দেশ | বেলারুশ |
---|---|
বাসস্থান | মন্টে কার্লো, মোনাকো |
জন্ম | ভিক্টোরিয়া ফিওদোরোভনা আজারেঙ্কা ৩১ জুলাই ১৯৮৯ মিনস্ক, বেলারুশীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন |
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) |
পেশাদারিত্ব অর্জন | ২০০৩ |
খেলার ধরন | ডানহাতি (উভয় হাতেই ব্যাকহ্যান্ড) |
পুরস্কার | $২২,৪০৩,৪৬২ |
একক | |
পরিসংখ্যান | ৩৯০-১৩৭ (৭৪%) |
শিরোপা | ১৭ ডব্লিউটিএ, ১ আইটিএফ[১] |
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ১নং (৩০ জানুয়ারি, ২০১২) |
বর্তমান র্যাঙ্কিং | ২নং (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩)[২] |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল | |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | জ (২০১২, ২০১৩) |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | সে.ফ. (২০১৩) |
উইম্বলডন | সে.ফ. (২০১১, ২০১২) |
ইউএস ওপেন | ফ (২০১২, ২০১৩) |
অন্যান্য প্রতিযোগিতা | |
ট্যুর ফাইনাল | ফ (২০১১) |
অলিম্পিক গেমস | ব্রোঞ্জপদক (২০১২) |
দ্বৈত | |
পরিসংখ্যান | ১৩৫-৫১ |
শিরোপা | ৬ ডব্লিউটিএ, ৩ আইটিএফ |
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ৭নং (৭ জুলাই, ২০০৮) |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল | |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | ফ (২০০৮, ২০১১) |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | ফ (২০০৯) |
উইম্বলডন | QF (২০০৮) |
ইউএস ওপেন | ২রা. (২০০৯) |
মিশ্র দ্বৈত | |
শিরোপা | ৩ |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম মিশ্র দ্বৈতের ফলাফল | |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | ফ (২০০৭) |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | জ (২০০৮) |
উইম্বলডন | ৩রা. (২০১২) |
ইউএস ওপেন | জ (২০০৭) |
অন্যান্য মিশ্র দ্বৈত প্রতিযোগিতা | |
অলিম্পিক গেমস | স্বর্ণপদক (২০১২) |
সর্বশেষ হালনাগাদ: ২৯ জুলাই, ২০১৩ |
অলিম্পিক পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
বেলারুশ-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
টেনিস | ||
২০১২ লন্ডন | মিশ্র দ্বৈত | |
২০১২ লন্ডন | একক |
ভিক্টোরিয়া ফিওদোরোভনা আজারেঙ্কা (বেলারুশীয়: Вікторыя Фёдараўна Азаранка [vʲikˈtɔrɨja aˈzaranka], রুশ: Викто́рия Фёдоровна Аза́ренко; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯৮৯) বেলারুশ সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বিখ্যাত পেশাদার প্রমিলা টেনিস খেলোয়াড়। বিশ্বের সাবেক ১নং খেলোয়াড় আজারেঙ্কার অবস্থান ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখ মোতাবেক ২য়। লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের টেনিস এককে ব্রোঞ্জপদক লাভ করলেও ম্যাক্স মির্নিকে সাথে করে মিশ্র দ্বৈতে সোনার পদক লাভ করেছিলেন তিনি।[৩][৪][৫]
বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের মিনস্কে জন্মগ্রহণকারী আজারেঙ্কা ১৫ বছর বয়সে ট্রেনে চড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের স্কটসড্যালে চলে যান। আজারেঙ্কা’র মায়ের বন্ধু এবং জাতীয় হকি লীগের গোলি নিকোলাই খাবিবুলিন ও তার স্ত্রী তাকে সহায়তা করেন।[৬] ২০১২ সালে তিনি মোনাকো’র মন্টে কার্লোতে স্থানান্তরিত হন ও[৭] আগস্ট, ২০১৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি নতুন বাড়ি কেনেন আজারেঙ্কা।[৮]
বেলারুশীয়, রুশ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্ত আজারেঙ্কা ফরাসী ও ইউক্রেনীয় ভাষায়ও কথা বলতে পারেন। ২০১১ সালে পড়াশোনায় মনোনিবেশের লক্ষ্যে সংক্ষিপ্তকালের জন্য টেনিস ক্রীড়া থেকে দূরে চলে যান। কিন্তু দাদীর সাথে কথা বলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দাদীর কাছ থেকে এ উদ্দীপনা পেয়ে ক্রীড়ায় ধারাবাহিক উন্নয়ন ঘটেছে বলে বিশ্বাস করেন আজারেঙ্কা।[৯]
নভেম্বর, ২০০৩ সালে ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত আইটিএফ জুনিয়র ট্যুরে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক ঘটে আজারেঙ্কার। স্বদেশী ওলগা গোভোর্তসোভা’কে সাথে নিয়ে দ্বৈতে শিরোপা জেতেন তিনি।[১০] উইম্বলডনে বালিকা বিভাগের প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেও আনা ইভানোভিচের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন। ২০০৪ সালেও আইটিএফ প্রতিযোগিতাসমূহে অংশ নেন। মৌসুম শেষে ডব্লিউটিএ’র এককে তার র্যাঙ্ক দাঁড়ায় ৫০৮।[১১]
২০০৫ সালে তার সফলতম বর্ষ অতিবাহিত হয়। জুনিয়রদের অস্ট্রেলিয়ান[১২] ও ইউএস চ্যাম্পিয়নশীপে বিজয়ী হন।[১৩] বছর শেষে জুনিয়র বিভাগে বিশ্বের ১নং খেলোয়াড়সহ আইটিএফ কর্তৃক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হন। এরফলে তিনি প্রথম বেলারুশীয় হিসেবে এ সম্মাননা অর্জন করেন।[১৪][১৫]
জুনিয়র স্ল্যামের ফলাফল:
ম্যাক্স মির্নিকে সাথে নিয়ে ২০০৭ সালের ইউএস ওপেনের মিশ্র দ্বৈতে শিরোপা লাভ করেন। পরের বছর বব ব্রায়ানকে সঙ্গী করে ২০০৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের মিশ্র দ্বৈতেও সফলতা লাভ করেন। তিনি দুইবার - ২০১২ ও ২০১৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এককে বিজয়ী হন তিনি।[১৬] এরফলে তিনি প্রথম বেলারুশীয় খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককে বিজয়ী হয়েছেন।