পুরুষদের জাঙ্গিয়া অথবা বক্সার শর্টস হচ্ছে পুরুষদের পরিধেয় নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস। ১৯৪৪ সাল থেকে বক্সার শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শব্দটি মুষ্টিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত হাফ-প্যান্ট থেকে চালু হয়েছিলো। বিভিন্ন ডিজাইনের বক্সার পাওয়া যায়।
১৯২৫ সালে জ্যাকব গলোম্ব মুষ্টিযোদ্ধাদের জন্য ইল্যাস্টিক ওয়েস্ট ট্রাঙ্ক তৈরি করেন, মুষ্টিযোদ্ধারা তখন লেদার-বেল্টের ট্রাঙ্ক পরতেন। এই ট্রাঙ্কগুলো এখন বক্সার ট্রাঙ্ক হিসেবে পরিচিত, ট্রাঙ্কগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো তবে ১৯৩০ এর দশকে নতুন জাঙ্গিয়া চালু হলে জ্যাকবের তৈরি করা ট্রাঙ্কের বিক্রি আস্তে আস্তে কমে যায়। ১৯৪৭ সালে বক্সার জাঙ্গিয়া আবার জনপ্রিয়তা অর্জন করা শুরু করে। পরবর্তী ৪০ বছরে এই বক্সার জাঙ্গিয়া তরুণ ছেলে সহ বয়স্ক পুরুষদের মাঝেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ত্রিভুজ জাঙ্গিয়ার পর এই বক্সার জাঙ্গিয়াই ছিলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত জাঙ্গিয়া। তখন যারা বক্সার জাঙ্গিয়া কিনতেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন মধ্যবয়সী, তাদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীতে আগে ছিলেন তারা সাদা রঙের বক্সার পছন্দ করতেন। শর্ট বক্সার তখনই চালু হয়ে গিয়েছিলো যেটা তরুণরা কিনতেন, এবং এটা বিভিন্ন রঙের পাওয়া যেত।[১] ১৯৮৫ সালে বক্সার জাঙ্গিয়া একটি ফ্যাশন হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলো।[২][৩] ১৯৯০ এর দশকে নতুন ধরনের বক্সার জাঙ্গিয়া চালু হয়।
মেয়েদের বক্সার সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা মেয়েদের অন্তর্বাসের একটি ধরন। এটা প্রায়ই প্যান্টি, থং এবং জি স্ট্রিংয়ের শালীন বিকল্প হিসেবে পরিধেয় হয়। দৃশ্যমান প্যান্টি লাইন উৎপাদন করতে কম সম্ভাবনা হওয়ার অতিরিক্ত সুবিধার রয়েছে। এটা সাধারণত অন্যান্য অন্তর্বাস থেকে আকারে দীর্ঘ হয় এবং নিবিড়ভাবে পুরুষদের বক্সার প্রতিমূর্তির অনুরূপ। তাই একে মেয়েদের বক্সার বলা হয় ৷