বীরেন দে | |
---|---|
জন্ম | ফরিদপুর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ৮ অক্টোবর ১৯২৬
মৃত্যু | ১২ মার্চ ২০১১ | (বয়স ৮৪)
পেশা | চিত্রাঙ্কন |
পরিচিতির কারণ | আধুনিক শিল্পকলা তন্ত্র ডিজাইন |
পুরস্কার | ললিত কলা একাডেমি জাতীয় পুরস্কার (১৯৫৮,১৯৬৪) পদ্মশ্রী (১৯৯২) ললিত কলা একাডেমির ফেলো (২০০৬) |
বীরেন দে (৮ অক্টোবর ১৯২৬ - ১২ মার্চ ২০১১) ছিলেন আধুনিক শিল্পকলার একজন ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী। তান্ত্রিক প্রভাবের কারণে তার অঙ্কনে [১] জ্যামিতির প্রতিসম নিদর্শন এবং সেই সঙ্গে মহাবিশ্বে স্ত্রী-পুরুষ শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী মণ্ডল, লিঙ্গমূর্তি এবং যোনির মতো তান্ত্রিক চিহ্নগুলি চিত্রিত হয়েছে। [২] ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত করে। [৩]
বীরেন দে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ৮ অক্টোবর বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন [৪] স্বাধীনতার পূর্বেই তিনি তার পরিবারসহ কলকাতায় চলে আসেন এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটে স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বিবাদের কারণে ডিপ্লোমা গ্রহণ করেননি। [২] ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ম্যুরাল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি নয়াদিল্লিতে চলে যান। [২] ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে দেশের বাইরে প্যারিসের স্যালন ডি মাই -এ তার প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় । [৫] পরে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ফিরে তিনি দিল্লির কলেজ অফ আর্ট- এ অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগ দেন এবং ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেই কর্মে লিপ্ত থাকেন। [৪]
কলেজ অফ আর্টে, অবস্থানকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট স্কলারশিপে এক বছর নিউইয়র্কে অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে, তিনি তন্ত্রএর প্রতীক চিত্রণ করা শুরু করেন। [২] ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে, তার শিল্পকর্ম নয়াদিল্লির কুমারস গ্যালারী এবং লন্ডনের হেওয়ার্ড গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয় [২]রপর থেকে তার শিল্পকর্ম নয়াদিল্লির ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, বার্লিনের স্টেট মিউজিয়াম এবং প্রাগের ন্যাশনাল গ্যালারি, লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অফ আর্টস, ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ভারতের টোকিও ফেস্টিভ্যাল এবং ভেনিস, টোকিও, সাও পাওলো, মাইনিচি এবং সিডনি সহ বেশ কয়েকটি স্থানে দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হতে থাকে। [১][৫]
বীরেন দে ভারতের ললিত কলা একাডেমির জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন দুবার, ১৯৫৮ এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে। [৪] ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী লাভ করেন ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ললিত কলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন [৬]
বীরেন দে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ ৮৪ বৎসর বয়সে নয়াদিল্লিতে পরলোক গমন করেন। [৪]
নির্বাচিত প্রদর্শনীর তালিকা: [৭]