ভারত | |
---|---|
পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু | ১৯৬৭ |
প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা | ১৮ই মে ১৯৭৪ a |
প্রথম থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা | ১১ই মে ১৯৯৮ b |
সাম্প্রতিক পরীক্ষা | ১৩ই মে ১৯৯৮ c |
সর্ববৃহৎ পরীক্ষা | ৪৫ কিলোটন; ২০০ কিলোটন ডিভাইসের পরীক্ষিত আকার - শক্তি-১ c |
আজ পর্যন্ত পরীক্ষা | ৬ |
সর্ব্বোচ্চ সঞ্চিত মজুদ | ১৮০-২০০ d |
বর্তমান সঞ্চিত মজুদ | ১৭২ (২০২৪ আনুমানিক) d |
সর্বাধিক পাল্লার মিসাইল | ৫৮০০ - ৮০০০ কি.মি. e (অগ্নি-৫) |
এনপিটি পার্টি | না |
ভারত পারমাণবিক অস্ত্র রূপে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরী ও মজুদ করেছে। যদিও ভারত তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আকার সম্বন্ধে কোনো বিবৃতি জারি করেনি তবে সাম্প্রতিক অনুমান করা যায় যে তাদের হাতে ১৭২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে [৯][১০] এবং ১৮০-২০০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীযোগ্য প্লুটোনিয়াম উৎপন্ন করেছে। এবং ভারত তাদের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র উন্নত করেছে ১৯৯৮ সালে যেটি ছিল হাইড্রোজেন বোমা।[১১] হাইড্রোজেন বোমা বা তাপ-পারমাণবিক অস্ত্র হলো দ্বিতীয় প্রজন্মের পারমাণবিক অস্ত্র, যার বিধ্বংসী ক্ষমতা সাধারণ পারমাণবিক বোমা থেকে হাজার গুণ বেশি হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে ভারতের কাছে ৮০০কেজি পৃথকীকৃত চুল্লীযোগ্য প্লুটোনিয়াম বর্তমান ছিল এছাড়াও ৮৩০০ কেজি অসামরিক প্লুটোনিয়ামও তাদের হাতে ছিল যা প্রায় ১০০০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট। [১২][১৩]
ভারত তিনটি বহুদেশীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠীর সদস্য যথা: ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী, ওয়াসেনার ব্যবস্থা এবং অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠী। ভারত জৈবিক অস্ত্র সম্মেলন এবং রাসায়নিক অস্ত্র সম্মলনে স্বাক্ষর করেছে এবং অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ভারত হেগ আচরণবিধিতেও সম্মতিদানকারী রাষ্ট্র। ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় ভারত ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি ও পারমাণবিক অ-বিস্তার চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। [১৪] পূর্বে ভারতে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত ছিল কিন্তু ২০০৯ সালে ৭টি দেশের মধ্যে একটি হয়ে ওপিসিডির বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে স্বেচ্ছায় সমস্ত মজুদ অস্ত্র নষ্ট করে দেয়। [১৫] ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক হওয়ায় ভারত ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি ও পারমাণবিক অ-বিস্তার চুক্তি স্বাক্ষর করেনি।
ভারত "প্রথম ব্যবহার নয়" পারমাণবিক নীতি মেনে চলে এবং তারা " সর্বনিম্ন বিশ্বাসযোগ্য বাধা তত্ত্ব" মতবাদের অন্তর্গত হিসাবে ত্রিমাত্রিক পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। [১৬] [১৭]
প্রাণঘাতী জীবাণুর সাথে কাজ করার জন্য ভারতে উন্নত জৈবপ্রযুক্তি পরিকাঠামো কাঠামো রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ফার্মাসিউটিকাল উৎপাদনাগার এবং জৈব-সংবহন পরীক্ষাগার (বিএসএল -3 এবং বিএসএল -4)। এখানে উচ্চশিক্ষিত বৈজ্ঞানিকও আছেন যারা সংক্রামক রোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ভারতের কয়েকটি গবেষণাগার প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে জৈবিক অস্ত্র বিষয়ে গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ভারত জৈবিক অস্ত্র কনভেনশনকে (বিডব্লিউসি) অনুমোদন দিয়েছে এবং এর নিয়ম মানার অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। যদিও আক্রমণাত্মকভাবে জৈবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ ও ঘটনা পাওয়া যায়নি। ভারতের কাছে আক্রমণাত্মক জৈবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি শুরু করার বৈজ্ঞানিক ক্ষমতা ও পরিকাঠামো বর্তমান থাকলেও তারা তা কোনোদিন করেনি। এছাড়া ভারতের হাতে এরোসল তৈরির ব্যবস্থা , বিভিন্ন প্রকার ক্রপ ডাস্টার এমনকি জটিল ক্ষেপণাস্ত্রও বর্তমান। [১৮]
কিন্তু এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে বা অন্য কোনো ভাবে জৈবিক এজেন্ট প্রেরণ করার মনোভাব ভারতের সরকারের কোনো নথিতেই বিবৃত নেই । এটি প্রমাণ করার জন্য, ২০০২ সালের অক্টোবরে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম জোর দিয়ে বলেন যে, "ভারত জৈব অস্ত্র তৈরি করবে না। এটা মানুষের জন্য নিষ্ঠুর "। [১৮]
১৯৯২ সালে ভারত রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (CWC) স্বাক্ষর করে এবং বিবৃতি দেয় যে তাদের কোনো রাসায়নিক অস্ত্র নেই এবং উৎপাদন করার সামর্থ ও মনোভাব কোনোটাই তাদের নেই। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এর ফলে ১৯৯৩ সালে তারা অন্যতম প্রধান স্বাক্ষরকারী হয়ে ওঠে[১৯] যা ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ তে আবার পুনরাবৃত্ত হয়। ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল সুন্দরজির মতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা রাখা একটি দেশের রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রয়োজন নেই, একমাত্র যেসব দেশে পারমাণবিক অস্ত্র নেই তাদেরই শুধুমাত্র রাসায়নিক অস্ত্র দ্বারা আতঙ্কিত করা যায়। অন্যদের মতে চিরাচরিত অস্ত্রের বলে ভারত রাসায়নিক অস্ত্র অপ্রয়োজনীয় মনে করে ।
১৯৯৭ সালের জুন, ভারত তার রাসায়নিক অস্ত্র (১০৪৫ টন সালফার মাস্টার্ড ) এর ভান্ডার ঘোষণা করে ঘোষণা করে। [২০][২১] ২০০৬ সালের শেষ পর্যন্ত, ভারত তার ৭৫% রাসায়নিক অস্ত্র / উপাদানের ভান্ডার বিনষ্ট করে এবং এপ্রিল ২০০৯ এর মধ্যে অবশিষ্ট ভান্ডার ধ্বংস করার জন্য বর্ধিত সময়সীমা পায় । [২০] ভারত ২০০৯ সালের মে মাসে জাতিসংঘকে জানায় যে আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলন মেনে তাদের সমস্ত রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করে দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও আলবেনিয়া পর তৃতীয় দেশ হিসাবে ভারত এই কাজটি করে । [২২][২৩] এই বিষয়টি আবার জাতিসংঘের পরিদর্শকগণ দ্বারা যাচাই করা হয়েছিল।
ভারতে উন্নত বাণিজ্যিক রাসায়নিক শিল্প আছে এবং অভ্যন্তরীন ব্যবহারের জন্য প্রচুর রাসায়নিক উৎপন্ন করা হয়। ভারতে যে একটি বিশাল অসামরিক রাসায়নিক ও ঔষধ শিল্প রয়েছে তা সর্বস্বীকৃত এবং তারা বাৎসরিকভাবে বড় পরিমান রাসায়নিক পদার্থ গ্রেট ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানে রপ্তানি করে। [২৪]
১৯৪৬ সালের ২৬ শে জুন, জওহরলাল নেহেরু স্বাধীন ভারতের প্রথম হবু প্রধানমন্ত্রী, ঘোষণা করেন :
পৃথিবী যতদিন সংগঠিত থাকবে যা এখনো আছে, প্রতিটি দেশকে তার সুরক্ষার জন্য সর্বাধুনিক যন্ত্র তৈরি এবং ব্যবহার করতে হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে ভারতও তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিকাশ করবে এবং আমি আশা করি ভারতীয় বিজ্ঞানীরা গঠনমূলক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবেন। কিন্তু ভারত যদি হুমকির সম্মুখীন হয়, তবে অবশ্যই ভারত যেকোনো উপায়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করবে।
ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির সূচনা হয় ১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে এবং এর তিন পর্যায় যুক্ত প্রযুক্তির সূচনা হয় হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার হাত ধরে যখন তিনি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠা করেন। [২৫][২৬] ১৯৬২ সালের অক্টোবরের চীনের সাথে হিমালয়ের সীমান্ত যুদ্ধে ভারতের কিছু ভূখণ্ড হাতছাড়া হয়ে হয়ে গেলে চীনের আগ্রাসন দমনে জন্য দিল্লি সরকার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীতে উদ্ভুদ্ধ হয়। [২৭] ইন্দিরা গান্ধীর অধীনে ১৯৭৪ সালে ভারতের প্রথম পারমাণবিক যন্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল (কোড নাম : "স্মাইলিং বুদ্ধ ") যা " শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিস্ফোরণ " নামে পরিচিত। কানাডা সরবরাহকৃত সিআইআরএস চুল্লিতে উৎপাদিত প্লুটনিয়াম এই পরীক্ষাটিতে ব্যবহার করা হয় এবং এর ফলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয় যে শান্তির উদ্দেশ্যে সরবরাহ করা পারমাণবিক প্রযুক্তি অস্ত্রের তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ঘটনা নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গোষ্ঠীর কাজ কে অনুপ্রাণিত করে। [২৮] ভারত ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির অধীনে আরও পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় (কোড নাম " অপারেশন শক্তি ")। ১৯৯৮ সালে, এইসব পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান ভারতকে দেওয়া সমস্ত সুবিধার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যা পরবর্তীকালে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। [২৯]
আর. চিদম্বরম যিনি ভারতের পোখরান -২ পারমাণবিক পরীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রেসক্লাবের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন , ভারত নিউট্রন বোমা উৎপাদন করতে সক্ষম। [৩০]
ভারত পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রথমে-ব্যবহার-নয় নীতি ঘোষণা করেছে এবং "নির্ভরযোগ্য সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধকতার" উপর ভিত্তি করে একটি পরমাণু মতবাদ বিকাশের প্রক্রিয়াও চলছে । ১৯৯৯সালের আগস্টে , ভারত সরকার এই মতবাদের একটি খসড়া প্রকাশ করে [৩১] যাতে বলা হয় পারমাণবিক অস্ত্রগুলি কেবলমাত্র প্রতিরক্ষার জন্য এবং ভারত কেবল "প্রতিশোধের" নীতি অনুসরণ করবে। দস্তাবেজটি আরো বলে যে ভারত "প্রথম থেকে পারমাণবিক আক্রমণ করবে না , কিন্তু শাস্তিমূলক প্রতিশোধের সাথে প্রত্যুত্তর দেবে " এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্তগুলি প্রধানমন্ত্রী বা তার "মনোনীত উত্তরাধিকারী (গণ)" নেবেন। [৩১] এনআরডিসি অনুসারে ২০০১-২০০২ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সত্ত্বেও, ভারত তার পারমাণবিক প্রথমে ব্যবহার নয় নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।
ভারতের কৌশলগত পারমাণবিক কমান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৩ সালে বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তা, এয়ার মার্শাল আস্তানা এবং কমান্ডার-ইন-চীফ হিসাবে নিয়ে গঠিত হয়েছিল । এসএনসি ভারতের সমস্ত পরমাণু অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পদের মজুতকারক এবং ভারতের পারমাণবিক নীতির সকল দিক সম্পাদনের জন্যও দায়বদ্ধ । তবে, সিসিএস ( নিরাপত্তা সম্পর্কিত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি ) অসামরিকভাবে নেতৃত্ব দেয় এবং কোনো হামলার প্রতিরোধ হিসাবে পারমাণবিক হামলা করার জন্য অনুমোদিত একমাত্র সংস্থা । ২১শে অক্টোবর ২০১০ তারিখে নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গোল্ডেন জুবিলি উদযাপনের উপলক্ষে বক্তৃতায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন " প্রথমে ব্যবহার নয় " নীতি থেকে "অ-পারমাণবিক দেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যবহার নয় " -এর থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেন । মেনন বলেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের সংস্কৃতি সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধকতার উপর জোর দেয় । [৩২][৩৩] জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক শ্যাম শরান ২০১৩ সালের এপ্রিলে বলেন , ভারতের উপর যেমন আকারেরই পারমাণবিক আক্রমণই হোক না কেন , ক্ষুদ্রতর সংস্করণ হোক কিংবা বড় ক্ষেপণাস্ত্র , ভারত ব্যাপক অগ্রহণযোগ্য ক্ষতি দমন করার জন্য পুরো দমে প্রতিশোধ নেবে । [৩৪]
২০০৩ সালে ভূমি ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের পূর্বে , পারমাণবিক অস্ত্র সহিত ফাইটার বিমানই ভারতের একমাত্র পারমাণবিক হামলা করার সামর্থ্য যুক্ত অস্ত্র ছিল । [৩৫]
তাদের ভূমি-আক্রমণের ভূমিকা ছাড়াও, মনে করা হয় যে ড্যাসল্ট মিরাজ ২০০০ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর সেপেকাট (SEPECAT) জাগুয়ার আনুসাঙ্গিক পারমাণবিক হামলা করতে সক্ষম। [৩৬] সেপেকাট (SEPECAT) জাগুয়ারকে পারমাণবিক অস্ত্র বহন ও হামলাতে সক্ষম হওয়ার জন্য তৈরী হয়েছিল এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী জেটটিকে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহের জন্যও সক্ষম হিসাবে চিহ্নিত করেছে। [৩৭] সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিবহনযোগ্য বোমা হল যেগুলি অবাধে পতনশীল এবং অপরিচালিত । [৩৮]
চারটি স্কোয়াড্রেন যুক্ত তিনটি বিমান ঘাঁটি মিরাজ ২০০০এইচ (প্রায় ১৬টি বিমান এবং ১৬ টি বোমা সম্পন্ন , প্রথম ও সপ্তম স্কোয়াড্রেন মহারাজপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন) এবং জাগুয়ার আই.এস / আই.বি (প্রায় ৩২টি বিমান এবং ৩২টি বোমা , একটি করে স্কোয়াড্রেন আম্বালা এয়ার ফোর্স স্টেশন এবং গোরখপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে ) , এই বিমানগুলি মনে করা হয় পাকিস্তান ও চীনে আক্রমনের জন্যে নির্ধারিত। [৩৫]
আনুমানিক ৬৮টি পারমাণবিক ওয়ারহেড [৩৫] যেগুলি ভূমি ভিত্তিক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে আছে। এগুলি তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বিশিষ্ঠ যথা অগ্নি-I , অগ্নি-II , অগ্নি -III এবং সেনাবাহিনীর পৃথ্বী-I , এগুলি ছাড়াও অগ্নির অন্যান্য রূপ যেমন অগ্নি-IV এবং অগ্নি-V বর্তমনে যেগুলি ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। অগ্নি-IV সেনাবাহিনীর অংশ এছাড়া অগ্নি-V ২০১৮ এর মধ্যে ৫ বার সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। অগ্নি-IV ও অগ্নি-V যথাক্রমে প্রায় ৪০০০কিমি এবং ৫৫০০-৬০০০কিমি পর্যন্ত পরিসর যুক্ত। অগ্নি-VI এখনো পরীক্ষাধীন এবং প্রায় ৮০০০-১২০০০ কিমি পরিসর যুক্ত এবং বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন এম.আই.আর.ভি ও এম.এ.আর.ভি সম্পন্ন। [৩৯][৪০]
নাম | প্রকার | পাল্লা (কিমি) | অবস্থা |
---|---|---|---|
পৃথ্বী-আমি | সংক্ষিপ্ত পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ১৫০ | মোতায়িত |
পৃথ্বী -২ | সংক্ষিপ্ত পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ২৫০-৩৫০ | |
পৃথ্বী-III | সংক্ষিপ্ত পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৩৫০-৬০০ | |
অগ্নি-I | সংক্ষিপ্ত / মাঝারি পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৭০০ | |
অগ্নি -২ | মাঝারি পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ২০০০-৩০০০ | |
অগ্নি-III | মধ্যবর্তী পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৩৫০০-৫০০০ | |
অগ্নি-IV | মধ্যবর্তী পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৪০০০ | সফলভাবে পরীক্ষিত |
অগ্নি-V | মধ্যবর্তী / ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৫০০০-৮০০০ | |
অগ্নি-VI | ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্ভাব্য MIRV | ৮০০০-১২০০০ | পরীক্ষাধীন |
সূর্য | ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল ও এমআইআরভি | ১২০০০-১৬০০০ | অনিশ্চিত |
ভারতীয় নৌবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য দুটি সমুদ্র ভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থা তৈরী করেছে, যা পারমাণবিক ত্রিভুজের ভারতীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে, এটি ২০১৫ সালে স্থাপন করা হয়েছে। [৪১][৪২]
প্রথমটি হল প্রায় ৬০০০ টন (পারমাণবিক শক্তি চালিত) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত আরিহান্ত শ্রেণীর সাবমেরিন। প্রথম যান হিসাবে আইএনএস অরিহান্ত চালু করা হয়েছে , সচল ঘোষণার আগে এর উপর প্রথমে পরীক্ষা চালানো হবে, এটিই হলো ভারত নির্মিত প্রথম পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন। [৪৩][৪৪] সি.আই.এ এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী রাশিয়া ভারতকে এটি তৈরী করতে প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করেছিল। [৪৫][৪৬] এই সাবমেরিনটি ১২টি পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত সাগরিকা (কে - ১৫) ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সজ্জিত হবে। সাগরিকা হলো সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য ৭০০কিমি পরিব্যাপ্তি যুক্ত ব্যালিস্টিক মিসাইল , যা ৮.৫ মিটার দীর্ঘ , ৭ টন ওজন বিশিষ্ট এবং ৫০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে পারে। [৪৭] সাগরিকা কে ইতিমধ্যে জলের নিচের ছোট জাহাজ থেকে ক্ষেপণ পরীক্ষা করা হয়েছে , কিন্তু এবার ডি.আর.ডি.ও সাবমেরিন থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সম্পুর্ন্ন পরীক্ষা করতে চাই , এবং একাজে রাশিয়ার নৌসেনা তাদের সাহায্যে করতে পারে। [৪৮] এছাড়া তারা অগ্নি-III এর ভিন্ন সংস্করণ , অগ্নি-III এস.এল -এর উপরেও কাজ করছে যা সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্র থেকে খবর অনুযায়ী এটির প্রায় ৩৫০০কিমি পরিব্যাপ্তি হবে। [৪৯] এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কম শক্তি যুক্ত সাগরিকা ক্ষেপণাস্ত্রের পরিপূরক হিসাবে কাজ করবে। যদিও আরিহান্ত শ্রেণীর সাবমেরিনগুলি সর্বোচ্চ ৪টি অগ্নি-III এস.এল বহন করতে পারবে।
দ্বিতীয়টি একটি জাহাজ-চালিত সিস্টেম যা কম পরিসর যুক্ত জাহাজে থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ধনুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ( পৃথ্বী ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রূপ) এর জন্য তৈরী । এর প্রায় ৩০০কিমি পরিসীমা আছে। ২০০২ সালে ক্ষেপণাস্ত্রটি আইএনএস সুভদ্রা ( সুকন্যা শ্রেণীর নজরদারি যান ) থেকে পরীক্ষা হিসাবে ছাড়া হয়েছিল। পরীক্ষার জন্য আইএনএস সুভদ্রার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্ৰটি হেলিকপ্টারের জন্য বিশেষ পাটাতন থেকে ছাড়া হয় । ফলাফল আংশিকভাবে সফল বিবেচিত হয়। [৫০] ২০০৪ সালে, আবার আইএনএস সুভদ্রা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয় এবং এইবার ফলাফল সফল হয় বলে জানানো করা হয়েছে। [৫১] ডিসেম্বর ২০০৫ সালে মিসাইলটি আবার পরীক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু এবার ধ্বংসকারী আইএনএস রাজপুত থেকে । পরীক্ষাটি সফলভাবে ভূমি ভিত্তিক লক্ষ্যকে আঘাত করে। [৫২]
নাম | প্রকার | পাল্লা (কিমি) | অবস্থা |
---|---|---|---|
ধনুশ | সংক্ষিপ্ত পরিসীমা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৩৫০ | পরিচালনাগত [৫৩] |
সাগরিকা (কে -১৫) | সাবমেরিন-চালু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৭০০ | পরিচালনাগত |
কে-৪ | সাবমেরিন-চালু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৩৫০০ | পরীক্ষা করা হয়েছে [৫৪] |
কে-৫ | সাবমেরিন-চালু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র | ৫০০০ | পরীক্ষাধীন [৫৫] |
ভারত তাদের প্রথম সফল পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ১৮ মে ১৯৭৪ সালে। এবং ১১ মে ১৯৯৮, ভারত ঘোষণা করে যে তারা তার অপারেশন শক্তি পরীক্ষায় একটি তাপ-পারমাণবিক অস্ত্র বা থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে [ "শক্তি-১", বিশেষ করে হিন্দিতে(সংস্কৃত) 'শক্তি' শব্দের অর্থ "বিশাল ক্ষমতার অধিকারী"]।[৫৬] [৫৭]সমর মুবারকমান্দ, একজন পাকিস্তানি পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানী, জোর দিয়ে বলেছিলেন যে যদি শক্তি-১ একটি থার্মোনিউক্লিয়ার পরীক্ষা হয় তবে ডিভাইসটি আগুন ফলাতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে, লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির প্রাক্তন ডিরেক্টর হ্যারল্ড এম. অ্যাগনিউ বলেছেন যে থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা বা হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ সম্পর্কে ভারতের দাবী অনেক বিশ্বাসযোগ্য।[৫৮][৫৯] ভারত জানিয়েছিল তাদের থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইসটি ৪৫ কিলোটন (১৯০ TJ) নিয়ন্ত্রিত ফলনে পরীক্ষা করা হয়েছিল কারণ সেই গ্রামের বাড়িগুলি যাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য খেতোলাই গ্রামের কাছাকাছি প্রায় ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) দূরে মাটির নীচে এই থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিস্ফোরনটি ঘটানো হয়েছিল।[৬০] আরেকটি উদ্ধৃত কারণ হল যে ৪৫ কিলোটনের বেশি ফলন থেকে মুক্তি পাওয়া তেজস্ক্রিয়তা সম্পূর্ণরূপে অন্তর্ভুক্ত নাও হতে পারে।[৬০] পোখরান-২ পরীক্ষার পর, ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজাগোপাল চিদাম্বরম বলেছিলেন যে ভারতের কাছে ইচ্ছামতো যে কোনও ক্যাটাগরির বা ফলনের থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে।[৬১]
ভারতের হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার ফল ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অত্যন্ত বিতর্ক রয়ে গেছে।[৬২] রাজনীতিকরণের প্রশ্ন এবং ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিরোধ বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে।[৬৩]
আগস্ট ২০০৯-এ একটি সাক্ষাৎকারে, ১৯৯৮ সালের পরীক্ষার সাইট প্রস্তুতির পরিচালক, কে. সানথানাম দাবি করেছিলেন যে থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র(তাপ-পারমাণবিক অস্ত্র) বিস্ফোরণের ফলন প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল এবং তাই ভারতকে CTBT স্বাক্ষর করার জন্য তাড়াহুড়া করা উচিত নয়। পরীক্ষার সাথে জড়িত অন্যান্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কে. সানথানামের দাবির বিরোধিতা করেছেন,[৬৪] যুক্তি দিয়েছেন যে সানথানামের দাবিগুলি অবৈজ্ঞানিক।[৬৫] "ব্রিটিশ সিসমোলজিস্ট" রজার ক্লার্ক যুক্তি দিয়েছিলেন যে ৬০ কিলোটন TNT (২৫০ TJ) পর্যন্ত সম্মিলিত ফলনের যা ফলাফল তা ভারতীয় ঘোষিত মোট ৫৬ কিলোটন TNT (২৩০ TJ) এর সাথে একদম সামঞ্জস্যপূর্ণ।[৬৬] মার্কিন সিসমোলজিস্ট জ্যাক এভারনডেন যুক্তি দিয়েছেন যে ফলনের সঠিক অনুমানের জন্য, একজনকে পরীক্ষার স্থানগুলির মধ্যে ভূতাত্ত্বিক পার্থক্যের জন্য সঠিকভাবে হিসাব করা উচিত।[৬৭]
তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এটা নিশ্চিত করেছে যে তারা শক্তি-১ তাপ-পারমাণবিক পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রায় ২০০ কিলোটন (৮৪০ TJ) বা এরো বেশি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরি বা ফলনের তাপ-পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। বিভিন্ন সূত্রে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে এটা ধারণা করা হয়েছে যে ভারত ভবিষ্যতে এর থেকেও বিশালাকার কোন তাপ-পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষণ করতে যাচ্ছে।[৬৮]
ভারত এন.পি.টি বা ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি তে স্বাক্ষরকারী নয় কিন্তু ১৯৬৩ সালের অক্টোবরে আংশিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে রাজি হয়েছে। ভারত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য , এবং তাদের ১৭টির মধ্যে চারটি পারমাণবিক চুল্লি আই.এ.ই.এ -এর সুরক্ষাধীন।১৯৯৭ -এ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এর এন.পি.টি এর বিরুদ্ধে ভোটদান করে ভারত এটিতে সম্মতি দানের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে [৬৯] স্বাক্ষরকারী নয় এমন দেশকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তিতে রাজি হতে বলা হয়।[৭০] এছাড়াও ভারত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এর বিপক্ষে ভোটদান করে (যা ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গৃহীত হয়) । এই চুক্তিতে সময়-আবদ্ধ কাঠামোর মধ্যে সার্বজনীন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এর শর্তের উল্লেখ না থাকায় ভারত আপত্তি জানায়। ভারত পরীক্ষাগারে পারমাণবিক সিমুলেশনেরও বন্ধের দাবি জানায় এবং তারা ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি -এর আর্টিকেল XIV এরও প্রতিবাদ জানায় যাতে ভারতের ফোর্সে প্রবেশের জন্য অনুমতিদান প্রয়োজনীয় ছিল যা একটি সার্বভৌম দেশের চুক্তিতে মত দান করা বা না করার অধিকারের বিরুদ্ধে ছিল। ১৯৯৭ এর ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে , ভারতের বিদেশ মন্ত্রী আই.কে গুজরাল চুক্তির বিপক্ষে ভারতের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেন, তিলি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংসের ব্যাপার ভারত সুনজরে দেখে কিন্তু এই চুক্তি সর্বাঙ্গীণ না হয়ে শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ধরনের পরীক্ষাতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
২০০৮ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষার চুক্তি করে , যার ফলে তারা ধীরে ধীরে ভারতের অসামরিক পরমাণু চুল্লির প্রবেশাধিকার পাবে। [৭১] ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে, পারমাণবিক সরবরাহকারী গোষ্ঠী ভারতকে অসামরিক পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানী আমদানি করার অনুমতি প্রদান করে। [৭২] এটি বাস্তবায়নের ফলে ভারত পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত একমাত্র দেশে পরিণত হয় যারা এন.পি.টি এর অন্তর্ভুক্ত নয় কিন্তু বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক বাণিজ্য চালানোর অনুমতি আছে । [৭৩][৭৪]
পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী এর মকুবের পর থেকে ভারত ফ্রান্স,[৭৫] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,[৭৬] মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া,[৭৭] কাজাখস্তান [৭৮] এবং অস্ট্রেলিয়া [৭৯] সহ বিভিন্ন দেশের সাথে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে এবং একটি ধরনের চুক্তি কানাডা ও ব্রিটেনের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে। [৭৪][৮০][৮১]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); |শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
[…] These include a modest arsenal, nuclear-capable aircraft and missiles, both in fixed underground silos as well as […] mounted on mobile rail and road-based platforms. These land-based missiles include both Agni-II (1,500 km) as well as Agni-III (2,500 km) missiles. The range and accuracy of further versions – for example, Agni V (5,000 km), which was tested successfully only recently – will improve with the acquisition of further technological capability and experience