Fort Lauderdale, Florida | |
---|---|
City | |
City of Fort Lauderdale-Hollywood | |
ডাকনাম: Venice of America | |
U.S. Census Bureau map | |
Location in Florida and the United States | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৮′ উত্তর ৮০°৯′ পশ্চিম / ২৬.১৩৩° উত্তর ৮০.১৫০° পশ্চিম | |
Country | যুক্তরাষ্ট্র |
State | Florida |
County | Broward |
Established | March 27, 1911 |
সরকার | |
• ধরন | Commission-Manager |
• Mayor | Dean Trantalis (D) |
• Vice Mayor | Ben Sorensen[১] |
• Commissioners | Heather Moraitis, Robert L. McKinzie, Steven Glassman[২][৩] |
• City Manager | Christopher Lagerbloom[২][৪] |
• City Clerk | Jeffrey A. Modarelli[২][৫] |
আয়তন[৬] | |
• City | ৩৬.৩০ বর্গমাইল (৯৪.০১ বর্গকিমি) |
• স্থলভাগ | ৩৪.৫৯ বর্গমাইল (৮৯.৫৮ বর্গকিমি) |
• জলভাগ | ১.৭১ বর্গমাইল (৪.৪৪ বর্গকিমি) ৯.৮৭% |
উচ্চতা[৭] | ৯ ফুট (২.৭৫ মিটার) |
জনসংখ্যা (2010) | |
• City | ১,৬৫,৫২১ |
• আনুমানিক (2019)[৮] | ১,৮২,৪৩৭ |
• জনঘনত্ব | ৫,২৭৪.৮৮/বর্গমাইল (২,০৩৬.৬৪/বর্গকিমি) |
• মহানগর | ৫৭,৬২,৭১৭ (US: ৮th) |
সময় অঞ্চল | Eastern (EST) (ইউটিসি−5) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | EDT (ইউটিসি−4) |
ZIP codes | 33301, 33304-33306, 33308-33309, 33312-33313, 33315-33316, 33334, 33394[৯] |
এলাকা কোড | 754, 954 |
FIPS code | 12-24000 |
GNIS feature ID | 0282693[১০] |
ওয়েবসাইট | www |
ফোর্ট লডারডেল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি শহর। এটি মিয়ামি শহরের ২৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ফোর্ট লডারডেলের জনসংখ্যা ১,৮২,৪৩৭। [১১] এটি মিয়ামি মেট্রোপলিটন এলাকার অন্যতম প্রধান শহর।
পর্যটকদের জন্য ফোর্ট লডারডেল একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে বছরে গড়ে ৩০০০ ঘণ্টা সূর্যোদয় হয় ও গড় তাপমাত্রা থাকে ৭৫.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ২০১৮ সালে এখানে ১ কোটি ৩০ লক্ষ পর্যটক আগমন করেছিলেন। শহরে ৫৬০টি হোটেল অবস্থিত। হোটেল উন্নয়ন কর বাবদ ২০১৮ সালে লডারডেল শহর কর্তৃপক্ষ ৮.৭ কোটি ডলার রাজস্ব আদায় করে। ৩৮.৯ লক্ষ পর্যটক শহরের এভারদেস বন্দরে প্রমোদতরীতে ভ্রমণ উপভোগের জন্য আগমন করেছিলেন। এভাবেই এভারদেস বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্রমোদ বন্দর হয়ে ওঠেছে। [১২]
দ্বিতীয় সেমিনোল যুদ্ধের (১৮৩৫-১৮৪২ সালে ফ্লোরিডায় মার্কিন সেনাবাহিনী ও আদিবাসীদের মধ্যে চলা সংঘাত) সময় নির্মিত দুর্গগুলোর নামানুসারে শহরের নাম হয় ফোর্ট লডারডেল। লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেমস লডারডেলের ছোট ভাই উইলিয়াম লডারডেলের নামানুসারে দুর্গগুলোর নাম "লডারডেল"। উইলিয়াম লডারডেল প্রথম দুর্গ নির্মাণকারী বাহিনীর সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। [১৩] সংঘাতের ৫০ বছর পরে ৫০ বছর পরে শহরের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়।
লডারডেল নামে তিনটি দুর্গ ছিল।
যে এলাকায় ফোর্ট লডারডেল শহরটি গড়ে ওঠেছে , সে এলাকায় দু হাজার বছর ধরে তেকুইস্তা আদিবাসীরা বসবাস করত। [১৪] স্পেনীয়দের সাথে তেকুইস্তাদের দেখা হওয়ার পর শীঘ্রই তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। স্পেনীয়রা গুটিবসন্তের মত ক্ষতিকর রোগ ফ্লোরিডায় নিয়ে আসে। তেকুইস্তা আদিবাসীরা গুটিবসন্তের মতো কালব্যাধির হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারেনি। কালুসা উপজাতির লোকের সাথে তারা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হয়। এসব ঘটনাপ্রবাহের ফলে তেকুইস্তাদের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পায়। [১৪] ১৭৬৩ সালে সাত বছরের যুদ্ধের অবসানের পর স্পেনীয়রা ব্রিটিশদের হাতে লডারডেলের নিয়ন্ত্রণ অর্পণ করে। তখন দু-একজন ছাড়া তেকুইস্তা জাতির প্রায় সব মানুষ পালিয়ে কিউবা চলে যায়। [১৪]
বিংশ শতাব্দীর পূর্বে ফোর্ট লডারডেল "নিউ রিভার" বসতি নামে পরিচিত ছিল। ১৮৩০ এর দশকে সত্তর জন এখানে বসতি স্থাপন করেন। সেমিনোল আদিবাসীরা ১৮৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি, ব্যবসায়ী উইলিয়াম কুলির খামার আক্রমণ করে তার স্ত্রী-সন্তান ও সন্তানের গৃহশিক্ষককে হত্যা করে। এ ঘটনার পর বসতি স্থাপনকারীরা লডারডেল ছেড়ে পালিয়ে যান। [১৫]
১৮৩৮ সালে লডারডেল দুর্গ নির্মাণ করা হয় ও দ্বিতীয় সেমিনোল যুদ্ধের কার্য পরিচালনা করা হয়। ১৮৪২ সালে দুর্গটি পরিত্যক্ত হয়। ১৮৯০ সালের আগে এখানে কেউ বসতি স্থাপন করেনি। ১৮৯৩ সালে ফ্র্যাঙ্ক স্ট্রানাহান এখানে ফেরি পরিচালনার উদ্যোগ নিলে ও ১৮৯৬ সালে ফ্লোরিডার পূর্ব উপকূলীয় রেলসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে নতুন করে বসতি স্থাপন শুরু হয়। ১৯১১ সালে শহরটিকে স্থানীয় শাসনের আওতাভুক্ত করা হয়। ১৯১৫ সালে একে নবগঠিত ব্রোয়ার্ড কাউন্টির সদর দপ্তর ঘোষণা করা হয়। [১৪]
১৯২০ সালে ফ্লোরিডার ভূমি সংস্কারের পরে দ্রুত ফোর্ট লডারডেলের উন্নতি সাধিত হতে থাকে। [১৪] তবে ১৯২৬ সালে মিয়ামি শহরে সংঘটিত ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ও ১৯৩০ সালের মহামন্দা শহরের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি করে দেয়। ১৯৩৫ সালের জুলাই মাসে রুবিন স্ট্যাসি নামের একজন আফ্রো-আমেরিকানকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফ্লোরিডা পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে একশ জন শ্বেতাঙ্গ পুলিশকে ভাগিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় ও গাছে ঝুলিয়ে ফাঁসি কার্যকর করে। এরপর মৃতদেহে তারা ক্রমাগত গুলিবর্ষণ করতে থাকে। রুবিনের দেহে পরবর্তীতে বিশটি গুলি পাওয়া যায়। নাৎসি জার্মানির সংবাদমাধ্যম এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিজেদের গণহত্যা কার্যক্রমকে বৈধতা দানের চেষ্টা করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফোর্ট লডারডেল একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি ছিল।[১৪]
১৯৬১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ফোর্ট লডারডেল সৈকতে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ১৯৫৪ সালে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সৈকত নির্মাণ করা হলেও ১৯৬৫ সালের আগে সেখানে যাওয়ার উপযুক্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ১৯৬১ সালের ৬ জুন কৃষ্ণাঙ্গরা ফোর্ট লডারডেল সৈকতে ধরনা দেওয়া শুরু করে। ১৯৬২ সালে বিচারক টেড ক্যাবট প্রদত্ত রায়ে সৈকত কর্তৃপক্ষের বর্ণবাদ অবৈধ ঘোষিত হয়।
ফোর্ট লডারডেল শহরের আয়তন ৯৯.৯ বর্গকিলোমিটার ; এর ৯০ কিলোমিটার স্থল ও ৯.৯ বর্গকিলোমিটার জল। [১৬] ফোর্ট লডারডেল শহরের অভ্যন্তরে বয়ে চলা খালগুলোর জন্য সুপরিচিত । নগরসীমার অভ্যন্তরে ১৬৫ মাইল জলপথ অবস্থিত।
ফোর্ট লডারডেল শহরের পূর্বে লডারডেল-বাই-দ্য সি শহর ও সি র্যাঞ্চ লেকস গ্রাম , দক্ষিণে হলিউড ও ড্যানিয়া বিচ শহর, দক্ষিণ-পশ্চিমে ডেভি, পশ্চিমে প্ল্যান্টেশন, লডারহিল ও লডারডেল লেকস, উত্তর-পশ্চিমে নর্থ লডারডেল, ওকল্যাণ্ড পার্ক ও ট্যামারাক এবং উত্তরে উইলটন ম্যানরস ও পম্পানো বিচ শহর অবস্থিত।
ফোর্ট লডারডেলের জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি ধরনের। প্রকৃতপক্ষে এখানে কোনো শুষ্ক মৌসুম নেই। মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এখানে আর্দ্র মৌসুম। শুষ্ক মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ৭৫-৮২ ডিগ্রি ফারেনহাইট ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয় ৫৯-৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
বছরে গড়ে ৬৪.২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। বছরে গড়ে ২৫০ দিন সূর্যোদয় দেখা যায় ও ১৪৩ দিন বৃষ্টিপাত থাকে। ১ জুন-৩০শে নভেম্বর সময়ের মধ্যে প্রায়ই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- ইরমা (২০১৭), কাটরিনা ও উইলমা (২০০৫), ক্লিও (১৯৬৪), কিং (১৯৫০) ও ফোর্ট লডারডেল (১৯৪৭)।
আদমশুমারি ব্যুরোর ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী ফোর্ট লডারডেল শহরের জনসংখ্যা ১,৬৫,৫২১। ২০১৯ এর হিসাব অনুযায়ী শহরের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ১,৮২,৪৩৭। [১৭]
২০১০ এর তথ্যমতে, শহরের বাসিন্দাদের ১৩.৭% হিস্পানিক অথবা লাতিনো, ৩১% আফ্রিকান, ৫২.৫% অ-হিস্পানিক শ্বেতাঙ্গ, ১.৫% এশীয় ও ০.৬% আরব।
শহরের পরিবারগুলোর গড় আয় ৫৯,২৩৮ ডলার। পুরুষদের গড় আয় ৪৬,৭০৬ ডলার ও নারীদের গড় আয় ৩৭,৩২৪ ডলার। শহরের সকল বাসিন্দার গড় আয় ৩৫,৮২৮ ডলার। ১৩.১% পরিবার ও ১৮.২% বাসিন্দা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এদের মধ্যে ৩০.৩% এর বয়স ১৮ এর নিচে ও ১২.৫% এর বয়স ৬৫ এর উপরে।[১৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; USCensusEst2019
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি