ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রেন্ট ফ্রেজার বাউডেন |
জন্ম | হেন্ডারসন, নিউজিল্যান্ড | ১১ এপ্রিল ১৯৬৩
ডাকনাম | বিলি |
আম্পায়ারিং তথ্য | |
টেস্ট আম্পায়ার | ৭৯ (২০০০–বর্তমান) |
ওডিআই আম্পায়ার | ১৮৪ (১৯৯৫–বর্তমান) |
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |
| |
উৎস: ক্রিকইনফো.কম ওয়েবসাইট থেকে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |
ব্রেন্ট ফ্রেজার "বিলি" বাউডেন (ইংরেজি: Brent Fraser "Billy" Bowden; জন্ম: ১১ এপ্রিল, ১৯৬৩) নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুরুতে তিনি একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু বাতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ও ক্রিকেটের প্রতি আসক্তি থাকায় আম্পায়ার হিসেবেই নিজেকে বেছে নেন বিলি। তিনি তার নাটকীয় সঙ্কেত প্রদান ও পরিবেশনায় ব্যাপক পরিচিতি পান। এতে তিনি শারীরিক আবেদনের পাশাপাশি বক্র অঙ্গুলী নির্দেশনায় ব্যাটসম্যানকে আউট কিংবা চার, ছয়ের সঙ্কেত প্রদান করে থাকেন।[১]
মার্চ, ১৯৯৫ সালে বাউডেন আনুষ্ঠানিকভাবে আম্পায়ার হিসেবে হ্যামিলটনে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটান। ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে মার্চ, ২০০০ সালে তিনি তার প্রথম টেস্ট ক্রিকেটে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে তাকে সেরা আম্পায়ারদের খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর এক বছর পর তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আম্পায়ারের দায়িত্বভার দেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যেকার চূড়ান্ত খেলায় তিনি ৪র্থ আম্পায়ার ছিলেন। কিছুদিন বাদেই তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ারগণের সেরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তার ভুল সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে খেলার ফলাফল অন্ধকারে নিমজ্জ্বিত হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল।[২]
কিন্তু সুদীর্ঘকাল ধরে আম্পায়ারিত্ব করা স্বত্ত্বেও জুন, ২০১৩ সালে আম্পায়ারদের দক্ষতা সংক্রান্ত বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় আসাদ রউফসহ তাকে বাদ দেয়া হয়। তন্মধ্যে, রউফের বিরুদ্ধে আইপিএলে খেলা গড়াপেটায় মুম্বাই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন। উভয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওর্থ এবং অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেল-সহ ১২ সদস্যের আম্পায়ারগণ আগামী ২০১৩-২০১৪ মৌসুম পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।[৩]
তিনি অনেকগুলো টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং টি-২০ খেলায় আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন।[৪] ২৫ জুন, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত তার আম্পায়ারিংয়ের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ:-
সর্বপ্রথম | সর্বশেষ | সর্বমোট | |
---|---|---|---|
টেস্ট ক্রিকেট | নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড, মার্চ, ২০০০ | জিম্বাবুয়ে বনাম বাংলাদেশ হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে, এপ্রিল, ২০১৩ | ৭৫ |
ওয়ান-ডে | নিউজিল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা সিডন পার্ক, হ্যামিলটন, মার্চ, ১৯৯৫ | ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ওভাল, জুন, ২০১৩ | ১৮১ |
টি-২০ | নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড, ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ | নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ইডেন পার্ক, অকল্যান্ড, ডিসেম্বর, ২০১০ | ১৯ |
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় কমপক্ষে ১০০ খেলায় দায়িত্বপালনকারী আম্পায়ারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ ব্রোঞ্জ বেইল পদক প্রদান করে থাকে।[৫][৬][৭] বিলি বাউডেনও শতাধিক একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে এ পদক লাভ করেন।
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)