বাঁকী রাজ্য ବାଙ୍କୀ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৮০৭–১৮৪০ | |||||||
![]() ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত বাঁকি রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৮৮১ | ৩০০ বর্গকিলোমিটার (১২০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৮৮১ | ৫৬,৯০০ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• ব্রিটিশ করদ রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ | ১৮০৭ | ||||||
• ব্রিটিশ ভারতে অন্তর্ভুক্তি | ১৮৪০ | ||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | ওড়িশা, ভারত |
বাঁকী রাজ্য ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতের উড়িষ্যায় অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য৷ রাজ্যটির রাজধানী ছিলো বাঙ্কী শহরে, যা বর্তমানে ওড়িশা রাজ্যের কটক জেলার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত৷ [১]
রাজ্যটির শেষ রাজাকে ব্রিটিশ সরকার হত্যার মামলায় বাজেয়াপ্ত করেন ও এবং রাজ্যটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেন৷ ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ অবধি এটির বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিলো ৪৪৩ মুদ্রা৷
ওড়িশার কটক জেলার পশ্চিম দিকের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত বাঁকী রাজ্য ছিলো মূলত একটি জমিদারি রাজ্য৷ এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পূর্ববর্তী রাজ্যটি একজন প্রভাবশালী রাজা দ্বারা শাসিত হতো৷ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে তিনি তার দ্বিতীয় পুত্রকে উপহার স্বরূপ ডোমপাড়ার নিকট এই জমিদারি দান করেছিলেন৷ [২]
এই রাজ্যের উত্তর দিকে প্রবাহিত মহানদী নদী ভৌগোলিকভাবে রাজ্যটির সাথে পার্শ্ববর্তী বড়ম্বা ও তিগরিয়া রাজ্যকে পৃথক করেছে৷ এছাড়া পূর্বতন এই রাজ্যটির দক্ষিণে রয়েছে ব্রিটিশ ভারতের পুরী জেলা এবং পশ্চিমদিকে রয়েছে খণ্ডপাড়া রাজ্য। মহানদীর উত্তর প্রান্তেও রয়েছে ১৭৭ টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত এই রাজ্যের বেশ কিছু অংশ৷
মারাঠা সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে এই রাজ্য ব্রিটিশদের অধিরাজ্যে পরিণত হয়৷ ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে এটিকে ওড়িশার অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ [৩] জনগণনা অনুসারে এই রাজ্যের জনসংখ্যা ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ৪৯,৪২৬ থেকে বেড়ে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে ৫৬,৯০০ হয়ে দাঁড়ায় এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এর জনঘনত্ব ৩৭৭ জন প্রতি বর্গমাইল হয়৷[৪] রাজ্যের ৯৯.৫ শতাংশই ছিলো ধর্মেই হিন্দু এবং পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী মূল জাতি ছিলো জুয়াঙ জাতি। [৫]
বাঁকী রাজ্যের শাসকগণ "রাজা" উপাধিতে ভূষিত হতেন৷ ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যের শেষ রাজা হত্যাকাণ্ডের দায়ে পদচ্যুত হয় এবং তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, একই সাথে রাজ্যটিকে ত্রুটিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হয়৷ অন্তর্ভুক্তির পর বাঁকীর ওপর পুরোপুরিভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নিয়ন্ত্রনাধীন হয়ে পড়ে এবং রাজ্যটি কটক জেলার অন্তর্ভুক্ত করে প্রশাসনিকভাবে শাসনকার্য সম্পন্ন হতে থাকে৷
রাণী শুকদেঈ (খ্রিঃ ১৬৮৬ - খ্রিঃ ১৭২৬) ছিলেন ওড়িশার বড়ম্বা রাজ্যের রাজকন্যা ও বাঁকী রাজ্যের রাণী৷ এক বিধবা রাণীর খুর্দার গজপতির বিরুদ্ধে তাঁর সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য ভারতের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন৷