বাংলা বাজার ঢাকার পার্শ্ববর্তী প্রাচীনতম স্থান, যা মুঘল সাম্রাজ্যের আগে থেকে বিদ্যমান ছিল।[১] বর্তমানে, ঢাকার বৃহত্তম প্রকাশনা ও বইয়ের বাজার এই এলাকায় অবস্থিত।
কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে, বাংলা বাজারটি 'বাঙ্গালা' শহরের কেন্দ্রস্থল ছিল, যা অনেক অভিযাত্রী উল্লেখ করেছেন।[২] অন্যান্যরা মনে করে যে, সুলতানী যুগে বাংলা বাজার প্রতিষ্ঠিত হয় যখন কিনা 'বাঙ্গালা' শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।[১] রোমান নাগরিক ১৫০৬ খ্রিষ্টাব্দে লিখে গেছেন যে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট সিল্ক ও সুতা তৈরী হতো বেঙ্গলা নগরে। এর মাধ্যমেই বেঙ্গলার কেন্দ্রস্থল বাঙলাবাজারের প্রাচীনতা সমন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ আমলে বাজার সংলগ্ন স্থানগুলোতে আভিজাত্যের ছোঁয়া লাগে, তখন বহু ইংরেজ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী এর আশপাশেই বসবাস করতেন। ব্রিটিশ আমলে বাংলাবাজার এলাকায় টাকা-পয়সা ভাঙ্গানো বা বদলানোর ব্যবসা শুরু হয়। এসময় বাংলা বাজার খুব সমৃদ্ধশালী এলাকা হয়ে ওঠে। বাংলা বাজারের ভিতর দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি বাংলা বাজার সড়ক নামে পরিচিত। এর খানিকটা অংশকে ১৯৩৬ সালে পি কে সড়ক নামকরণ করা হয় যা পরবর্তীকালে সুভাষ বোস সড়ক নামকরণ করা হয়। এ রাস্তাটি বাংলাবাজার সড়ক নামেই বেশি পরিচিত।[৩]
বর্তমানেও বাংলা বাজার ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি। এখানে নানা ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হয়। বর্তমানে বাংলাবাজার বাংলাদেশের বই বিক্রি, বই ছাপানো ও সরবরাহ করার সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। বর্তমানে বাংলাবাজার বাংলাদেশের মধ্যে বইয়ের বৃহত্তম মার্কেট, এখানে ১,২০০ থেকে ১,৩০০ বইয়ের দোকান রয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলির অফিসও বাংলাবাজারে অবস্থিত।[২]