বেনজামিন এডওয়ার্ড মিয়েরা "বেন" স্টিলার (জন্ম ৩০শে নভেম্বর ১৯৬৫) হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি প্রবীণ কৌতুকাভিনয়শিল্পী এবং অভিনেতা জেরি স্টিলার এবং অ্যান মিয়েরারর সন্তান।[১]
স্টিলার একটি মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরুর করার পর কয়েকটি বিদ্রুপ-প্রামাণ্যচিত্র রচনা করেন এবং দ্য বেন স্টিলার শো নামে নিজের শো করার প্রস্তাব পান। তিনি এই অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেন এবং ১৩টি পর্বের উপস্থাপনা করেন। পূর্বের টেলিভিশনের অভিনয়ের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি অভিনয়ের সাথে রিয়েলিটি বাইটস চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালক হিসাবে যাত্রা শুরু করেন। তিনি তার কর্মজীবনে ইতোমধ্যে লেখক, অভিনেতা, পরিচালক কিংবা প্রযোজক হিসাবে ৫০টিরও বেশি ছবি করেছেন যার মধ্যে দ্য সিক্রেট লাইফ অভ ওয়াল্টার মিটি, জুল্যান্ডার, দ্য ক্যাবল গাই, দেয়ার'স সামথিং অ্যাবাউট ম্যারি, মিট দ্য প্যারেন্টস ত্রয়ী, ডজবল, ট্রপিক থান্ডার, মাদাগাস্কার ধারাবাহিক এবং নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম ত্রয়ী অন্যতম। এছাড়াও তাকে অসংখ্য ছবি, টিভি সিরিজ, মিউজিক ভিডিওতে অতিথি হিসাবে দেখা যায়।
স্টিলার কৌতুকাভিনয়শিল্পীদের দল ফ্র্যাট প্যাক-এর সদস্য। তার চলচ্চিত্র কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছবিতে ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গড় হিসাবে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।[২] এছাড়াও তিনি অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি এমি পুরস্কার, একাধিক এমটিভি মুভি পুরস্কার, একটি ব্রিটানিয়া পুরস্কার এবং একটি টিন চয়েস পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
বেনজামিন এডওয়ার্ড মিয়েরা স্টিলার ১৯৬৫ সালের ৩০শে নভেম্বর নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪][৫] তার পিতা জেরি স্টিলার (জন্ম ১৯২৭) একজন কৌতুকাভিনেতা ও অভিনেতা, তিনি পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড এবং গালিসিয়ার ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যারা সেখান থেকে অভিবাসিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।[৬] তার মাতা অভিনেত্রী অ্যান মিয়ারা (১৯২৯-২০১৫) আইরিশ ক্যাথলিক, যিনি স্টিলারের পিতার সাথে বিয়ের পর ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।[৭][৮][৯] তাদের পরিবার কখনও খুব একটা ধর্মানুরাগী ছিল না তারা ‘হানুকাহ’ এবং ‘ক্রিসমাস’ দুটিই পালন করত[১০],স্টিলারের একটি বার মিটযবাহ অনুষ্ঠিত হয়। স্টিলারের পিতা-মাতা তাকে বারবার তাদের কাজের সময় সেটে নিয়ে গিয়েছেন এমনকি দ্য মাইক ডগলাস শো-এর সময়, যখন তার বয়স ছিল ছয়। স্টিলার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন তার শৈশবটা স্বাভাবিক ছিল না, “অনেকটা শো-ব্যবসা এর মত- অসংখ্য ভ্রমণ, রাত্রে অসংখ্য বার দেরি করে বাড়ি ফিরা- যেটাকে আপনি ঐতিয্য বলবেন না।”[১১] তার বড় বোন এমিকে তার অসংখ্য প্রযোজনায় দেখা যায়, যার মধ্যে রয়েছে রিয়েলিটি বাইটস, ডজবলঃ এ ট্রু আন্ডারডগ স্টোরি এবং জুল্যান্ডার।[১২][১৩][১৪]
স্টিলারের ছোট থেকেই ছবি নির্মাণে আগ্রহ দেখা গেছে এবং তার বোন এবং বন্ধুদের সাথে সুপার ৮ ছবি নির্মাণ করেন।[১৫] নয় বছর বয়েসে তিনি অভিনয় শুরু করেন তার মায়ের টেলিভিশন ধারাবাহিক কেট ম্যাকশেন-এ অতিথি হিসাবে। ৭০ দশকের শেষের দিকে তিনি নিউ ইয়র্ক শহরের নাট্যদল এনওয়াইসি’স ফার্স্ট অল চিলড্রেন থিয়েটারে পারফর্ম করেন, ক্লেবার জ্যাক এন্ড দ্য ম্যাজিক বিন্সটক এ নামভুমিকাসহ আরো কয়েকটি ভুমিকায় অভিনয় করেন। হাই স্কুলে থাকাকালীন সময় টেলিভিশন ধারাবাহিক সেকেন্ড সিটি টেলিভিশন-এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হওয়ার পর স্টিলার বুঝতে পারলেন যে তিনি স্কেচ কমেডিতে যুক্ত হতে চান[১৬] । স্কুলে থাকাকালীন সময়ে স্টিলার পাঙ্ক ব্যান্ড ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট-এর ড্রামার ছিলেন যেটি ১৯৮২ সালে রোডকিল নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে।[১৭][১৮]
স্টিলার নিউ ইয়র্কের দ্য ক্যাথিড্রাল স্কুল অব সেইন্ট জন দ্য ডিবাইনে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৮৩ সালে ক্যালোন স্কুল থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর স্টিলার চলচ্চিত্রের ছাত্র হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালোফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে[১৯] ভর্তি হন। নয় মাস পর স্টিলার স্কুল ছেড়ে নিউ ইয়র্কে ফিরে আসেন। তিনি এরপর অভিনয়ের ক্লাস শুরু করলেন, অডিশন দিতে লাগলেন এবং একজন প্রতিনিধি খুজতে শুরু করেন।[২০]
যখন তার বয়স ১৫ ছিল তখন তিনি সোপ অপেরা গাইডিং লাইট-এ এক লাইনের সংলাপ বিশিষ্ট ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেন।[২১] এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন এতে তার অভিনয় খুবই বাজে ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের দিকে তিনি জন ম্যাহনির সাথে জন গুয়ারের দ্য হাউজ অভ ব্লু লিভস ব্রডওয়ে নাটকে অভিনয় করেন। এই নাটকটি চারটি টনি পুরস্কার অর্জন করে। এটি চলাকালীন সময় তিনি একটি ব্রিদ্রুপ-প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, যার প্রধান ছিলেন অভিনেতা ম্যাহনি। স্টিলার তার হাস্যরসাত্মক কাজের জন্য শিল্পী এবং কুশলীদের নিকট থেকে বেশ প্রশংসা লাভ করে। পরবর্তীতে তিনি ১০ মিনিটের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন দ্য হাস্টলার অফ মানি, যেটি দ্য কালার অব মানি-এর একটি ব্যঙ্গরূপ ছিল, এতে তাকে টম ক্রুজের ভূমিকায় এবং ম্যাহনিকে পল নিউম্যানের ভূমিকায় দেখা যায়। এটি স্যাটারডে নাইট লাইভ-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যেটি ১৯৮৭ সালে প্রচার করা হয়। দুবছর পর তাকে লেখক হিসাবে প্রস্তাব দেয়া হয় এর মধ্যে তিনি স্টিভেন স্পিলবার্গের এম্পায়ার অব দ্য সান চলচ্চিত্রে একটি ভূমিকা পান।[২২]
১৯৮৯ সালে স্টিলার স্যাটারডে নাইট লাইভ-এর জন্য লিখতে শুরু করেন এবং প্রধান অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেন। অনুষ্ঠানটি চায়নি যে তিনি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করুক, তাই চারটি পর্বের পর তিনি এটি ছেড়ে বের হয়ে যান। এরপর তিনি এলভিস স্টোরিস নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যেটি এলভিস প্রেসলির সাম্প্রতিক দর্শনের উপর নির্মিত।[২৩] এতে স্টিলারের বন্ধু এবং সহ-অভিনেতারা অভিনয় করেন। ছবিটি সফল হয় এবং তাকে এমটিভি এর জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র গোয়িং ব্যাক টু ব্রুকলিন নির্মাণ করতে উৎসাহিত করে, এটি ছিল একটি মিউজিক ভিডিও। এতে কৌতুকাভিনেতা কলিন কুইন মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেখানে সাম্প্রতিক হিট হওয়া এলএল কুল জের গান "গোয়িং ব্যাক টু কালি"-র ব্যঙ্গ করা হয়।[২৪]
ব্যাক টু ব্রুকলিন দেখে এমটিভি এর প্রযোজকরা এতটাই অভিভূত হলেন যে স্টিলারকে ১৩ পর্বের একটি পরীক্ষামূলক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিলেন।[২৫] দ্য বেন স্টিলার শো নামের ধারাবাহিকটি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও, টেলিভিশন অনুষ্ঠান, গায়ক এবং চলচ্চিত্রকে ব্যঙ্গ করে।[২৬] এতে স্টিলার এর সাথে প্রধান লেখক জেফ খান এবং হ্যারি ও’রেইলি প্রধান প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[২৭] মাঝে-মধ্যে তার বাব-মা এবং বোনকেও অনুষ্ঠানে দেখা যেত।
যদিও প্রথম মৌসুমের অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের দিকে ফক্স নেটওয়ার্কে দ্য বেন স্টিলার শো নামে আরেকটি অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। যাতে ১২টি পর্ব প্রচার করা হয়। দ্য বেন স্টিলার শো-এর প্রধান লেখকদের মধ্যে ছিলে স্টিলার এবং জুড এপ্যাটো। যদিও এটি স্বল্প সময়ের জন্য প্রচার করা হত, এটি রেটিং এর ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে, এর পরেও এটি বিচিত্রানুষ্ঠান বা সঙ্গীতানুষ্ঠান বিভাগে একটি এমি পুরস্কার জিতে নেয়।[২৬][২৮]
৯০ দশকের শুরুতে স্টিলার বিভিন্ন চলচ্চিত্রে ছোট ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেমন স্টিলা, হাইওয়ে টু হেল এবং দ্য নাট হাউজ। ১৯৯২ সালে হেলেন চাইল্ড্রেসের চিত্রণাট্যের উপর ভিত্তি করে রিয়েলিটি বাইটস নামের চলচ্চিত্র তৈরি করতে চুক্তিবদ্ধ হন। চাইল্ড্রেসের সাথে স্টিলার চিত্রনাট্যটি আবার লিখেন এবং ছবির জন্য অর্থায়ন ও কলাকুশলী বাছাই করেন। ছবিটি ১৯৯৪ সালের শুরুতে মুক্তি পায়, যেটি স্টিলার পরিচালনা করেন এবং সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেন। ছবিটি প্রযোজনা করেন ড্যানি ডেভিতো, যিনি পরবর্তী কালে স্টিলারের ২০০৩ সালের ছবি ডুপ্লেক্স পরিচালনা করেন এবং ২০০৪ সালের ছবি এলং কেইম পলি প্রযোজনা করেন। রিয়েলিটি বাইটস ছবিটি প্রথম সপ্তাহে সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং সমালোচকদের কাছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়।[২৯][৩০]
স্টিলার তার পিতা-মাতার সাথে হেভিওয়েইট (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হন, যেখানে তিনি দুইটি ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং এরপর অ্যাডাম স্যান্ডলারের হ্যাপি গিলমোর (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে একটি অস্বীকৃত ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি ইফ লুসি ফেল এবং ফ্লার্টিং উইথ ডিজাস্টার চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরিচালক হিসেবে তার পরবর্তী কাজ ছিল দ্য ক্যাবল গাই, যাতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিম ক্যারি। স্টিলার আবারও জমজ চরিত্রে তার নিজের ছবিতে অভিনয় করেন, ছবিটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। চলচ্চিত্রটি আলোচিত হয় তখন পর্যন্ত কোন অভিনেতাকে সর্বোচ্চ বেতন দেয়ার জন্য, ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য ক্যারি ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছিলেন।[৩১] চলচ্চিত্রটি পরবর্তী কালে স্টিলারকে ফ্র্যাট প্যাকের সদস্য জ্যাক ব্ল্যাক এবং ওয়েন উইলসনের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করেছিল।
১৯৯৬ সালে এমটিভি স্টিলারকে ভিএইচ১ ফ্যাশন পুরস্কার উপস্থাপনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। এই পুরস্কারের জন্য স্টিলার স্যাটারডে নাইট লাইভ-এর লেখক ড্রেক স্যাদারের সাথে একজন পুরুষ মডেল ডেরেক জুল্যান্ডারের উপর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। যেটি এতই প্রশংসিত হয় যে তিনি ঐ চরিত্রের উপর ১৯৯৭ সালের ভিএইচ১ ফ্যাশন পুরস্কারের জন্য আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং সর্বশেষে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[২৫]
১৯৯৮ সালে স্টিলার তার পরিচালক হিসেবে কাজের ইচ্ছা একপাশে সরিয়ে রাখেন ফ্যারিলি ভ্রাতৃদ্বয়ের দেয়ার'স সামথিং এবাউট ম্যারি-তে ক্যামেরন ডিয়াজের সাথে অভিনয়ের মাধ্যমে। যেটি তার অভিনয় জীবনকে গতি দিয়েছিল। একই বছর তিনি জিরো এফেক্ট, ইউর ফ্রেন্ডস অ্যান্ড নেইবার এবং পার্মানেন্ট মিডনাইট-সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। স্টিলারকে মিউজিক ভিডিও অ্যাওয়ার্ডের উপস্থাপনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, যার জন্য তিনি ব্যাকস্ট্রিট বয়েজের উপর একটি ব্যঙ্গ নির্মাণ করেন এবং তার বাবার সাথে একটি স্কেচে অভিনয় করেন।[৩২]
১৯৯৯ সালে তিনি তিনটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে মিস্ট্রি ম্যান এতে তিনি সুপারহিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেন যাকে মি. ফিউরিয়াস নামে পরিচিত করতে চান। তিনি ফক্সের টেলিভিশন ধারাবাহিক হিট ভিশন অ্যান্ড জ্যাক-এর জন্য পুনরায় পরিচালক হিসেবে ফিরে আসেন, যার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন জ্যাক ব্ল্যাক, কিন্তু ফক্স ধারাবাহিকটি গ্রহণ করেনি এবং এটি বাতিল হয়ে যায়।[৩৩]
২০০০ সালে স্টিলার আরও তিনটি চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে কাজ করেন, যার মধ্যে রবার্ট ডি নিরোর বিপরীতে মিট দ্য প্যারেন্টস চলচ্চিত্রে পুরুষ নার্স গেলর্ড ‘গ্রেগ’ ফকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্র।[৩৪] ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে, সারা বিশ্বে ৩৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করে এবং দুইটি অনুবর্তী পর্বও নির্মাণ করা হয়।[৩৫][৩৬] ২০০০ সালে আবারও এমটিভি স্টিলারকে আমন্ত্রণ জানায় একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এবং তিনি মিশন: ইম্প্রবেবল নির্মাণ করেন, যেটি টম ক্রুজের মিশন: ইম্পসিবল ২ সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রের একটি স্পুফ।[৩৭]
২০০১ সালে স্টিলার তার তৃতীয় ছবি পরিচালনা করেন জুল্যান্ডার নামে, যাতে তিনি নিজে ডেরেক জুল্যান্ডার ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটিতে বিভিন্ন তারকাদের অতিথি হিসাবে দেখা যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্যারিস হিল্টন, লেনি ক্রাভিটজ, হেইডি ক্লাম এবং ডেভিড বোয়ি। ছবিটি মালয়েশিয়াতে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় (কারণ ছবিটি একজন মালয়েশিয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উপর কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল)।[৩৮] ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দৃশ্যগুলো ডিজিটালি সরিয়ে ফেলা হয় সেপ্টম্বর ১১ এর সন্ত্রাসী হামলার পর।[৩৯]
ওয়েন উইলসনের সাথে জুল্যান্ডার-এ কাজের পর তারা আবার একসাথে যুক্ত হন দ্য রয়েল টেনেবাউমস-এর জন্য[৪০]। পরবর্তী দুই বছরে স্টিলার ল্যাকলস্টার বক্স অফিস ফিল্মের ছবি ডুপ্লেক্স এবং অতিথি হিসেবে অরেঞ্জ কাউন্টি ও নোবডি নোস এনিথিং!-এ অভিনয় করেন।[৪১][৪২][৪৩] তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন শোতে অতিথি হিসাবে আসেন যার মধ্যে দ্য কিং অব কুইনস-এ ফ্লাশব্যাক এ আর্থার চরিত্রের পিতা হিসাবে। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের ডাব্লিউডাব্লিউই রতে অতিথি হিসেবে আসেন।
২০০৪ সালে স্টিলার ছয়টি ভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেন এবং সবগুলোই কমেডি, যার মধ্যে কিছু তার সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র স্টারস্কি এন্ড হাচ, এনভি, ডজবল: আ ট্রু আন্ডারডগ স্টোরি, অ্যাঙ্করম্যান: দ্য লেজেন্ড অব রন বারগান্ডি, এলং কেম পলি এবং মিট দ্য ফোকারস। যেখানে ফ্লপ হওয়া ছবি এনভি আয় করে মাত্র ১৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার,[৪৪] অন্যদিকে সবচেয়ে সফল ছবি ছিল মিট দ্য ফোকারস, যা সারাবিশ্বে ৫১৬.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[৪৫] একই বছর তিনি কার্ব ইউর এন্থুসিয়াসম এবং এরেস্টেড ডেভলপমেন্ট টিভি ধারাবাহিকে অতিথি হিসেবে কাজ করেন। ২০০৫ সালে তার প্রথম কণ্ঠশিল্পী হিসেবে অভিজ্ঞতা অ্যানিমেশন ছবি মাদাগাস্কার-এ, যেটি সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পরবর্তী কালে এর দুটি অনুবর্তী পর্ব তৈরি হয়, সেগুলো ২০০৮ সালের মাদাগাস্কার: এস্কেপ ২ আফ্রিকা ও ২০১২ সালের মাদাগস্কার ৩: ইউরোপ মোস্ট ওয়ান্টেড।[৪৬]
২০০৬ সালে স্টিলার অতিথি হিসাবে স্কুল অব স্কাউন্ড্রেলস এবং টেনাসিয়াস ডি ইন দ্য পিক অফ ডেসটিনিতে অভিনয় করেন এবং সহকারী প্রযোজক ছিলেন। ডিসেম্বর ২০০৬ এ তিনি নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম-এ প্রধান চরিত্রে কাজ করেন। সমালোচকের এটি পছন্দ না করলেও চলচ্চিত্রটি দশ দিনে ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। ২০০৭ সালে স্টিলার মালিন আকারম্যানের সাথে প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক দ্য হার্টব্রেক কিড-এ অভিনয় করেন। এটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া সত্ত্বেও সারাবিশ্বে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে।[৪৭][৪৮]
২০০৮ সালে ট্রপিক থান্ডার মুক্তি পায়, এতে তিনি পরিচালক, সহকারী লেখক এবং সহকারী প্রযোজকের পাশাপাশি রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এবং জ্যাক ব্ল্যাকের সাথে অভিনয় করেন।[৪৯] ২০০৯ সালে তিনি অ্যামি অ্যাডামসের সাথে নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম-এর অনুবর্তী পর্ব নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম ২: ব্যাটল অব দ্য স্মিথসনিয়ান চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৫০] ২০১০ সালে স্টিলারকে হোয়াকিন ফিনিক্সের আই এম স্টিল হিয়ার প্রমাণ্য চলচ্চিত্রে দেখা যায় এবং তিনি হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী গ্রিনবার্গ চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি আবারও গ্রেগ ফোকার চরিত্রে অভিনয় করেন লিটল ফোকারস ছবিতে কাজ করেন, যেটি মিট দ্য পেরেন্টস-এর দ্বিতীয় কিস্তি ছিল। মেগামাইন্ড-এর প্রধান চরিত্রের জন্য তার কণ্ঠ দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরে তাকে বাদ দেয়া হয় এবং অন্য একটি ছোট চরিত্রে কণ্ঠ দেন ও ছবিটি প্রযোজনা করেন।[৫১]
২০১১ সালে তিনি এডি মার্ফি এবং অ্যালান আলডার সাথে একটি আবাসিক উচু ভবনে চুরির পরিকল্পনা করা টাওয়ার হাইস্ট ছবিতে অভিনয় করেন।[৫২] স্টিলার দ্য সিক্রেট লাইফ অব ওয়াল্টার মিটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয় করেন, যেটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায়।[৫৩]
স্টিলার ২০১৮ ও ২০১৯ সালে স্যাটারডে নাইট লাইভ অনুষ্ঠানের ৬টি পর্বে মাইকেল কোহেন চরিত্রে অভিনয় করেন।[৫৪][৫৫]
স্টিলারকে ফ্র্যাট প্যাক এর প্রধান হিসাবে বলা হয়। ফ্র্যাট প্যাক হচ্ছে কোটিপতি অভিনেতাদের সংঘ যারা বিভিন্ন ছবিতে একসাথে কাজ করে। দলটিতে জ্যাক ব্ল্যাক, উইল ফেরেল, ভিন্স ভন, ওয়েন উইলসন” লুক উইলসন এবং স্টিভ কারেল রয়েছেন[৫৬][৫৭] । স্টিলারকে প্রধান হিসাবে জানা যায় কারণ অতিথি হিসাবে বিভিন্ন ছবিতে কিংবা টিভি শো তে তার উপস্থিতি এবং গ্রুপটির অন্যান্য সদস্যকে তিনি তার প্রযোজিত ও পরিচালিত ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে কাজে লাগান বলে। স্টিলার সবচেয়ে বেশি ‘ওউয়েন উইলসন’ এর সাথে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেন-১১টি ছবি।[৫৬][৫৮] প্রাথমিকভাবে ৩৫টি ছবিকে ফ্র্যাট প্যাকের ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যেখানে স্টিলার প্রায় ২০টি ছবিতে উপস্থিত ছিলেন। স্টিলার দলটির একমাত্র সদস্য যিনি ব্র্যাট প্যাকের একটি ছবিতে (ফ্রেশ হর্সেস) কাজ করেছেন। ২০০৮ সালে স্টিলার একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে ফ্র্যাট প্যাকের বাইরে দাবি করেন এবং বলেন এগুলোর উদ্দেশ্য “সম্পূর্ণ বানোয়াট”।[৫৯]
স্টিলার তার কর্মজীবনের শুরুর দিকে বিভিন্ন অভিনেত্রীর সাথে ডেট করেছেন যার মধ্যে জিন ট্রিপলহর্ন, ক্যালিস্তা ফ্রকহার্ট’ এবং অ্যামান্ডা পিট উল্লেখযোগ্য।[৬০][৬১] ২০০০ সালের মে মাসে তিনি ক্রিশ্চিন টেইলরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৬২] তিনি তার সাথে পরিচিত হন[৬৩] যখন “ফক্স ব্রডকাস্টিং” এর জন্য একটি টেলিভিশন সিরিজ “হিট ভিশন এন্ড জ্যাক” শুটিং করতে ছিলেন যেটি কখনও প্রকাশ হয়নি।
এই যুগলকে একসাথে জুল্যান্ডার', ডজবল: আ ট্রু আন্ডারডগ স্টোরি এবং এরেস্টেড ডেভেলপমেন্ট ছবিতে দেখা গেছে। দুজনেই এখন নিউ ইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে বাস করেন।[৬৪] তাদের দুটি সন্তান আছে, একটি মেয়ে এলা অলিভিয়া, জন্ম এপ্রিল ৯, ২০০২ এবং একটি ছেলে কুইনলিন ডেম্পসি, জন্ম জুলাই ১০, ২০০৫। কুইলিন ৩ বছর বয়সেই তার বাবার সাথে “মাদাগাস্কারঃ এস্কেপ ২ আফ্রিকা” ছবিতে একজন কণ্ঠশিল্পী হিসাবে কাজ করেছে।[৬৫]
স্টিলার আমেরিকার ডেমোক্রেট দলের সমর্থক এবং তিনি ২০০৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য জন কেরিকে অর্থ দান করেন।[৬৬] ফেব্রুয়ারি ২০০৭ এ তিনি বারাক ওবামা এর হয়ে ফান্ড রাইজার হিসাবে কাজ করেন এবং পরবর্তিতে ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারনায় অর্থ দান করেন ওবামা, জন এডয়ার্ড, এবং হিলারি ক্লিনটন এর জন্য।[৬৭] স্টিলার এছাড়াও বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সমর্থক যার মধ্যে রয়েছে “ডিক্লেয়ার ইউরসেলফ”, “এলিজাবেথ গ্লাসের পেডিয়াট্রিক এইডস ফাউন্ডেশন” এবং “স্টারলাইট স্টারব্রাইট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন”[৬৮]। স্টিলার পশু অধিকার এর সক্রিয় সদস্য। ২০১০ সালে স্টিলার “জেনিফার এনিস্টন”, “কোর্টনি কক্স”, রবিন উইলিয়ামস এবং অন্যান্য হলিউড তারকার সাথে “দ্য কোভ পিএসএঃ মাই ফ্রেন্ড ইজ...” এ যুক্ত হন, যাতে ডলফিন শিকার থামানো এবং জাপানি মানুষদেরকে ডলফিনের মাংস খাওয়া থেকে থামানো কারণ এতে বিষাক্ত পারদ থাকে।[৬৯]
স্টিলার প্রায়ই তার প্রিয় অভিনয়শিল্পীদের ব্যক্তিত্বে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছেন টম ক্রুজ, বোনো, ব্রুস স্প্রিংটিন, এবং ডেভিড ব্লেইন। স্টিলার ‘প্যারেড’ ম্যাগাজিন এর একটি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন যে, রবার্ট ক্লেইন, জিওরেজ কারলিন, এবং জিমি ওয়াকার তার হাস্যরসাত্মক কর্মজীবনের অনুপ্রেরণা। স্টিলার নিজে ‘ট্রেকি’ দাবি করেন এবং টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠান স্টার ট্রেকঃ ৩০ ইয়ারস অ্যান্ড বিয়ন্ড-এ উপস্থিত হন ও এই শো এবং উইলিয়াম শ্যাটনারের হাস্যরসাত্মক কাজের জন্য নিজের ভালবাসা ব্যক্ত করেন।[৭০][৭১] তিনি তার কাজের মধ্যে প্রায়ই এই শো এর কথা উল্লেখ করেন এবং তার প্রযোজনা কোম্পানি “রেড হাওয়ারস প্রডাকশন” নামকরণ করেছেন এর নামে যখন “স্টার ট্রেক” এর একটি পর্ব ‘দ্য রিটার্ন অভ দ্য আরচন্স’ দেখানো হয়।[৭২]
বছর | নাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৮৭ | হট পারসুট | ক্রিস হানিওয়েল | |
এম্পায়ার অব দ্য সান | ডাইন্টি | ||
সুশাইন | |||
১৯৮৮ | ফ্রেশ হর্সেস | টিপটন | |
১৯৮৯ | নেক্সট টু কিন | লরেন্স ইজাবেল | |
এলভিস স্টোরিস | ব্রুস | ||
দেট’স অ্যাডেকেইট | চিপ লেইন | ||
১৯৯০ | স্টেলা | জিম আপ্টেগ্রুভ | |
ওয়ার্কিং ট্র্যাশ | ফ্রেডি নোভাক | ||
১৯৯২ | দ্য নাট হাউজ | পাই থ্রোয়ার | অতিথি |
হাইওয়ে টু হেল | প্লুটো’স কোক/এটিলিয়া দ্য হান | ||
১৯৯৪ | রিয়েলিটি বাইটস | মাইকেল গ্রেটস | পরিচালক হিসাবে প্রথম কাজ |
১৯৯৫ | হেভিওয়েইটস | টনি পারকিস/টনি পারকিস সিনিয়র | |
১৯৯৬ | দ্য কেবল গাই | স্যাম সুইট/স্টান সুইট | পরিচালক |
ফ্লার্টিং উইথ ডিজাস্টার | মেল | ||
ইফ লুসি ফেল | বুইক এলিয়াস | ||
হ্যাপি গিলমোর | হাল ল(নার্সিং হোম ওর্ডারলি) | অস্বীকৃত | |
১৯৯৮ | পার্মানেন্ট মিডনাইট | জেরি স্টাল | |
ইউর ফ্রেন্ডস এন্ড নেইবারস | জেরি | ||
দেয়ার’স সামথিং এবাউট মেরি | টেড স্টোরম্যান | এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট ফাইট (পাফি ডগ এর বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য) মনোনীত—আমেরিকান কমেডি এওয়ার্ড ফর ফানিয়েস্ট এক্টর (লিডিং রুল) মনোনীত—ব্লকবাস্টার এন্টারটেইনমেন্ট এওয়ার্ড ফর ফেবারিট এক্টর-কমেডি মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কমেডিক পারফর্মেন্স মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কিস (‘ক্যামেরন ডিয়াজ’ এর সাথে) মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট অন-স্ক্রিন ডোও (‘ক্যামেরন ডিয়াজ’ এর সাথে) | |
জিরো এফেক্ট | স্টিভ আর্লো | ||
১৯৯৯ | ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট | মার্ক ক্লিয়ার | |
মিস্ট্রি ম্যান | মি. ফিউরিয়াস | মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড-চয়েস হিসি ফিট | |
দ্য সাবর্বানস | জে রোজ | ||
২০০০ | মিট দ্য প্যারেন্টস | গেলর্ড ‘গ্রেগ’ ফকার | আমেরিকান কমেডি এওয়ার্ড ফর ফানিয়েস্ট এক্টর ইন এ মোশন পিকাঁচার(লিডিং রুল) এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কমেডিক পারফর্মেন্স মনোনীত—ব্লকবাস্টার এন্টারটেইনমেন্ট এওয়ার্ড ফর ফেভারিট এক্টর-কমেডি/রোমান্স মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট অন স্ক্রিন ডোও (‘রবার্ট ডি নিরো’ এর সাথে) মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর ফিল্ম- চয়েস এক্টর |
কিপিং দ্য ফেইথ | র্যাবাই জ্যাক শ্রাম | ||
দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট | কপ | ||
২০০১ | দ্য রয়েল টাইনিবামস | চাস টাইনিবামস | মনোনীত—ফনিক্স ফিল্ম ক্রিটিক্স এওয়ার্ড ফর বেস্ট কাস্ট মনোনীত—স্যাটেলাইট এওয়ার্ড ফর বেস্ট সাপোর্টিং এক্টর-মোশন পিকচার |
জুল্যান্ডার | ডেরেক জুল্যান্ডার | লেখক এবং পরিচালক টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর ফিল্ম- চয়েস হিসি ফিট মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট ড্রেসড মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট লাইন("দেয়ার’স মোর টু লাইফ দেন জাস্ট বিয়িং রেয়েলি, রিয়েলি, রিডিকুলাসলি গুড লুকিং") মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট অন-স্ক্রিন টিম(‘ওউয়িন উইলসন’ এর সাথে) মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর ফিল্ম-চয়েস এক্টর কমেডি | |
২০০২ | ওরেঞ্জ কাউন্টি | দ্য ফায়ারফাইটার | অতিথি |
রান রুনি রান | নিজে | ||
২০০৩ | নোবডি নোস এনিথিং! | পিচ এক্সপার্ট | অতিথি |
ডুপ্লেক্স | অ্যালেক্স রোজ | ||
পোউলি শর ইজ ডেড | নিজ | অতিথি | |
২০০৪ | মিট দ্য ফকারস | গ্রেগ ফকার | মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি এক্টরঃ কমেডি মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি ব্লাস স্কিন (গ্রেগ এঙ্গেইজমেন্ট পার্টি স্পিচ) মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি লায়ার |
এংকোরম্যানঃ দ্য লেজেন্ড অব রন বারগান্ডি | আরটুরো মেন্ডেস | অতিথি | |
ডজবলঃ এ ট্রু আন্ডারডগ স্টোরি | হোয়াইট গুডম্যান | এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট ভিলিয়েন মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কমেডিক পার্ফরমেন্স | |
এনভি | টিম ডিংম্যান | ||
স্টারস্কি এন্ড হাচ | ডেভিড স্টারস্কি | মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট অন স্ক্রিন টিম (‘ওউয়েন উইলসন’ এর সাথে) মনোনীত—পিপল চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট অন স্ক্রিন কেমেস্ট্রি (‘ওউয়েন উইলসন’ এর সাথে) মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি এক্টর-কমেডি মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি কেমেস্ট্রি (‘ওউয়েন উইলসন’ এর সাথে) | |
এলং কেম পলি | রিউবেন পেফার | মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট ডান্স সিকুয়েন্স (>(‘জেনিফার এনিস্টন’ এর সাথে দ্য হট সালসা ডান্স এর জন্য)> মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি ব্লাস মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি হিসি ফিট | |
২০০৫ | ডেনি রোয়ানিঃ ফার্স্ট টাইম ডিরেক্টর | নিজে | |
মাদাগাস্কার | অ্যালেক্স | কণ্ঠ; মনোনীত—কিডস চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট বয়েস ফ্রম এনিমেটেড মুভি | |
স্লেডজঃ দ্য আনটোল্ড স্টোরি | কমান্ডার | ||
২০০৬ | নাইট এট দ্য মিউজিয়াম | লেরি ডেলি | মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কমেডিক পারফর্মেন্স মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি এক্টরঃ কমেডি |
ইন সার্চ অভ টেড ডেম্মে | নিজে | ||
টেনাসিয়াস ডি ইন দ্য পিক অভ ডেসটিনি | গীটার সেন্টার গাই | অতিথি এবং প্রযোজক | |
স্কুল অভ স্কাউন্ড্রেলস | লনি | ||
ওয়সাম, আই ফাকিং শট দেট! | নিজে | ||
২০০৭ | দ্য হার্টব্রেক কিড | এডি ক্যান্ট্রু | |
২০০৮ | ট্রপিক থান্ডার | টাগ স্পিডম্যান | লেখক এবং প্রযোজক হলিউড ফিল্ম ফেস্টিভাল এওয়ার্ড ফর কমেডি অভ দা ইয়ার মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট ডব্লিউটিএফ মুমেন্ট মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি এক্টরঃ কমেডি |
মাদাগাস্কারঃ এস্কেপ ২ আফ্রিকা | অ্যালেক্স | কণ্ঠ; মনোনীত—কিডস চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট ভয়েস ফ্রম এনিমেটেড মুভি | |
২০০৯ | নাইট এট দ্য মিউজিয়ামঃব্যাটল অভ দ্য স্মিথসন | লেরি ডেলি | মনোনীত—এমটিভি মুভি এওয়ার্ড ফর বেস্ট কমেডিক পারফর্মেন্স মনোনীত—টিন চয়েস এওয়ার্ড ফর চয়েস মুভি এক্টরঃ কমেডি |
দ্য মার্ক পিজ এক্সপেরিয়েন্স | জন গ্রিবল | ||
২০১০ | গ্রিনবার্গ | রজার গ্রিনবার্গ | মনোনীত—ইনডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট এওয়ার্ড ফর বেস্ট মেইল লিড মনোনীত—কমেডি ফিল্ম এওয়ার্ড ফর বেস্ট লিডিং এক্টর |
মেগামাইন্ড | বেরনার্ড | নির্বাহী প্রযোজক, কণ্ঠ | |
লিটল ফকারস | গ্রেগ ফকার | ||
দ্য ট্রিপ | নিজে | অতিথি(অস্বীকৃত) | |
২০১১ | টাওয়ার হাইস্ট | জোশ কোবাক্স | |
২০১২ | মাদাগাস্কার ৩: ইউরোপ মোস্ট ওয়ান্টেড | এলেক্স | কণ্ঠ; মনোনীত—কিডস চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট ভয়েস ফ্রম এন এনিমেটেড মনোনীত—পিপল চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট কমেডিক মুভি এক্টর |
দ্য ওয়াচ | ইবান ট্রোটুইগ | ||
২০১৩ | ম্যাডলি মাদাগাস্কার | অ্যালেক্স | |
হি’স ওয়ে মোর ফেমাস দেন ইউ | নিজে | ||
দ্য সিক্রেট লাইফ অফ ওয়াল্টার মিটি | ওয়াল্টার মিটি | পরিচালক | |
২০১৪ | হোয়াইল উই’আর ইয়াং | জোশ | |
নাইট এট দ্য মিউজিয়ামঃ সিক্রেট অফ দ্য টম্ব | লেরি ডেলি/লা | কিডস চয়েস এওয়ার্ড ফর ফেবারিট মুভি এক্টর | |
২০১৬ | জুল্যান্ডার ২ | ডেরেক জুল্যান্ডার | লেখক এবং পরিচালক |
বছর | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|
১৯৮৯ | এলভিস স্টোরিস | পরিচালক, লেখক |
১৯৯৪ | রিয়েলিটি বাইটস | পরিচালক |
১৯৯৬ | দ্য ক্যাবল গাই | পরিচালক, লেখক(অস্বীকৃত) |
২০০১ | জুল্যান্ডার | পরিচালক, প্রযোজক, লেখক |
২০০৮ | ট্রপিক থান্ডার | |
২০১৩ | দ্য সিক্রেট লাইফ অফ ওয়াল্টার মিটি | পরিচালক, প্রযোজক |
২০১৬ | জুল্যান্ডার ২ | পরিচালক, লেখক |
বছর | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|
২০০৩ | ডুপ্লেক্স | প্রযোজক |
ক্রুকড লাইনস | নির্বাহী প্রযোজক | |
২০০৪ | স্টারস্কি এন্ড হাচ | |
ডজবলঃ এ ট্রু আন্ডারডগ স্টোরি | প্রযোজক | |
২০০৬ | টেনাসিয়াস ডি ইন দ্য পিক অভ ডেসটিনি | নির্বাহী প্রযোজক |
২০০৭ | ব্লেইডস অফ গ্লোরি | প্রযোজক |
২০০৮ | ডেট স্কুল | |
দা রুইনস | নির্বাহী প্রযোজক | |
২০০৯ | দ্য বয়েসঃ দ্য শেরম্যান ব্রাদার্স স্টোরি | |
২০১০ | মেগামাইন্ড | |
সাবমেরিন | ||
২০১১ | ৩০ মিনিটস অর লেস | প্রযোজক |
দ্য বিগ ইয়ার | নির্বাহী প্রযোজক | |
২০১৬ | জুল্যান্ডার | প্রযোজক |
বছর | ভূমিকা | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৮৬ | কেট এন্ড এলি | পিটার | টু লেট দ্য রেবেল |
১৯৮৭ | মিয়ামি ভাইস | ফাস্ট এডি ফ্লেচার | সিজন ৪,পর্ব২- ‘আমিন...সেন্ড দা মানি’ |
১৯৮৯ | স্যাটারডে নাইট লাইভ | বিভিন্ন/লেখক | ৪টি পর্ব |
১৯৯০ | দ্য বেন স্টিলার শো | নিজে | পরিচালক এবং লেখক |
ওয়ার্কিং ট্রাস | ফ্রেডি নোভাক | টেলিফিল্ম | |
১৯৯২-৯৩ | দ্য বেন স্টিলার শো | নিজে | পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক ‘গান কিংবা কমেডিতে অসাধারণ লেখনী’ বিষয়শ্রেণীতে প্রাইমটাইম এমি এওয়ার্ড |
১৯৯৫ | ডাকম্যান | হ্যারি ম্যাডফ্লাই | একটি পর্বে শুধুমাত্র কণ্ঠ |
২ স্টুপিড ডগস | টনি রবিন্ | শুধুমাত্র কণ্ঠ | |
১৯৯৬ | নিউজরেডিও | ভিক | একটি পর্ব |
১৯৯৭ | ফ্রেন্ডস | টমি | ‘দা ওয়ান উইথ স্কেমার’ পর্বে |
দা লেরি সেন্ডারস শো | নিজে | একটি পর্ব | |
১৯৯৮ | স্পেস ঘোস্ট কোস্ট টু কোস্ট | ||
স্যাটারডে নাইট লাইভ | উপস্থাপক | একটি পর্বে | |
১৯৯৮ এমটিভি ভিডিও মিউজিক এওয়ার্ড | উপস্থাপক | টেলিভিশন স্পেশাল | |
১৯৯৯ | হিট ভিশন এন্ড জ্যাক | স্ট্রিপ ক্লাব ডিজে | পরিচালক এবং নির্বাহী প্রযোজক |
র ইজ ওয়ার | নিজে | বিশেষ অতিথি-উপস্থাপক | |
ফ্রিকস এন্ড গিকস | সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট | একটি পর্বে | |
২০০০ | সেসিমি স্ট্রিট | নিজে | |
২০০১ | আনডিক্লেয়ারড | রেক্স | |
২০০২ | দ্য সিম্পসনস | গার্থ মাদারলাভিং | ’সুইটস এন্ড সোর মারজ’ পর্বে কণ্ঠ |
২০০২-০৩ | লিবার্টি’স কিডস | থমাস জেফারসন | দুইটি পর্বে কণ্ঠ |
২০০২ | প্রিহিস্টোরিক প্ল্যানেট | বর্নণাকারি | প্রথম সিজন |
দ্য কিং অভ কুইনস | জেরি | একটি পর্বে | |
হুবস অভ ফায়ার (যুক্তরাষ্ট্রে রিডাব) | রবি | শুধুমাত্র কণ্ঠ | |
লিজেন্ড অভ দ্য লস্ট ট্রাইব (যুক্তরাষ্ট্রে রিডাব) | |||
২০০৪ | কিং অভ দ্য হিল | রিচ | একটি পর্বে |
কার্ব ইউর এন্থুসিয়াসম | নিজে | তিনটি পর্ব | |
২০০৪-০৬, ২০১৩ | এরেস্টেড ডেভেলপমেন্ট | টনি ওয়ান্ডার | চারটি পর্ব |
২০০৫ | এক্সট্রাস | নিজে | একটি পর্বে মনোনীত—প্রাইমটাইম এমি এওয়ার্ড ফর আউটস্টেন্ডিং গেস্ট এক্টর ইন এ কমেডি সিরিজ |
২০০৭ | ফ্যামেলি গাই | ‘নো মিলস অন হোয়িলস’ পর্বে শুধুমাত্র কণ্ঠ | |
২০০৭ | বব এন্ড ডাগ ম্যাকঞ্জি’স টু-ফোর এনিবারসারি | প্রামাণ্যচিত্র | |
২০১০ | ফিনিয়াস এন্ড ফার্ব | খাকা পিউ পিউ | দা বিক |
টিম এন্ড এরিক ওয়সাম শো, গ্রেট জব | নিজে | একটি পর্বে | |
দ্য ট্রিপ | অতিথি(অস্বীকৃত) | ||
২০১১ | অনিয়ন নিউজ নেটয়ার্ক | একটি পর্ব | |
টেইক টু উইথ ফিনিয়াস এন্ড ফার্ব | |||
স্যাটারডে নাইট লাইভ | উপস্থাপক | একটি পর্ব | |
২০১২ | এগলহার্ট | সিলি সামি | অতিথি তারকা, একটি পর্ব |
২০১৪ | রানিং ওয়াইল্ড উইথ বিয়ার গ্রিলস | নিজে | একটি পর্ব; সিজন ১ পর্ব ২ |
২০১৫ | ওয়ার্কোহলিক্স | ডেল জেকবসন | অতিথি তারকা, একটি পর্ব |
২০১৫ | এনাদার পিরিয়ড | চার্লেস পঞ্জি | অতিথি তারকা, ‘লিলিয়ান’স বার্থডে’ পর্বে |
বছর | নাম | টীকা |
---|---|---|
২০১৩ | দ্য বার্থডে বয়েজ | নির্বাহী প্রযোজক |
২০১৪ | বিগ টাইম ইন হলিউড, এফএল |
বছর | নাম | শিল্পী | ভূমিকা |
---|---|---|---|
২০০০ | রুলিন(এয়ার রেইড ভেহিকল) | লিম্প বিজকিট | নিজে |
চকোলেট স্টারফিশ এন্ড দ্য হট ডগ ফ্লেভারড ওয়াটার | লিম্প বিজকিট | ||
২০০১ | ব্যাড বয় ফর লাইফ | সিন কম্ভস | পি. ডিডী’স নেইভর |
২০০২ | ট্রিবিউট | টেনাসিয়াস ডি | নিজে |
২০০৪ | টেইলর | জ্যাক জনসন | |
২০০৬ | ওসাম; আই ফাকিং’ শট দেট! | বিসাইট বয়েজ | |
২০০৭ | ক্লোজার | ট্রাভিস | সুপারমার্কেট ম্যানেজার |
বছর | নাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
২০১০–১১ | স্টিলার এন্ড মিয়েরা | পরিচালক, প্রযোজক | |
২০১২ | বার্নিং লাভ | জো রাদারফোর্ড | সহ-নির্বাহী প্রযোজক |
পূর্বসূরী কোর্টনি কক্স ও জন লোভিট্জ |
এমটিভি মুভি পুরস্কার উপস্থাপক ১৯৯৬ (সহ-উপস্থাপক জ্যানিয়েন গারোফালো) |
উত্তরসূরী মাইক মেয়ার্স |
পূর্বসূরী ক্রিস রক |
এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কার উপস্থাপক ১৯৯৮ |
উত্তরসূরী ক্রিস রক |