ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফিলিপ ফিল অ্যালেন এমরি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট ইভস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ২৫ জুন ১৯৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফিল্থি, স্লিঙ্ক ও ফ্যাটি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৩৬২) | ১ নভেম্বর ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র ওডিআই (ক্যাপ ১২০) | ৩০ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ - ১৯৯৯ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
ফিলিপ ফিল অ্যালেন এমরি (ইংরেজি: Phil Emery; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৬৪) নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট ইভস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন ‘ফিল্থি’ ডাকনামে পরিচিত ফিল এমরি।
নিউ সাউথ ওয়েলসের লিন্ডফিল্ড এলাকায় নিউইংটন কলেজ প্রিপারেটরি স্কুলে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত পড়াশুনো করেছেন ফিল এমরি।[২] এরপর নর্থ সিডনির শোর স্কুলে ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। শোরে থাকাকালে ক্রিকেট ও রাগবি খেলায় অধিনায়কত্ব করেন। জিপিএস দলের পক্ষে উভয় খেলায় প্রতিনিধিত্ব করেন।
এছাড়াও, তিনি চমৎকার সাঁতারু হিসেবে পরিচিতি পান। বিদ্যালয় জীবনের শুরুরদিকে ডাইভার হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। সিডনি গ্রেড ক্রিকেট পর্যায়ে গর্ডন দলের পক্ষে খেলেন।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত ফিল এমরি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে তিনি নিয়মিত উইকেট-রক্ষক গ্রেগ ডায়ারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে এক দশকেরও অধিক সময় খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১২১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ৩৩৭ ক্যাচ ও ৪৭টি স্ট্যাম্পিং করে ১৯৯৯ সালে খেলার জগতকে বিদেয় জানান।
বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন। বেশ কয়েকবার নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৭টি অর্ধ-শতকের পাশাপাশি একটি শতরানের ইনিংস খেলেন। ফলশ্রুতিতে প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের কাছে তার ব্যাটিংয়ের মান বেশ মূল্যবান ছিল। ব্যাট হাতে নিয়ে ২৬-এর অধিক গড়ে রান তুলেন। এ পর্যায়ে ৩২৯২টি প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবনের শীর্ষে আরোহণকালে ফিল্থি, স্লিঙ্ক ও ফ্যাটি ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতার ৪২তম শিরোপা জয়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দলের নিয়মিত অধিনায়ক মার্ক টেলরের অনুপস্থিতিতে স্বার্থকতার সাথে নেতৃত্ব দেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে স্বল্পকালীন উপস্থিতি স্বত্ত্বেও ফিল এমরিকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ফিল এমরি। ১ নভেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। লাহোরে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি ডিসমিসালের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। একই সিরিজে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
এরপূর্বে ৩০ অক্টোবর, ১৯৯৪ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। উভয় খেলাতেই আঘাতের কারণে অনুপস্থিত নিয়মিত উইকেট-রক্ষক ইয়ান হিলি’র পরিবর্তে খেলেন। এরফলে, দীর্ঘদিনের উইকেট-রক্ষক ইয়ান হিলি ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সাথে তৃতীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে তারকা ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা’র বল মোকাবেলায় অগ্রসর হয়েছিলেন।
২ সেপ্টেম্বর, ২০০২ তারিখে মার্ক টেলর, জন ডাইসন, ফিল এমরি, মাইক হুইটনি ও জিওফ লসনকে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে আজীবন সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।