ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্যাসিল আর্থার ফায়ারব্র্যাস গ্রীভ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিলবার্ন, মিডলসেক্স, ইংল্যান্ড | ২৮ মে ১৮৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ১৯১৭ ইস্টবোর্ন, সাসেক্স, ইংল্যান্ড | (বয়স ৫৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৪) | ১২ মার্চ ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ মার্চ ১৮৮৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ জুলাই ২০১৯ |
ব্যাসিল আর্থার ফায়ারব্র্যাস গ্রীভ (ইংরেজি: Basil Grieve; জন্ম: ২৮ মে, ১৮৬৪ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯১৭) মিডলসেক্সের কিলবার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ব্যাসিল গ্রীভ।
১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাসিল গ্রীভ অংশগ্রহণ করেছিলেন। হ্যারো স্কুলে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়াশুনো করেন।[৩] সাধারণমানের ক্লাব ক্রিকেটারের চেয়ে তার ক্রীড়াশৈলী ভালো ছিল না। হ্যারো ও মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবে থাকাবস্থায় উদ্বোধনী বোলার হিসেবে চমৎকারভাবে মিডিয়াম পেস বোলিং করতে পারতেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ব্যাসিল গ্রীভ। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম খেলেন। এরপর, ২৫ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে কেপ টাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টে তিনি বোলিং করার সুযোগ পাননি। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে স্প্রিংবকদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষের তুলনায় পূর্ণাঙ্গ শক্তিমত্তার দল প্রেরণের কথা বলা হলেও ঐ দলটি দূর্বলমানের কাউন্টি দলের বেশি ছিল না। তাসত্ত্বেও সফরকারী ইংরেজ দল বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই জয় পায়।
মেজর ওয়ারটনের নেতৃত্বে ১৮৮৯ সালে ইংরেজ দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। অংশগ্রহণকৃত খেলা দুটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম দুইটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বার্নার্ড ট্যানক্রেড, আর্থার অশি, চার্লস ভিন্টসেন্ট, ফিলিপ হাচিনসন, ওয়েন ডানেল, উইলিয়াম মিল্টন, রবার্ট স্টুয়ার্ট, ফ্রেড স্মিথ, চার্লি ফিনলাসন, গাস কেম্পিস ও ব্যাসিল গ্রীভ এবং ইংল্যান্ডের পক্ষে ফ্রাঙ্ক হার্ন, মন্টি বাউডেন, স্যার অব্রে স্মিথ, সম্মানীয় চার্লস কভেন্ট্রি ও আর্নল্ড ফদারগিলের একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।[৪] খেলায় তিনি অপরাজিত ১৪* ও অপরাজিত ১২* রান করেন। ঐ খেলায় তার দল ৮ উইকেটে জয়লাভ করে দুই টেস্টের গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর মদের ব্যবসায়ে জড়িত ছিলেন। ১৯ নভেম্বর, ১৯১৭ তারিখে ৫৩ বছর বয়সে সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় ব্যাসিল গ্রীভের দেহাবসান ঘটে। ক্রিকেট বিশ্বে তার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে উইজডেনে তার মৃত্যুতে তিন বাক্যের স্মরণিকা প্রকাশ করে। তবে, এতে ইংল্যান্ডের পক্ষে তার অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরা হয়নি।