ফারতুন আদান فارتون آدن | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | সমাজকর্মী |
উপাধি | এলমান শান্তি ও মানবাধিকার কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর |
দাম্পত্য সঙ্গী | এলমান আলী আহমেদ |
ফারতুন আদান (সোমালি: Fartuun Aadan, আরবি: فارتون آدن) হলেন সোমালিয়ার একজন সমাজকর্মী।
ফারতুন আদান বেড়ে উঠেছেন সোমালিয়ায়। তিনি এলমান আলী আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এলমান আলী আহমেদ ছিলেন একজন উদ্যোক্তা এবং শান্তিকর্মী।[১][২] এলমান-ফারতুন দম্পতির চার কন্যাসন্তান ছিল।[২]
১৯৯৬ সালে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে এলমান আলী আহমেদকে হত্যা করা হয়।[২] পরবর্তীকালে, ১৯৯৯ সালে ফারতুন আদান কানাডা গমন করেন।[১] ২০০৭ সালে তিনি সোমালিয়ায় ফিরে আসেন।[১]
দেশে ফিরে এসে তিনি শান্তি ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। তিনি তার স্বামীর স্মৃতিকে উপজীব্য করে এলমান শান্তি ও মানবাধিকার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] তিনি সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার মেয়ে ইলোয়াদ এলমান তার সাথে সংগঠনটিতে কাজ করে থাকেন।[৪]
সংস্থাটির মাধ্যমে ফারতুন আদান 'সিস্টার সোমালিয়া' সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন, যেটি ছিল দেশটির প্রথম কর্মসূচী যা দেশটির যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করে থাকে।[১]
ফারতুন আদানকে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।[৩] ২০১৪ সালে এলমান শান্তি ও মানবাধিকার কেন্দ্রে তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে পুরস্কার প্রদান করে জার্মানি সরকার।[৫] তিনি ও তার মেয়ে ইলোয়াদ এলমান ২০১৭ সালে অরোরা মানবিকতা জাগরণ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।[৬]