বেধয়া ( বেদোয়ো, বেদয়া এবং অন্যান্য বিভিন্ন নামেও পরিচিত) (জাভানীয়: ꦧꦼꦝꦪ) হল জাভা, ইন্দোনেশিয়ার একটি পবিত্র, সাংস্কৃতিক নৃত্য যার ইতিহাস জাকার্তা এবং সুরাকার্তার রাজকীয় পরিবারের সাথে যুক্ত।। বেধয়া নৃত্যশৈলী মার্জিত রাজদরবারের চরিত্র এবং শাসকের ক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকস্বরূপ।
চিত্র=Sacred Dance Bedhoyo Ketawang A.JPG বেধয়ার মূলত স্থানীয় দুটি ভিন্ন শহরে ভিন্ন প্রকার রয়েছে। সুরাকার্তার বেধয়া কেতাওয়াং (একক) এবং যোগজাকার্তার বেধয়া সেমাং নামে পরিচিত। এদের মধ্যে বেধয়া সেমাং -এর প্রদর্শনী কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। সুরাকার্তার বর্তমান সুসুহুনানের (রাজপুত্র) আরোহণের স্মরণে জাভানিজ মাসের রুওয়াহ (মে) এর দ্বিতীয় দিনে বছরে একবার সলোনিজ নৃত্য পরিবেশিত হয়। নয়জন মহিলা যারা সুসুহুনানের আত্মীয় বা স্ত্রী, তারা কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিগত দর্শকদের সামনে এই নৃত্য পরিবেশন করে। রাজ আদালতের অভ্যন্তরীণ বৃত্তের বাইরের কোন ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গকে এই প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানানো হলে তা তাদের পক্ষে যথেষ্ট সম্মানসুচক।[১]
বেধয়া নামে পরিচিত এক মহিলাদের দ্বারা সম্পাদিত নৃত্যকলা জাভাতে মাজাপাহিত সাম্রাজ্যের প্রথম দিকে বিদ্যমান ছিল। [২] প্রকৃতপক্ষে জাভাতে প্রচলিত আধুনিক নৃত্যের কিছু শৈলী কমপক্ষে তৃতীয় শতাব্দী পুরানো বলে মনে করা হয়। [৩] যাইহোক, বেধয়া নৃত্যের আধুনিক রূপটি ঐতিহ্যগতভাবে মাতারামের সুলতান আগুং (রাজত্বকাল ১৬১৩-১৬৪৫) -এর দরবারে তৈরি। দুর্ভাগ্যবশত সুলতান আগুং এর দরবারে শিল্পকলার অগ্রগতির গল্পকথার সমর্থনে কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়না। আঠারো শতকের শেষের দিকে অবধি বেধয়া নাচের অস্তিত্বের প্রমাণস্বরূপ কোন লেখনি স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি।[৪]
এমন অনেক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে যা বেধয়া নৃত্যের উৎস ব্যাখ্যা করে। কথিত আছে কোনও ভারতীয় দেবতার (শিব, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, ইন্দ্র, বা ভগবান বুদ্ধ) বা দেবী কাংজেং রাতু কিদুলের সাথে দক্ষিণ সাগরের মাতরম রাজবংশের একজন প্রতিষ্ঠাতার সাক্ষাত হয়েছিল। হয় এই শাসক ছিলেন সুলতান আগেং বা তার পিতামহ। কথিত আছে দেবতারা নয়জন নর্তকীর সৃষ্টি করেছিল। আধুনিক বেধয়া নৃত্যের নয়জন নর্তকী এই নয় দেবীর আত্মার প্রতিনিধিত্ব করে।[৫] লোককথা অনুসারে আরও জানা যায় যে, দেবী কাংজেং রাতু কিদুল সুলতানের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তার জন্য তিনি বেধয়া নাচ করেছিলেন।