![]() ভাজা কাঁচা মরিচ এবং চাটনির সাথে থালায় পরিবেশিত বড়া পাও | |
অন্যান্য নাম | বাটাটা বড়া পাও |
---|---|
ধরন | জলখাবার |
উৎপত্তিস্থল | ভারত |
প্রধান উপকরণ | সেদ্ধ আলু ভর্তা এবং মশলা দিয়ে বানানো কড়া ভাজা বড়া, বনরুটি |
বড়া পাও হলো ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি নিরামিষ ফাস্ট ফুড। খাবারটিতে একটি বনরুটি (পাও) এর ভিতরে একটি কড়া ভাজা বড়া রাখা থাকে, যা মাঝখানে প্রায় অর্ধেক টুকরো করে কাটা হয়। এটি সাধারণত এক বা একাধিক চাটনি এবং একটি কাঁচা মরিচের সাথে পরিবেশন করা হয়।[১] যদিও এটি মুম্বইয়ের একটি সস্তা স্ট্রিটফুড হিসাবে উদ্ভূত হয়েছিল, তবে এটি এখন সমগ্র ভারত জুড়ে বিভিন্ন খাবারের দোকান এবং রেস্তোঁরাগুলিতে পরিবেশিত হচ্ছে। বার্গারের বাহ্যিক গঠনের সাদৃশ্য হওয়ায়[২] এটিকে বোম্বে বার্গার-ও বলা হয়ে থাকে।[৩]
মারাঠি ভাষায় বাটাটা বড়া-এর আক্ষরিক অর্থ হলো "আলুর বড়া"। এটি এক প্রকার সুস্বাদু জলখাবার, যা "আলু" (বাটাটা) এবং বড়া শব্দগুলির সংমিশ্রণ। পাও পর্তুগিজ শব্দ pão থেকে এসেছে, যার অর্থ রুটি।
বড়া পাও'র প্রকারভেদ হলো পাও বড়া, এটি নাসিকের স্ট্রিট ফুড হিসাবে সুপরিচিত। পাও বড়া'য় সেদ্ধ আলু ভর্তা মটরশুঁটি বাটায় ডুবিয়ে কড়া ভাজা হওয়ার পর পাও-য়ে ভরা হয় এবং ছোলা ও মরিচের সাথে খাওয়া হয়।
সিদ্ধ আলুগুলিকে কাঁচা মরিচ কুঁচি, রসুন, সরিষা বাটা এবং মশলা (সাধারণত হিং এবং হলুদ) মিশিয়ে ভর্তা করা হয়। মিশ্রণটি যখন একটি বলের আকারে রুপ নেয়, তারপরে বেসন গোলায় ডুবিয়ে বড়াগুলিকে কড়া ভাজা হয়। এক বা একাধিক চাটনি এবং ভাজা কাঁচা মরিচ সহ ভাজা বড়াটি একটি বনরুটির ভিতরে রেখে পরিবেশন করা হয়।
বড়া পাওয়ের উৎপত্তির সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য তত্ত্বটি হলো, এটি মধ্য মুম্বাইয়ের পূর্ববর্তী মিল-হার্টল্যান্ডে উদ্ভাবিত হয়েছিল। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ নাশতাটি তখনকার গিরানগাঁও নামে পরিচিত অঞ্চলের মিল শ্রমিকদের খাওয়ানো হতো। একটি পাও'র ভেতরে রাখা আলুর বড়া (বাটাটা বড়া) এর সংমিশ্রণটি দ্রুত গিরানগাঁও এবং পরবর্তীকালে মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মহারাষ্ট্রের প্রিয় জলখাবার বড়া পাও মারাঠিদের সংস্কৃতির অংশ বলেও দাবি করা হচ্ছে।[৪][৫]
বড়া পাও বিক্রি করা প্রথম সময়কার একটি দোকান খিড়কি বড়া পাও বলে জানা যায়, যেটি ভারতের কল্যাণে অবস্থিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এটি ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে ওয়াজে পরিবার দ্বারা শুরু করা হয়েছিল, যারা রাস্তার পাশে তাদের বাড়ির একটি জানালা থেকে বড়া পাও বিক্রি করতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে রাখতে হবে। আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচ একসাথে বেটে নিতে হবে। ধনিয়া পাতা কুঁচি ও বাটা মশলা দিয়ে আলু সেদ্ধ খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে সরিষা-ফোড়ন দিন। হলুদের গুঁড়ো ও কারি পাতা দিয়ে দিতে হবে। এবার এতে মেখে রাখা আলু ভর্তা দিয়ে দিতে হবে। ভাল মতো নাড়তে হবে। কিছু সময় পর নামিয়ে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিতে হবে। এবার একটি বাটিতে বেসন, হলুদ গুঁড়ো, লবণ ও পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করে নিতে হবে। চুলায় কড়াইয়ে তেল গরম করতে হবে। আলুর বলগুলো বেসনের গোলায় চুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার বার্গার এর ছোট রুটির মাঝখান থেকে কেটে মাঝে আলুর বড়া ও পছন্দ মতো চাটনি বা সস দিয়ে পরিবেশন করা যাবে মুম্বাই এর বিখ্যাত বড়া পাও।[৬]