বিন্দু | |
---|---|
জন্ম | বিন্দু নানুভাই দেসাই ১৭ এপ্রিল ১৯৪১ |
পেশা | অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৬২–২০০৮ |
দাম্পত্য সঙ্গী | চম্পকলাল জাভেরি |
সন্তান | ১ |
বিন্দু নানুভাই দেসাই (জন্ম: ১৭ই এপ্রিল ১৯৪১; শুধুমাত্র বিন্দু নামে বেশি পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি ১৯৭০-এর দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর চার দশক ধরে ব্যপ্ত অভিনয় জীবনে ১৬০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে সাতটির জন্যফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন।[১] তিনি কটি পতঙ্গ (১৯৭০) -এ শবনম চরিত্রে এবং প্রেম চোপড়ার বিপরীতে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন।[২]
বিন্দু ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে রাজ্যের বালসাদ জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম হনুমান ভাগড়ায় চলচ্চিত্র প্রযোজক নানুভাই দেসাই এবং জ্যোৎস্নার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর ভাইবোনদের সাথেই তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যখন বিন্দুর বয়স মাত্র ১৩ বছর তখন তাঁর বাবা মারা যান এবং পরিবারের বড় মেয়ে হওয়ার কারণে অর্থ উপার্জনের বোঝা তাঁর কাঁধেই এসে পড়েছিল।[৩]
বিন্দু ১৯৬২ সালে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র আনপড় এ কিরণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি ইত্তেফাক এ রেনুর চরিত্রে এবংদো রাস্তে তে নীলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দুটি ছবিই বক্স-অফিসে জনপ্রিয় হয়েছিল এবং তারপরে বিন্দু এই দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য প্রথম মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে, তিনি দাস্তান চলচ্চিত্রে মালা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং এই চলচ্চিত্রটির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য তৃতীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে, বিন্দু অভিমান ছবিতে চিত্রা হিসাবে অভিনয় করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটিও উক্ত সময়ের বক্স-অফিসে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেই সময়ে বিন্দুর অভিনয় সকলের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় তাঁকে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য চতুর্থ মনোনয়ন পেতে সাহায্য করেছিল। তারপরে, ১৯৭৪ সালে, তিনি হবস নামক চলচ্চিত্রে কামিনী চরিত্রে এবং ইমতিহান এ রীতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দুটি ছবিই বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল এবং এর জন্য বিন্দু আরও দুটি ফিল্মফেয়ারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি অর্জুন পণ্ডিতের সরলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য সর্বশেষ মনোনয়ন পেয়েছিলেন। সর্বোপরি তিনি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী। বিন্দু ১৯৬৯ সালে ইত্তেফাক এবং দো রাস্তে নামক দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। অতঃপর তিনি শক্তি সামন্তের কটি পতঙ্গ (১৯৭০)-এর মধ্য দিয়ে তাঁর জীবনের সাফল্যের গল্প লিখেছেন।[৪]
বিন্দু তাঁর শৈশবের বন্ধু এবং প্রতিবেশী চম্পকলাল জাভেরির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। জানা যায় যে তাঁদের একটি সন্তান হয়েছিল, সে এখন মৃত।[৫][৬] তিনি বর্তমানে পুনের কোরেগাঁও পার্কে থাকেন।