ভরতপুর রাজ্য | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৬৮০–১৯৪৭ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অফ ইন্ডিয়ায় ভরতপুর রাজ্য | |||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৩১ | ৫,১২৩ বর্গকিলোমিটার (১,৯৭৮ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৩১ | 486,954 | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৬৮০ | ||||||
• ব্রিটিশ আধিপাত্যের অবসান; ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদান | ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | ||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | রাজস্থান, ভারত |
ভরতপুর রাজ্য, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি দেশীয় রাজ্য ছিল। এটি হিন্দু জাটদের সিনসিনওয়ার বংশ দ্বারা শাসিত ছিল। তারা মদন পাল নামে একজন যাদুবংশী ক্ষত্রিয়ের বংশোদ্ভূত দাবি করতো।[১]
ভরতপুর রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ ছিলেন গোকুলা জাট তখন তিলপাট তখন মথুরা এখন ফরিদাবাদ, হরিয়ানা এর জমিদার।[২][৩][৪][৫] রাজা রাম জাট যিনি আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন এবং আকবরের সাথে লড়াই করার জন্য সিনসিনিতে একটি ছোট দুর্গ স্থাপন করেছিলেন। এটি ছিল এই রাজ্যের মূল ভিত্তি।[৩][৪][৬][৭]
বদন সিং এবং মোকাম সিংহের মধ্যে বিরোধের ফলে শক্তিশালী কচোয়াহা রাজা দ্বিতীয় জয় সিংহ হস্তক্ষেপ করেন। তিনি মোকম সিংকে পরাজিত করেন এবং বদন সিংকে দীঘের রাজা করেন, বদন সিং এভাবেই দীঘ, থুন এবং ভরতপুরের প্রথম সরকারি রাজা হন।[৮]
ভরতপুরের সর্বাধিক বিশিষ্ট শাসক ছিলেন মহারাজা সুরজ মাল, তিনি আগ্রা মুগল শহরটি ১২ জুন ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে দখল করেছিলেন এবং ১৭৭৪ সাল পর্যন্ত এটি ভরতপুর শাসকদের অধিকারে ছিল।[৯] মহারাজা সুরজ মল পর মহারাজা জওহর সিং, মহারাজা রতন সিংহ এবং মহারাজা কেহেরিসিং (নাবালক) মহারাজা নাওয়াল সিং অধীনে আগ্রা ফোর্ট শাসিত হয়।
১৮০৫ সালে ব্রিটিশ ও হলকারদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ভরতপুরের মহারাজা রণজিৎ সিং হলকারকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন এবং দুই মহারাজরা ভরতপুর দুর্গে ফিরে গিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা দুর্গটি ঘিরে ফেলে এবং তিন মাস পর রণজিৎ সিং শান্তিতে সম্মত হয় এবং ব্রিটিশদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, ফলে এটি দেশীয় রাজ্য হয়। ১৮৫৭ এর ভারতীয় বিদ্রোহের সময় মহারাজা জসন্ত সিংহ ব্রিটিশদের প্রচুর সমর্থন করেছিলেন এবং এই সহায়তাকে ব্রিটিশরা ব্যাপকভাবে স্বীকার করেছিল। তরুণ মহারাজাকে জিসিএসআই করা হয়েছিল এবং তাঁর ব্যক্তিগত তোপ সালাম বাড়ানো হয়েছিল।[১]
১৯৪৭ সালের আগস্টে রাজ্য ভারতের সদ্য স্বতন্ত্র কর্তৃত্বকে স্বীকার করে। ১৯৪৮ সালে ম্যাটাস ইউনিয়নের অঙ্গ হয় এবং ১৯৪৯ সালে রাজস্থানে অন্তর্ভুক্ত হয়। ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যরা জাতীয় ও আঞ্চলিক বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন। পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য সংসদ সদস্য এবং রাজ্য আইনসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজ্যর পূর্বের পতাকাটি একটি আয়তক্ষেত্রাকার ত্রিভুজ ছিল যাতে সাদা এবং নীল রঙের তিনটি অনুভূমিক ফিতে ছিল। এর নকশা এবং রঙিন স্কিমটি আনুষ্ঠানিক পতাকার সাথে মিল ছিল যা ভারতের ভবিষ্যতের স্বাধীন ডমিনিয়নর জন্য গৃহীত হয়।
গত তিন বছরে ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের আগে ভরতপুরের জন্য একটি নতুন পতাকা গৃহীত হয়েছিল যার মাঝখানে একটি প্রশস্ত চার্টরিজ রঙিন ব্যান্ড এবং জাতীয় প্রতীকের আবরণ ছিল।[১০] সেই সংক্ষিপ্ত সময়কালে (১৯৪৩- ১৯৪৭) ভরতপুর একমাত্র রাজনৈতিক সত্তায় পরিণত হয়েছিল যার একটি চার্টের ব্যবহার রঙিন পতাকা ছিল। ভরতপুর রাজ্যেও ছিল কোট অব আর্মস প্রতীক। [১১]
এই নিবন্ধটি একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনে: চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Bharatpur"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।