বর্ণালীবীক্ষণ (ইংরেজি: Spectroscopy (/spɛkˈtrɒskəpi/)) হচ্ছে পদার্থ এবং বিকিরণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বিষয়ক গবেষণা।[১][২][৩][৪][৫][৬] সূর্যের আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিভক্ত হয়ে যায়, এই ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই বিজ্ঞানের এই শাখার জন্ম হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্কের অপেক্ষক হিসেবে বিকিরিত শক্তির যেকোন ধরনের মিথস্ক্রিয়া বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হতে শুরু করে। বর্ণালীবীক্ষণ থেকে পাওয়া উপাত্ত অনেক সময় একটি বর্ণালীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বর্ণালী হচ্ছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্কের বিপরীতে উক্ত তরঙ্গ দৈর্ঘ্য শক্তির পরিমাণের একটি লেখচিত্র।
বর্ণালীমিতি এবং স্পেকট্রোগ্রাফি শব্দ দুটি অনেক সময় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে বিকিরণের তীব্রতার পরিমাপ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অনেক বর্ণালীবীক্ষণিক পরীক্ষার পদ্ধতি বোঝাতেও বর্ণালীমিতি ব্যবহৃত হয়। বর্ণালীবীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম হচ্ছে স্পেকট্রোমিটার, স্পেকট্রোফটোমিটার, স্পেকট্রোগ্রাফ বা বর্ণালী বিশ্লেষক।
↑Herrmann, R.; C. Onkelinx (১৯৮৬)। "Quantities and units in clinical chemistry: Nebulizer and flame properties in flame emission and absorption spectrometry (Recommendations 1986)"। Pure and Applied Chemistry। 58 (12): 1737–1742। ডিওআই:10.1351/pac198658121737।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)