বাইকম বিজয়লক্ষ্মী വൈക്കം വിജയലക്ഷ്മി | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | বিজয়লক্ষ্মী মুরলিধরন |
জন্ম | বাইকম, কেরল, ভারত | ৭ অক্টোবর ১৯৮১
ধরন | নেপথ্য সঙ্গীত, কর্ণাটকীয় সঙ্গীত |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ, গায়ত্রীবীণা |
কার্যকাল | ১৯৯৫-বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী | অনুপ মেনন (বি. ২০১৮) |
বাইকম বিজয়লক্ষ্মী (৭ অক্টোবর ১৯৮১) হলেন একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বিরল বাদ্যযন্ত্র গায়ত্রীবীণা বাজানোয় পারদর্শী। তিনি সেলুলয়েড (২০১২) চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিশেষ উল্লেখযোগ্য পুরস্কার লাভ করেন।[১] এছাড়া তিনি নডন (২০১৩) চলচ্চিত্রের "ওট্টাক্কু পাড়ুন্না" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ মালয়ালম নারী নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। বিজয়লক্ষ্মী জন্মান্ধ, তিনি কেরলের বাইকমে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে চেন্নাই চলে যান।[২]
বিজয়লক্ষ্মী ১৯৮১ সালের ৭ই অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুরলিধরন ও বিমলার একমাত্র কন্যা। তারা বাইকমের উদয়নপুরম মন্দিরের নিকট বসবাস করতেন। তার অনারোগ্য অন্ধত্বের জন্য তার পিতামাতা তাকে নিয়ে চেন্নাই চলে যান। সেখানে কিশোরী বিজয়লক্ষ্মী ইলাইয়ারাজা ও এম. এস. বিশ্বনাথনদের তামিল চলচ্চিত্রের গান শুনে বেড়ে ওঠেন। তিনি যে কোন গান প্রথমবার শুনেই এর সুর ধরতে পারতেন এবং নিজে একই সুরে গাইতে পারতেন। পরে তার পিতামাতা তাকে কে জে যেসুদাসের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের টেপ কিনে দেন, যা তিনি আগ্রহ নিয়ে শুনতেন। এক বছরের কম সময়ে তিনি এক শতাধিক রাগ শিখেন এবং নিজেই সুর করা শুরু করেন। সে সময় পর্যন্ত সঙ্গীতের উপর তার কোন আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না।
১৯৮৭ সালে তিনি কে জে যেসুদাসের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যেসুদাস জটিলতর রাগগুলি চিহ্নিত করার জ্ঞান ও 'তোড়ি' ও 'ভৈরবী" রাগে তার দক্ষতায় বিস্মিত হন। পরের বছর তিনি মুম্বইয়ের সম্মুখানন্দ হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রথম দশ বছর বিজয়লক্ষ্মী চেন্নাই, তাঞ্জোর, মাদুরাই, কোইম্বাতোর ও ভারতের অন্যান্য বড় শহরে চার শতাধিক মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ইতোমধ্যে তিনি একটি এক-তার বাদ্যযন্ত্র বাজানোয় দক্ষতা অর্জন করেন, সেটি হল গায়ত্রী তানপুরা। কর্ণাটকীয় বেহালা কুলপতি শ্রী কুন্নাকুড়ি বৈদ্যনাথন তার বীণা বাজানোয় মুগ্ধ হন এবং একে গায়ত্রীবীণা নাম দেন। তিনি এই বাদ্যযন্ত্র নিয়ে কয়েকটি কনসার্টেও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি গুরুবায়ুরের চেম্বাই সঙ্গীতোৎসবে এটি বাজিয়ে আসছেন। ২০০১ সালে তিনি সূর্য উৎসবেও এটি বাজান।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাহরাইন ভিত্তিক প্রযুক্তিবিদ সন্তোষের সাথে তার বাগদান হয়, কিন্তু তার বাগদত্তা তাকে তার অন্ধত্ব নিয়ে অপমানজনক কথা বললে ও তাকে মঞ্চ সঙ্গীত পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে তিনি এই বিবাহ বর্জন করেন। পরে ২০১৮ সালের ২২শে অক্টোবর তিনি বাইকম মহাদেব মন্দিরে অনুকরণশিল্পী এন. অনুপের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৩]