ফ্রাঙ্ক আয়ারডেল

ফ্রাঙ্ক আয়ারডেল
১৮৯৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ফ্রাঙ্ক আয়ারডেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ফ্রান্সিস অ্যাডামস আয়ারডেল
জন্ম(১৮৬৭-০৬-১৮)১৮ জুন ১৮৬৭
সারে হিলস, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৫ এপ্রিল ১৯২৬(1926-04-15) (বয়স ৫৮)
ক্রোজ নেস্ট, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কফ্রান্সিস অ্যাডামস (কাকা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬৫)
১৪ ডিসেম্বর ১৮৯৪ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৪ আগস্ট ১৮৯৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১৩৩
রানের সংখ্যা ৮০৭ ৬৭৯৫
ব্যাটিং গড় ৩৬.৬৮ ৩৩.৬৩
১০০/৫০ ২/৪ ১২/৩৬
সর্বোচ্চ রান ১৪০ ১৯৬
বল করেছে ১২ ৪৮২
উইকেট
বোলিং গড় ৩৫.১৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৬/০ ১১১/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

ফ্রান্সিস অ্যাডামস আয়ারডেল (ইংরেজি: Frank Iredale; জন্ম: ১৯ জুন, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল, ১৯২৬) নিউ সাউথ ওয়েলসের সারে হিলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৪ থেকে ১৮৯৯ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ফ্রাঙ্ক আয়ারডেল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৯০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত ফ্রাঙ্ক আয়ারডেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ক্রিকেট খেলে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন। কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে চমৎকারভাবে রক্ষণাত্মক খেলার সাথে আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দিতেন। একুশ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। এরপর, ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত আর কোন খেলায় সুযোগ পাননি।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বড় ধরনের খেলাগুলোয় ছয়টি সেঞ্চুরি করেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ১৯৬ ও ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮৭ রান করেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৯০১-০২ মৌসুমে নিজ রাজ্য দলের পক্ষে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফ্রাঙ্ক আয়ারডেল। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ আগস্ট, ১৮৯৯ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

অ্যান্ড্রু স্টডার্টের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলেন। দেশে ও বিদেশে অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। ৩৬.৬৮ গড়ে ৮০৭ রান করেছিলেন। ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রান ১৪০ তুলেন।

১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ড গমনের জন্যে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। জুনের শেষদিকের পূর্ব-পর্যন্ত এ সফরে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। এরপর, নটসের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৫, ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ১১৪, হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ১০৬, প্লেয়ার্সের বিপক্ষে ১৭১, ম্যানচেস্টার টেস্টে ১০৮, ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৭৩, এবং এমসিসির বিপক্ষে ৬২ রান তুলেন। এ সফরে কেবলমাত্র এস. ই. গ্রিগরি, জো ডার্লিংক্লেম হিল তার তুলনায় এগিয়েছিলেন। ২৭.৩২ গড়ে ১,৩২৮ রান তুলেছিলেন। তিন বছর পর পুনরায় ইংল্যান্ড গমন করেন। এবার ২৯.৬৮ গড়ে ১,০৩৯ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, ক্রিস্টাল প্যালেসে ডব্লিউ. জি. গ্রেস একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৫ ও লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ১১১ রান করেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট জগতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ১৯২২ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ দায়িত্ব মৃত্যুপূর্ব পর্যন্ত পালন করেন। সংবাদপত্রে কাজ করার পাশাপাশি ‘থার্টি-থ্রি ইয়ার্স ক্রিকেট’ শিরোনামীয় গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ সালে সিডনিতে তার সম্মানার্থে অস্ট্রেলীয় একাদশ ও বাদ-বাকী একাদশের মধ্যে খেরার আয়োজন করা হয়। এ খেলা থেকে অর্জিত £১,৭৪০.১০ পাউন্ড তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

তার কাকা ফ্রান্সিস অ্যাডামস নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ১৮৫৮-৫৯ মৌসুমে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৫ এপ্রিল, ১৯২৬ তারিখে ৫৮ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রোজ নেস্ট এলাকায় ফ্রাঙ্ক আয়ারডেলের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]