ভীমতাল | |
---|---|
শহরতলি | |
![]() ভীমতালের দৃশ্য | |
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৯°২১′০০″ উত্তর ৭৯°৩৪′০০″ পূর্ব / ২৯.৩৫° উত্তর ৭৯.৫৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
জেলা | নৈনিতাল |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৭,৭২২ |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারি | হিন্দি, কুমায়ুনী |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ২৬৩১৩৬ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে-০৪ |
ভীমতাল ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতাল জেলার একটি শহর এবং নগর পালিকা। দেবেন্দ্র চুনোতিয়া ভীমতালের চেয়ারম্যান। এটি সমুদ্র তল থেকে ১৩৭০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং নৈনিতাল থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভীমতালের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল ভীমতাল হ্রদ,যার কেন্দ্রস্থলে একটি দ্বীপ রয়েছে। পর্যটন ছাড়াও ভীমতাল এখন ছোটখাট জেলা সদর হিসেবেও গুরুত্ব পেয়েছে, কারণ, জেলা প্রশাসনের অফিসগুলির বেশিরভাগই, জেলা প্রশাসনিক অফিসগুলির জন্য সদ্য নির্মিত ভবন কমপ্লেক্স, বিকাশ ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। প্যারাগ্লাইডিং, নদী পারাপার এবং নৌচালনা, এমন কিছু দুঃসাহসিক ক্রীড়ার ব্যবস্থা এখানে রয়েছে, যা পুরো ভারত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ ছাড়াও এখানে বিখ্যাত ফ্রেড্রিক স্মিটেক প্রজাপতি জাদুঘর এবং পদ্মশ্রী যশোধর ম্যাথপালের শিল্পকলা ও হস্তশিল্প গ্যালারী রয়েছে। হ্রদের মাঝে একটি প্রাকৃতিক দ্বীপ রয়েছে যেখানে একটি অনন্য মৎস্যাধার রয়েছে। আশেপাশের কয়েকটি প্রাকৃতিক হ্রদ হল - নউকুচিয়াতাল, সাত তাল, নল দময়ন্তী তাল।
ভীমতালের আবহাওয়া গ্রীষ্মকালে মনোরম এবং স্বাস্থ্যকর থাকে তবে শীতের সময় এখানে খুব শীত পড়ে। গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে শুরু করে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়; শীতের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত ওঠে।
ভীমতাল একটি প্রাচীন জায়গা, এর নামকরণ মহাভারতের ভীমের নামানুসারে করা হয়েছে। ভীমেশ্বর মহাদেব মন্দির হল ভীমতাল হ্রদের তীরে একটি পুরাতন শিব মন্দির। বিশ্বাস করা হয় যে পাণ্ডবদের নির্বাসনের (বনবাসের) সময় ভীম এই স্থানটিতে এসেছিলেন। বর্তমান মন্দিরটি কুমায়ুন চন্দ রাজবংশের রাজা বাজ বাহাদুর (১৬৩৮- ৭৮ খ্রিস্টাব্দ) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।[১] ব্রিটিশ গ্রন্থাগার .৬)।
ভীমতাল শহরটি নিকটবর্তী নৈনিতাল শহর থেকেও পুরান, কারণ নৈনিতাল শহরটি মাত্র ১৫০-১৬০ বছর আগে তৈরী হয়েছে। মহান নেতা এম পাঠক, এই অঞ্চলের শাসক, এখানকার পুরানো পায়চলা রাস্তাটি তৈরী করেন। রাস্তাটি এখনও ব্যবহার করা হয়। এই রাস্তাটি নিকটবর্তী কাঠগোদামসহ সমস্ত কুমায়ুন অঞ্চল এবং এমনকি নেপাল এবং তিব্বতের সাথেও সংযুক্ত রয়েছে। এটি বিখ্যাত প্রাচীন রেশম পথের অংশ হতে পারে।
ভারতের আদমশুমারি ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ],[২] ভীমতালের জনসংখ্যা ছিল ৭৭২২। ২০০১ সালের এর তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩১.৪৬%। যৌন অনুপাত ৮৮৫। ভীমতালের গড় সাক্ষরতার হার ৯৩.৬৭%, জাতীয় গড় ৭৪.০৪% এর চেয়ে বেশি; পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৯৫.২৮%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৯১.৭৯%। এই শহরের জনসংখ্যার ১১%, ছয় বছর বা তার কম বয়সী।