বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায় | |
---|---|
জন্ম | ১ মার্চ ১৯০৩ ব্যারাকপুর, ২৪ পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৩০ জুলাই, ১৯৭৯ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
পেশা | চিকিৎসক ও গবেষক |
পরিচিতির কারণ | শল্যচিকিৎসক |
পুরস্কার | ![]() |
বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায় (১ মার্চ ১৯০৩ — ৩০ জুলাই ১৯৭৯) পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত প্রখ্যাত বাঙালি চিকিৎসক [১][২][৩] ও ভারতের ভেষজ সংস্কারের অন্যতম উদ্যোক্তা।[৪][৫]
বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে। পিতার নাম উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পিতামহ ছিলেন কলকাতার সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ। বিষ্ণুপদ শ্যামবাজারের বিদ্যাসাগর স্কুল থেকে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আই.এসসি পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কৃতিত্বের সাথে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করেন।
ডাক্তারি পাশের পরই কিছুদিন কলকাতার ইডেন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তারপর 'স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে' শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে কাজ করেছেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ভেষজ অনুসন্ধান কমিটির সহ-সচিব পদে নিযুক্ত হয়ে তথ্য সংগ্রহে সারা ভারত ভ্রমণ করেন।
ভারতীয় বনৌষধি বিষয়ে গবেষণার জন্য 'রকফেলার ফাউন্ডেশনের ফেলোশিপ' পেয়ে চীন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেনে, বেলজিয়াম ও জার্মানিতে ব্যাপক চর্চা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ফার্মাকোলজিতে ডি.এসসি. উপাধি প্রদান করে। দেশে ফিরে কলকাতার কেন্দ্রীয় ভেষজ গবেষণাগারের প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইণ্ডিয়ান সায়েন্স একাডেমীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফার্মাকোগনোসি (Pharmacognosy) গবেষণাগারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর পাকিস্তান সরকার করাচিতে ও ঢাকায় ভেষজ নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের সংগঠনের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্নৌয়ের কেন্দ্রীয় ভেষজ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রথম স্থায়ী পরিচালক হিসাবে যোগ দেন। অবসরের পর কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার গবেষণা কেন্দ্রে পাঁচ বৎসর পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন এবং চন্দননগরে ক্যান্সার কেমোথেরাপি ফিল্ড রিসার্চ কেন্দ্র স্থাপন করেন।
ভারত সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সর্বোচ্চ তৃতীয় অসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত করে।[৫]
বিষ্ণুপদ মুখোপাধ্যায় ১৯৭৯ খ্রিসটাব্দের ৩০ শে জুলাই প্রয়াত হন।