বনাই রাজ্য ବଣେଇ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী–১৯৪৮ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত বনাই রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৮৯২ | ৮,৯০৭ বর্গকিলোমিটার (৩,৪৩৯ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৮৯২ | ২৪,০২৬ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
| |||||||
ভারতের রাজপুত প্রদেশ - বনাই দেশীয় রাজ্য |
বনাই রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ রাজ্যটি অন্যান্য পাঁচটি রাজ্যের মত ছোটনাগপুর রাজ্য সমষ্টির অংশ ছিল। এটি রাজধানী ছিল বনাইগড় অঞ্চলে,[১] যা বর্তমানে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলায় অবস্থিত। রাজ্যটি ৮,৯০৭ বর্গকিলোমিটার (৩,৪৩৯ বর্গমাইল) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে মোট জনসংখ্যা ছিল ২৪,০২৬ জন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্যের রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৬০,০০০ ভারতীয় মুদ্রা।
একটি জনশ্রুতি রয়েছে যে খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর আশেপাশে রাজপুতানা জয়পুরের কছবাহা রাজপুত বংশের চার ভাই তাদের রাজ্য থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন তাদের মধ্যে একজন বনাই রাজ্য এবং অপর একজন তালচের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বাকি দুই ভাই নিহত হয়।
বনাই রাজ্যের রাজা ছিলেন মূলত রাজপুত এবং তার রাজপরিচয় পার্শ্ববর্তী সরাইকেল্লা, খরসোয়াঁ ও রেঢ়াখোল রাজ্যের শাসকগণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই এপ্রিল তারিখে বনাই রাজ্যের শেষ শাসক ভারতীয় অধিরাজ্যে অন্তর্ভুক্তির জন্য সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করেন।
বনাই রাজ্যের শাসকরা 'রাজা' উপাধিতে ভূষিত হতেন। [২]