বাবলা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | রোসিদস |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গোষ্ঠী: | Mimosoid clade |
গণ: | Vachellia (L.) P.J.H.Hurter & Mabb.[১] |
প্রজাতি: | V. nilotica |
দ্বিপদী নাম | |
Vachellia nilotica (L.) P.J.H.Hurter & Mabb.[১] | |
Subspecies | |
| |
Range of Vachellia nilotica | |
প্রতিশব্দ[৪] | |
বাবলা (বৈজ্ঞানিক নাম Acacia nilotica) এই গাছের ইংরেজি নাম gum arabic tree,[৫] babul,[৬] thorn mimosa, Egyptian acacia,[৭] thorny acacia। Fabaceae গোত্রের Acacia গণের এক প্রকার উদ্ভিদ। সংস্কৃতে নাম বলা হয় বর্বুর। ছোটোখাটো গাছটি কাঁটায় ভরা।
বাবলা গাছের আদি নিবাস আফ্রিকা। বর্তমানে আফ্রিকার বাইরে মধ্যপ্রাচ্য, ভারতের উষ্ণাঞ্চল, আরব ও অষ্ট্রেলিয়ায় এই গাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এই গাছ পরিকল্পনা করে লাগানো হচ্ছে।[৮]
পাতা ২-পক্ষল, পক্ষ ৬-১২টি, পত্রিকা ২০-৪০ টি, সরু, ৪-৮ মিমি লম্বা। এই গাছ সর্বোচ্চ ২৪-৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কাণ্ড সরল এবং গাছের উপরিভাগ ছাতার মতো বিস্তৃত হয়। এর কাণ্ড অত্যন্ত শক্ত। বাকল ফাটা ফাটা এবং ধূসর বর্ণের।
এর ফুল মিষ্টি গন্ধের, গোলাকার, রঙ উজ্জ্বল হলুদ। ফুলের ব্যাস ১ থেকে ১০ ইঞ্চি। ফুলগুলো উভলিঙ্গ। পাপড়ির সংখ্যা ৫টি, পাপড়িগুলোর গোড়ার দিক সংযুক্ত থাকে। পুংকেশর অসংখ্য এবং বিযুক্ত অবস্থায় থাকে। বর্ষা ও শরতে ফোটে।
এর ফল হয় শীতকালে। ফল ৩-৬ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং ১/২ ইঞ্চি চওড়া হয়। তবে ফলগুলো চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। এর রঙ সাদা। প্রতিটি ফলে ৮-১০টি বীজ থাকে। এক কেজি ফলে প্রায় আট হাজারটি বীজ থাকে।[৯]
বাবলা মিসর থেকে মাগরেব এবং সহিল জুড়ে, দক্ষিণে মোজাম্বিক এবং কোয়াজুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব থেকে আরব উপদ্বীপ হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং বার্মা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এটি জাঞ্জিবার এবং অস্ট্রেলিয়া সহ তার স্থানীয় পরিসরের বাইরে ব্যাপকভাবে প্রাকৃতিকীকরণ করা হয়েছে। বাবলা গাছ মূলত প্রাণিসম্পদ দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে।
বাবলা গাছে কাঁটা থাকার কারণে এটি ভালো বেড়া হিসেবে কাজে লাগে।[১১]
বাবলা গাছের কাঠ "খুবই টেকসই যদি জল-মৌসুমজাত" করা হয় এবং এর কাঠ যন্ত্রের হাতল ও নৌকার কাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১১] এর কাঠের ঘনত্ব হচ্ছে প্রায় ১১৭০ কেজি/মিটার৩।[২]