| ||
---|---|---|
বর্তমান
জাতীয় নীতি ও উদ্যোগ
প্রচার
মিশন
প্রতিষ্ঠান ঘটনা ও অনুষ্ঠান সামরিক ও উদ্ধার অভিযান
প্রতিষ্ঠান ঘটনা ও অনুষ্ঠান সামরিক ও উদ্ধার অভিযান চুক্তি বিতর্ক
চিত্রশালা: চিত্র, অডিও, ভিডিও |
||
ভারতে কোনো উচ্চ-গতির রেলপথ বা "বুলেট ট্রেন" পরিচালিত নয়, যদিও মোট ৮টি উচ্চ-গতির রেলপথকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে উচ্চ-গতির রেলপথ নির্মাণাধীন।[১] ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে দ্রুত ট্রেন পরিষেবা হচ্ছে গতিমান এক্সপ্রেস ও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।[২]
মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিমি দৈর্ঘ্যের উচ্চ-গতির রেলপথ নির্মাণাধীন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী এর সর্বোচ্চ বেগ ৩২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।[৩][৪] এই রেলপথটি বহুল প্রচলিত ব্রড গেজের জায়গায় আদর্শ গেজ ব্যবহার করবে এবং এতে জাপানের শিনকানসেন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ৩ ঘণ্টার মধ্যে দুই শহরের মধ্যে যাত্রী বহন করবে এবং এর টিকিটের মুল্য বিমানের তুল্য হবে। এই প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মূলত মহারাষ্ট্রে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা ও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর জন্য এটি অক্টোবর ২০২৮-এ সম্পূর্ণ হওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছে। তবে সুরাট ও বিলিমোরার মধ্যবর্তী অংশ ২০২৬-এ চালু হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।[৫][৬]
১৮ ডিসেম্বর ২০০৯-এ রেল মন্ত্রক সংসদের সামনে পেশ করা "ভিশন ২০২০"-তে আঞ্চলিক উচ্চ-গতির প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছিল, যা ২৫০–৩৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে পরিষেবা প্রদান করবে এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক, পর্যটন ও তীর্থ কেন্দ্রদের সংযুক্ত করবে।[৭][৮]
২০১৪-এর সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হীরক চতুর্ভুজ নামক উচ্চ-গতির রেল প্রকল্পের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল, যা কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও মুম্বইকে উচ্চ-গতির রেল দ্বারা সংযুক্ত করবে।[৯] এই প্রকল্পকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় নতুন সরকারের অগ্রাধিকার হিসাবে অনুমোদিত করা হয়েছিল।[১০] ১ কিমি উচ্চ-গতির রেল ট্র্যাক নির্মাণের খরচ ₹ ১০০ কোটি (ইউএস$ ১২.২২ মিলিয়ন) থেকে ₹ ১৪০ কোটি (ইউএস$ ১৭.১১ মিলিয়ন)-এর মধ্যে অনুমান করা হয়েছিল, যা সাধারণ রেল ট্র্যাক নির্মাণের চেয়ে প্রায় ১০–১৪ গুণ বেশি।[১১]
রেল মন্ত্রকের পরিভাষা অনুযায়ী, কোনো রেলপথে উপর ট্রেন ১৬০–২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে পরিচালিত হলে সেটি সেমি-হাই-স্পিড বা অর্ধ-উচ্চ-গতির রেলপথ এবং ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কম বেগে পরিচালিত হলে সেটি কনভেনশনাল রেলপথ হিসাবে পরিগণিত হয়।[১২] আন্তর্জাতিক রেল সঙ্ঘের পরিভাষা অনুযায়ী, নতুন রেলপথের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বেগ ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি কিংবা উন্নীত রেলপথের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বেগ ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হলে সেটি উচ্চ-গতি হিসাবে পরিগণিত হয়।[১৩] জুলাই ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী, ৫০৮ কিমি উচ্চ-গতির রেলপথ নির্মাণাধীন এবং ১৭৪ কিমি তুঘলকাবাদ–আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট রেলপথ সেমি-হাই-স্পিড বেগের উপযুক্ত।[১৪]
পরিচালিত নির্মাণাধীন প্রস্তাবিত
বেগ | ধরন | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|
১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কম | কনভেনশনাল রেল | ৬৭৮৬৯ কিমি |
১১০–১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা | গ্রুপ বি রেলপথ | |
১৩০–১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা | গ্রুপ এ রেলপথ | |
১৬০–২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা | সেমি-হাই-স্পিড রেল | ১৭৪ কিমি |
২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা | উচ্চ-গতির রেল | ৫০৮ কিমি |
ভারতের উচ্চ-গতির রেল নেটওয়ার্কের প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ বেগ ৩০০–৩৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে, এবং অনুপ্রবেশ রোখার জন্য উচ্চ-গতির রেলপথকে উড়াল রেলপথ হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে।[১৬] সিস্ট্রা, ইটালফের, রাইটস লিমিটেড, মট ম্যাকডোনাল্ড, ইনেকো, প্রইন্টেক, আয়েসা, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) ইত্যাদি সংস্থা এর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন।[১৭][১৮][১৯][২০][২১]
নির্মাণাধীন অনুমোদিত প্রস্তাবিত
নাম | বেগ (কিমি প্রতি ঘণ্টা) |
দৈর্ঘ্য (কিমি) |
পরবর্তী প্রসারণ | অবস্থা | পরিকল্পিত উদ্বোধন (এনআরপি অনুযায়ী)[২২] | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|
উত্তর[২৩] | |||||||
দিল্লি–বারাণসী উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৮৬৫ | ডিপিআর প্রস্তুতি চলছে। | ২০৩১ | |||
দিল্লি–অমৃতসর উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৪৮০ | চণ্ডীগড় হয়ে | অনুমোদিত[২৪] | ২০৫১ | ||
দিল্লি–আহমেদাবাদ উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৮৮৬ | উদয়পুর হয়ে | জমি অধিগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে | ২০৩১ | ||
অমৃতসর–জম্মু উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ১৯০ | পাঠানকোট হয়ে | প্রস্তাবিত[২৫] | ২০৫১ | ||
পূর্ব | |||||||
বারাণসী–হাওড়া উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৭১১ | পাটনা হয়ে | ডিপিআর প্রস্তুতি চলছে।[২৬] | ২০৩১ | ||
পাটনা–গুয়াহাটি উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৮৫০ | প্রস্তাবিত | ২০৫১ | |||
পশ্চিম | |||||||
মুম্বই–আহমেদাবাদ উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৫০৮.১৮ | সুরাট ও বিলিমোরা হয়ে | নির্মাণাধীন | ২০২৬ (সুরাট–বিলিমোরা) ২০২৮ (সম্পূর্ণ রেলপথ) | ||
মুম্বই–নাগপুর উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৭৩৬ | নাশিক ও আওরঙ্গবাদ হয়ে | ডিপিআর প্রস্তুতি চলছে। | ২০৫১ | ||
মুম্বই–হায়দ্রাবাদ উচ্চ-গতির রেলপথ[২৭] | ৩৫০ | ৭১১ | পুণে ও সোলাপুর হয়ে | ডিপিআর প্রস্তুতি চলছে। | ২০৫১ | ||
পুণে–নাশিক উচ্চ-গতির রেলপথ[২৮] | ২০০ | ২৩৫.১৫ | নারায়ণগাঁও ও সঙ্গমনের হয়ে | জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। | ২০২৭ | ||
আহমেদাবাদ–রাজকোট উচ্চ-গতির রেলপথ[২৯] | ২২০ | ২২৫ | লিম্বডি হয়ে | ডিপিআর প্রস্তুত হয়েছে। | অঘোষিত | ||
মধ্য | |||||||
আহমেদাবাদ–রাজকোট উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৮৫৫ | প্রস্তাবিত | ২০৪১ | |||
দক্ষিণ | |||||||
চেন্নাই–মহীশূর উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৪৩৫ | বেঙ্গালুরু হয়ে[২৪] | ডিপিআর প্রস্তুতি চলছে। | ২০৩১ | ||
হায়দ্রাবাদ–বেঙ্গালুরু উচ্চ-গতির রেলপথ | ৩২০ | ৬১৮ | প্রস্তাবিত | ২০৪১ | |||
সিলভার লাইন (তিরুবনন্তপুরম–কাসারগড়)[৩০] | ২০০ | ৫২৯.৪৫ | এর্নাকুলাম হয়ে | ডিপিআর প্রস্তুত হয়েছে। | অঘোষিত | ||
মোট | |||||||
১৫টি রেলপথ | গড় বেগ: ৩০০ | ৮৮৩৪.৭৮ | – | ০/১৫ | ২০৫১ |