![]() ১৯৯৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বায়ান বোলাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন ব্রায়ান বোলাস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হুইটকির্ক, লিডস, ইংল্যান্ড | ৩১ জানুয়ারি ১৯৩৪||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৭ মে ২০২০ | (বয়স ৮৬)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক, প্রশাসক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪১৭) | ২৫ জুলাই ১৯৬৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৬ - ১৯৬২ | ইয়র্কশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩ - ১৯৭২ | নটিংহ্যামশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩ - ১৯৭৬ | ডার্বিশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ মে ২০২০ |
জন ব্রায়ান বোলাস (ইংরেজি: Brian Bolus; জন্ম: ৩১ জানুয়ারি, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ৭ মে, ২০২০) লিডসের হুইটকির্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন।[১][২] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, নটিংহ্যামশায়ার ও ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ব্রায়ান বোলাস।
লিডসের হুইটকির্ক এলাকায় ব্রায়ান বোলাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫৩ সালে লিডসে চলে আসার পূর্বে হুইটকির্কে ক্রিকেট খেলা শিখতে শুরু করেন। এরপর, ব্রাডফোর্ডে চলে যান। লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক খেলায় অপরাজিত ১০০ রান তুলেন। দলের সংগ্রহ মাত্র ১৫৯ রানের মধ্যে তার এ সেঞ্চুরি লিস্ট এ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছে।[৩]
১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ব্রায়ান বোলাসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লেগ সাইডে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করেছেন। ধারাবাহিকভাবে রান তুলেছেন ও খুব কমই ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখেন। চমৎকার স্ট্রোক খেলোয়াড় ছিলেন। কাট ও কভার ড্রাইভে দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, কার্যকর বামহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন নিজেকে।
১৯৫৬ সালে নিজ কাউন্টি ইয়র্কশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটান। এরপর থেকে কাউন্টি দলটির পক্ষে সাত বছর খেলেন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত অভিষেক খেলায় ইয়র্কশায়ারের সদস্যরূপে এমসিসি’র বিপক্ষে খেলেন। ইয়র্কশায়ারের পক্ষে সব মিলিয়ে ১০৭টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬০ সালে পোর্টসমাউথে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৪৬ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে পার্ক অ্যাভিনিউতে সফররত পাকিস্তান একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৪০ দাঁড় করান।[৪]
১৯৬৩ সালে কাউন্টি ত্যাগ করে নটিংহ্যামশায়ারে চলে যান। তার পরিবর্তে ছয় বছরের ছোট ও তুলনামূলকভাবে অপরিচিত জিওফ্রে বয়কটকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।[৫] নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে ২৬৯টি খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে ১৯৬৩ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০২ রান তুলেন। ১৯৬৬ সালে একই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে ২/২৪ পান। ১৯৭২ সালে কাউন্ট দলটির অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পৃথক তিনটি কাউন্টি দলের পক্ষে ক্যাপ লাভ করেন। প্রথম অধিনায়ক হিসেবে উপর্যুপরী দুইটি ভিন্ন কাউন্টি দলে খেলেন। ১৯৭৩ সালে ডার্বিশায়ারের সদস্য হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন। ডার্বিশায়ারের পক্ষে ৬৪টি খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে বার্টন আপোন ট্রেন্টের ব্যাস ওয়ার্থিংটন গ্রাউন্ডে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ১৫১ রান তুলেন।
ইয়র্কশায়ারে অবস্থানকালে মৌসুমে দুইবার সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পাশাপাশি নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে দশবার ও ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে দুইবার এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ব্রায়ান বোলাস। ২৫ জুলাই, ১৯৬৩ তারিখে লিডসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলটি ওয়েস হলের মুখোমুখি হন। ওভালে প্রথম বলেই সোজা তার মাথার উপর দিয়ে চার মারেন। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ভারত গমন করেন ও যথেষ্ট ভালো খেলেন। চারটি টেস্ট অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেললেও কোনটিকেই তিন অঙ্কের কোটায় নিয়ে যেতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, ১৯৬৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাকে দলে রাখার উপযুক্ত মনে করা হয়নি। এ পর্যায়ে অবশ্য ইংল্যান্ড দল উপযুক্ত উদ্বোধনী জুটি খুঁজছিল। ঐ সিরিজের শেষদিকে বয়কট ও এডরিচ নিজেদেরকে এ স্থানের সাথে খাঁপ খাইয়ে নেন। ফলশ্রুতিতে, তাকে আর দলে রাখা হয়নি।
ব্রায়ান বোলাস দুইটি অপ্রত্যাশিত টেস্ট রেকর্ডের সাথে স্বীয় নামকে জড়িয়ে রেখেছেন। পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে সর্বাধিক সাত টেস্টে অংশ নিয়ে কোন এক অঙ্কের রান তুলেননি ও সর্বাধিক বারো ইনিংসে অংশ নিয়ে কোন এক অঙ্কের রান তুলেননি।[৬]
খাঁটিমানের কাউন্টি খেলোয়াড় হিসেবে সচরাচর প্যাডের উপর ভর রেখে খেলতে নামতেন। তার টেস্ট ব্যাটিং গড় ছিল ৪১.৩৩। এ গড়টি প্রথম-শ্রেণীর ৩৬.৯১ গড়ের তুলায় বেশ উঁচুমানের। দূর্ভাগ্যবশতঃ অধিক টেস্টে তিনি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। জিওফ বয়কট ও জন এডরিচের সাথে তাকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। খুব সম্ভবতঃ সুন্দরভাবে সূচনা করতে না পারা ও সেঞ্চুরিতে না যাবার কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন তার প্রতিকূলে চলে যায়। টেস্টে সর্বোচ্চ করেন ৮৮ রান।
ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার কলিন বেটম্যান তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, ‘ব্রায়ান বোলাস অপরিহার্য সঞ্চালক, নির্ভরযোগ্যতার ছাঁপ রেখে ২০ মৌসুমে অধিক সময় নিয়ে ২৫,০০০-এর অধিক রান সংগ্রহণ করেছিলেন।’[১]
১৯৭৫ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণকালীন ২৫,৫০০ অধিক প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে বি এন্ড এইচ কাপে দুইবার অংশ নেন। ১৯৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল নির্বাচকের দায়িত্বে ছিলেন।[১] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭৬ সালে নটিংহামে গেডলিং কাউন্সিলে নিযুক্ত হন। এ পর্যায়ে তিনি ব্রাডফোর্ডের পক্ষে খেলছিলেন। এরপর তিনি ক্লেকহিটন, ব্রিগহাউজ ও ফারস্লি দলের পক্ষে খেলেন। ১৯৮৩ সালে প্রিস্টলি কাপের শিরোপা বিজয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন। হুইটকির্ক ক্রিকেট ক্লাবের সম্মানসূচক আজীবন সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন।[৭]
খুবই অল্প কয়েকজন অধিনায়কের অন্যতম হিসেবে নিজস্ব খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। ডার্বিশায়ার ও ইংল্যান্ডের পেসার অ্যালান ওয়ার্ড বোলিং করতে অস্বীকার করলে চেস্টারফিল্ডের কুইন্স পার্ক থেকে বের করে দেন।
জীবনের শেষদিকে নৈশভোজন পরবর্তী সময়ে বক্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ‘যারা আমার ব্যাটিং দেখেছেন ... আমাকে ক্ষমা করবেন’ - বলে বক্তব্য শুরু করতেন।[১] ৭ মে, ২০২০ তারিখে ৮৬ বছর বয়সে ব্রায়ান বোলাসের দেহাবসান ঘটে।[৮]
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী গ্যারি সোবার্স |
নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭২ |
উত্তরসূরী গ্যারি সোবার্স |
পূর্বসূরী ইয়ান বাক্সটন |
ডার্বিশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৭৩ - ১৯৭৪ |
উত্তরসূরী বব টেলর |