ফ্রিৎস হেবার | |
---|---|
জন্ম | ৯ ডিসেম্বর ১৮৬৮ |
মৃত্যু | ২৯ জানুয়ারি, ১৯৩৪ (৬৫ বছর) |
জাতীয়তা | জার্মান[২][৩] |
মাতৃশিক্ষায়তন | হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন |
পরিচিতির কারণ | হেবার বস পদ্ধতি বর্ন-হেবার চক্র সার হেবার-ওয়েইশ বিক্রিয়া রাসায়নিক যুদ্ধ ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধ বিস্ফোরক |
দাম্পত্য সঙ্গী | ক্লারা ইমারওয়ার (1901–1915; her death; 1 child) ক্যারলট নাথান (1917–1927; divorced; 2 children) |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ভৌত রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | সুইস ফেডারেল ইনিস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কার্লসরুয়ে প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | কার্ল থিওডোর লীবারম্যান[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
ফ্রিৎস হেবার হলেন একজন জার্মান রসায়নবিদ যিনি ১৯১৮ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হেবার বস পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য, যা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয় নাইট্রোজেন গ্যাস ও হাইড্রোজেন গ্যাস থেকে অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণের জন্য।এই উদ্ভাবনটি বড় পরিসরে সার ও বিষ্ফোরক তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।বর্তমানে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার খাদ্য উৎপাদনের জন্য সার উৎপাদন এই পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।১৯১৯ সালে হেবার ও ম্যাক্স বর্ন যৌথভাবে ম্যাক্স-বর্ন চক্রের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে আয়নিক যৌগের ল্যাটিস শক্তি বের করা যায়।
হেবারকে অবশ্য রসায়নিক যুদ্ধের জনক বলা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বিশেষ করে ঈপ্রেসের ২য় যুদ্ধের সময় ক্লোরিন ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাসকে অস্ত্রায়ন নিয়ে নেতৃত্বমূলক কাজ করার জন্য।
ফ্রিৎস হেবার পুশিয়ার (বর্তমানে পোল্যান্ড) রকলও এ একটি সচ্ছল ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হেবার পরিবার ছিল সেই এলাকার একটি পরিচিত নাম। এ পরিবার শুরু হয় হেবারে দাদা পিংকুস সেলিগ হেবারের থেকে, যিনি তুলা ব্যবসায়ী ছিলেন। ফ্রিৎস হেবার ছিলেন সেইগফ্রিড ও পাপুলা হেবারের পুত্র। ফ্রিৎসের বাবা সেইগফ্রিড একজন সুপরিচিত সওদাগর ছিলেন, যিনি রং, প্যান্টও ফার্মাসিউটিক্যালের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন।[৪]:৬ হেবারের মা পাউলা গর্ভকালীন জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছিলন এবং হেবারের জন্মের তিন সপ্তাহ পর মারা যান।[৪]
যখন হেবারে বয়স প্রায় ছয় বছর, সেইগফ্রিড দ্বিতীয় বিয়ে করেন হেডউইগ হ্যামবার্গারের সাথে। সেইগফ্রিড এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীর তিন কন্যা সন্তান ছিল যাদের নাম এলসা,হেলেনা ও ফ্রেইডা। যদিও তার বাবার সাথে তার দূরবর্তী সম্পর্ক ছিল সে তার সৎমা ও সৎবোনদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। হেবার তার শিক্ষাজীবন শুরু করে জোহানিয়াম স্কুল এর মাধ্যমে, একটি সমকালীন স্কুল যা ক্যাথলিক, প্রোটেস্টেইন, ইহুদি শিক্ষার্থীদদের জন্য সমানভাবে খোলা ছিল[৪]। ১১ বছর বয়সে সে সেন্ট এলিজাবেথ ক্লাসিকাল স্কুলে ভর্তি হয়। তার পরিবার ইহুদি সমাজকে সমর্থন করত এবং নানা ইহুদি ঐতিহ্য পালন চলমান রাখত তবে সিনাগগের (ইহুদিদের ধর্মস্থান) সাথে দৃঢ়ভাবে যুক্ত ছিল না[৪] ফ্রিৎস হেবার ১৮৮৬ এর সেপ্টেম্বরে ব্রেসলুর সেন্ট এলিজাবেথ হাই স্কুলে সফলভাবে পাস করেন।[৪] যদিও তার বাবা চেয়েছিলেন তাকে রং কোম্পানিতে কাজ করাতে, হেবার বার্লিনের উইলহেলম বিশ্ববিদ্যালয়ে (বর্তমানে হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন) রসায়ন নিয়ে পড়ার জন্য বাবার অনুমতি লাভ করে।
১৮৮৯ সালে ব্রেসলাউতে (Breslau) হাবারের সাথে ক্লারা ইমারওয়াহরের দেখা হয়, যখন তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান অবস্থায় ছিলেন। ক্লারা ছিলেন একজন রসায়নবিদ, যিনি একটি চিনি কারখানার মালিক ছিলেন এবং ব্রেসলাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি (রসায়নে) অর্জনকারী প্রথম মহিলা ছিলেন। ১৯০১ সালের ৩ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাদের প্রথম ছেলে হারমানের জন্ম হয়েছিল ১৯০২ সালের ১লা জুন।