ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রেডরিক এডওয়ার্ড রামসে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্টেপনি, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ৪ ডিসেম্বর ১৯৩৫||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪২৫) | ২৩ জুলাই ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ জুলাই ১৯৬৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬০–১৯৬২ | ওরচেস্টারশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩–১৯৬৮ | সমারসেট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৯–১৯৭৩ | ডার্বিশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ |
ফ্রেডরিক এডওয়ার্ড রামসে (ইংরেজি: Fred Rumsey; জন্ম: ৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৫) লন্ডনের স্টেপনি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৫ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার, সমারসেট ও ডার্বিশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ফ্রেড রামসে।
১৯৬৭ সালে প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিসিএ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।[২]
৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ তারিখে লন্ডনের স্টেপনি এলাকায় ফ্রেড রামসের জন্ম। ১৯৬০ সালে ওরচেস্টাশায়ারের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ভবিষ্যতের ইংরেজ অধিনায়ক টনি লুইসকে আউট করে প্রথম উইকেট পেয়েছিলেন। পরবর্তী দুই বছরে তিনি আরও কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, ১৯৬৩ সালে সমারসেটে স্থানান্তর হবার পূর্বে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় একাদশে খেলার সুযোগ পেতেন।
ছয় মৌসুম সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ফ্রেড রামসে। এ সময়কালে ২০.১৪ গড়ে ৫৪৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেটের সন্ধান পান। তন্মধ্যে, ১৯৬৩, ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালে শত উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ব্যক্তিগত সেরা ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান তিনি। হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে নিম্নমুখী রানের খেলায় ৮/২৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। ঐ খেলায় ৩৩ উইকেট পতনে মাত্র ২৮৩ রান সংগৃহীত হয়েছিল। ঐ মৌসুমে মাত্র ১৬.১৮ গড়ে ১১৯টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন ফ্রেড রামসে। সাতবার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পেয়েছিলেন। সমারসেটের ইতিহাসে অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে ফ্রেড রামসে আবির্ভূত হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র ৫ টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২৩ জুলাই, ১৯৬৪ তারিখে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ফ্রেড রামসে’র। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক খেলায় বব সিম্পসনের ৩১১ রানের কল্যাণে পাহাড়সম ৬৫৬/৮ তুলে সফরকারীরা। ৩৫.৫ ওভার বোলিং করে ২/৯৯ পান যা কিছুটা স্বস্তিদায়ক ছিল। অবশ্য স্বাগতিক ইংরেজ দলও ৬০০ রানের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছিল। ওভালের পঞ্চম টেস্টে তাকে মূল একাদশে রাখা হয়নি।
১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ড দল ইংল্যান্ড গমন করে। তিন টেস্টে গড়া সিরিজের প্রত্যেকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা ৪/২৫ লাভ করেন। সমগ্র সিরিজে ২৫.৪৪ গড়ে নয় উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। জুলাইয়ের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। খেলায় ছয় উইকেট দখল করলেও এটিই তার ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।[১]
১৯৬৭-৬৮ মৌসুমের শীতকালে সমারসেট কর্তৃপক্ষ তাকে জনসংযোগ ও তহবিল বৃদ্ধি কর্মকর্তা পদে নিযুক্ত করে। ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এ ধরনের পদ এটিই প্রথম ছিল। ১৯৬৭ সালে ক্রিকেটে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। এ বছর প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন। এ ধরনের সংগঠন গঠনের পূর্বে পিসিএ ইংলিশ ক্রিকেট প্লেয়ার্স খুব কমই ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস প্রশাসনে খুব কমই কথা বলতো। খেলোয়াড়দের সংগঠনটি পরবর্তীতে ফ্রেড রামসেকে আজীবন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহঃসভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়।
১৯৬৯ মৌসুমে ফ্রেড রামসে পুনরায় কাউন্টি ত্যাগ করে ডার্বিশায়ারে চলে যান। সেখানে তিনি একদিনের ক্রিকেটে অংশ নিতে থাকেন এবং জনসংযোগ ও তহবিল বৃদ্ধি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
এরপর থেকে ১৯৭৩ মৌসুম পর্যন্ত ডার্বিশায়ারে অবস্থান করেন তিন। পুরো পাঁচ মৌসুমে কেবলমাত্র একবার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। বাথে সমারসেটের বিপক্ষে ঐ খেলাটি ছিল। তবে, সীমিত ওভারের খেলায় অনেকবারই অংশগ্রহণ ছিল ফ্রেড রামসের। ১৯৭০ সালে একদিনের খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে ওরচেস্টাশায়ারের বিপক্ষে ৪/৮ পেয়েছিলেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের সদস্যরূপে ১৮.৪৪ গড়ে ১০০ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৭২ সালে ডার্বিশায়ারের ক্যাপ লাভ করেন তিনি।
৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ তারিখে জন প্লেয়ার লীগে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলায় মাঠে হাজির হন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর লর্ডস ট্যাভার্নার্সের সাথে যুক্ত হন এবং দাতব্য খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশ নিতেন।
২০০৮ সালে ফ্রেড রামসেকে সমারসেটের সমর্থক গোষ্ঠী ক্রিকেট ক্লাবের কিংবদন্তীর সম্মাননায় ভূষিত করে। ঐ ক্লাবে ৬ মৌসুমে অংশ নিয়ে ৫৭০ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।