অনেক বিদেশি ছায়াছবি। তিনি তার নিজেস্ব প্রোডাকশন হাউস চালু করেন। ফাতিমা ফিল্মস নামে তিনি এই কোম্পানি চালু করেন। কোম্পানিটি পরবর্তীত হয়ে ভিক্টোরিয়া-ফা্তিমা ফিল্মস হয়ে উঠে এবং এটিতে পরিচালিত তার প্রথম চলচ্চিত্র বুলবুল-ই-পরিস্তান, যা ১৯২৬ সালের চলচ্চিত্র ছিল।[২][৩] ১৮৯২-১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি তার মা তার তিনজন বাচ্চার সাথে বসবাস করতেন।
ফাতিমা বেগম ভারতের একটি উর্দু ভাষায় কথা বলা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ফাতিমা বেগমের শচীন রাজ্যের তৃতীয় নবাব সিদি ইব্রাহিম মুহাম্মদ ইয়াকুত খানের সাথে। [৪] তবে নবাব ও ফাতিমার মধ্যে নবাবের কাছে একটি বিবাহ চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। চুক্তি হয়েছিল তার কোন সন্তানকে তার নিজের সন্তান হিসাবে স্বীকৃতি দিতে পারবেন না। মুসলিম পারিবারিক আইনে আইনি পিতৃত্বের পূর্বশর্ত। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় তারকা জুবেইদা, সুলতানা এবং শেহজাদির মা । [১] তিনি হুমায়ূন ধনরাজগীর ও দুরেশ্বরশ্বর ধনরাজগীরের নানী। হুদায়েদার মহারাজা নরসিংয়ির ধনরাজগীর এবং করাচির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেঠ রাজাকের কন্যা । তিনি মডেল পরিণত অভিনেত্রী রিয়া পিল্লাইয়ের দাদি দুরেশ্বরশ্বর ধনরাজগীরের কন্যা ছিলেন । [৫]
তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন উর্দু মঞ্চে। এরপরে তিনি চলচ্চিত্রে স্থানান্তরিত হন এবং আর আরদেশির ইরানির চলচ্চিত্র বীর অভিমন্যু তে (১৯২২) তিনি তার আত্মপ্রকাশ করেন। [১] তার সময়ে পুরুষদের সাথে নারীদের নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করা প্রচলিত ছিল। তাই তিনি হয়ে উঠলেন বিশাল এক নারী তারকা। ফাতিমা বেগম ফর্সা ছিলেন এবং গাঢ় মেক-আপ করেছেন, তার এই মেক-আপ কালো এবং সাদা চলচ্চিত্রের জন্য উপযুক্ত।
১৯২৬ সালে তার প্রতিষ্ঠিত ফাতিমা ছায়াছবি ১৯২৮ সালে ভিক্টোরিয়া-ফাতিমা ছায়াছবি নামে পরিচিত হয়ে। তিনি হয়ে ওঠেন একজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ফাতিমা ছায়াছবিতে ব্যবহার করতেন কৌতুক ফটোগ্রাফি যা তাড়াতাড়ি তার চলচ্চিত্রে বিশেষ প্রভাব দিয়েছে। তিনি ছিলেন একজন অভিনেত্রী।
বেগম ১৯২৬ সালের চলচ্চিত্র, বুলবুল-ই-পরিস্তান চলচ্চিত্র নির্ণান করার জন্য এবং এই চলচ্চিত্র থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম মহিলা পরিচালক হন।[৬] যদিও চলচ্চিত্রের কোনও পরিচিত দৃশ্য বিদ্যমান থাকে না। তবে উচ্চ বাজেটে নির্মাণ করা একটি দারুণ চলচ্চিত্র হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে এটাকে। এই চলচ্চিত্র অনেকের কাছে বিশেষ প্রভাব সমন্বিত করেছে। সত্য হলে, জর্জ গলির মতো কল্পনাপ্রসূত চলচ্চিত্রের প্রারম্ভিক অগ্রগামীদের মধ্যে চলচ্চিত্রটি ছিল বেগমের স্থান। তার নিজের কাজে উৎপন্ন ও উপস্থিত হওয়ার সময় তিনি ১৯৩৮ সালে তার শেষ চলচ্চিত্র পর্যন্ত কোহিনুর স্টুডিও এবং ইম্পেরিয়াল স্টুডিওর জন্য কাজ করেছিলেন তার তখব তার চলচ্চিত্রটির নান ছিল, দুনিয়া কি হায়?
তার নির্দেশ অন্যান্য অনেক ছায়াছবি তৈরি করা হয়েছে। তবে তার শেষ হচ্ছে ভাগ্য দেবী ১৯২৯ সালের চলচ্চিত্র ছিল এটা।
তিনি মারা যান ১৯৮৩ সালে। মৃত্যুর আগে তার বয়স ছিল ৯১ বছর। তার উত্তরাধিকার বাহিত ছিল তার কন্যা জুবেইদার মাধ্যমে। তার কন্যা একটি নির্বাক চলচ্চিত্রের তারকা। তার অভিনীত ভারতের প্রথম টকি, আলম আরা। [১]