বিজয় প্রসাদ | |
---|---|
জন্ম | কলকাতা, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | thetricontinental |
বিজয় প্রসাদ একজন ভারতীয় ঐতিহাসিক, সাংবাদিক, ভাষ্যকার এবং মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবী।[১][২] তিনি 'ত্রিকোন্টিনেন্টাল: ইন্সটিউট ফর সোশ্যাল রিসার্চ'-এর নির্বাহী পরিচালক এবং 'লেফটওয়ার্ড বুকস'-এর প্রধান সম্পাদক।
তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কানেক্টিক্টের হার্টফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজের দক্ষিণ এশীয় ইতিহাসে 'জর্জ এবং মার্থা কেলনার চেয়ার' এবং আন্তর্জাতিক অধ্যয়নের অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৩-২০১৪ সালে তিনি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত-এর 'এডওয়ার্ড সাইদ চেয়ার' ছিলেন।
প্রসাদ পঁচিশটি গ্রন্থের রচয়িতা। ২০১২ সালে আরব স্প্রিং, লিবিয়ান উইন্টার, আঙ্কেল স্বামী:সাউথ এশিয়ান্স ইন আমেরিকা টুডে-সহ তার পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। তার বই দ্য ডার্কার নেশনস: এ পিপলস হিস্ট্রি অফ দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড (২০০৭) ২০০৮ সালে এশিয়ান আমেরিকান রাইটারস ওয়ার্কশপের সেরা মননশীল বই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে এটি মুজফফর আহমেদ বুক অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল। ২০১৩ সালে তার দ্য পুরার নেশনস: এ পসিবল হিস্ট্রি অফ দ্য গ্লোবাল সাউথ প্রকাশিত হয়।[৩] তার সাম্প্রতিক বই রেড স্টার ওভার দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড (২০১৭)।
প্রসাদ একজন সাংবাদিক যিনি ফ্রন্টলাইন, দ্য হিন্দু ইত্যাদি পত্রিকার জন্য লিখেন। প্রতি শুক্রবার তিনি প্রগতিশীল ভারতীয় সংবাদ পোর্টাল নিউজক্লিক-এর জন্য র্যাডিকাল জার্নি (বিপ্লবী অভিযাত্রা) নামে একটি কলাম লিখেন।
২০১৫ সালে নতুন দিল্লি ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা লেফটওয়ার্ড বুকস-এর প্রধান সম্পাদক হিসাবে প্রসাদ যোগদান করেন।[৪] তিনি ইসরাইলকে বিদ্যায়তনিক ও সাংস্কৃতিক বয়কটের জন্য প্রচারাভিযান, 'ইউএস ক্যাম্পেইন ফর দ্য একাডেমিক এন্ড কালচারাল বয়কট অফ ইসরাইল'-এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।[৫][৬] বিজয় প্রসাদ মাদার টেরিজাকে উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের ধ্বজাধারী বলেছেন। তার মতে, টেরিজা উপনিবেশিত দেশে ধর্মপ্রচারক শ্বেতাঙ্গ নারীদের প্রতিভূ রূপে ক্রিয়ারত ছিলেন যেন তিনি কালো মানুষদের স্বীয় কামনা ও অপারগতা থেকে রক্ষা করতে এসেছেন। এখনও উপনিবেশবাদী কুচিন্তা ধারণ করে যাওয়া ইউরো-মার্কিন মিডিয়া মনে করে যে কালো মানুষদের বদলাবার বিশেষ ক্ষমতা শ্বেতাঙ্গদের রয়েছে। অশ্বেতাঙ্গ কালোরা নিজেরা নিজেদের উন্নতিতে সচেষ্ট হলেও ইউরো-মার্কিন মিডিয়া তার মাঝে কোন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে খুঁজে পায় শিক্ষক বা অভিভাবক রূপে যেন কালোরা নিজেরা নিজেদের উন্নতি করতে অপারগ শ্বেতাঙ্গদের ছাড়া। তেরিজার কর্ম পশ্চিমা বৈশ্বিক প্রকল্পেরই অংশ যা বুর্জুয়া পাপবোধকে প্রশমন করতে দাতব্য চালিয়ে যায় কিন্তু যে সমাজকাঠামো দারিদ্র্য উৎপাদন করে যে সমাজকাঠামোকে না বদলিয়ে টিকিয়ে রাখে।[৭]