মকবুল সালমান | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ভাইকম, কোত্তায়াম, কেরালা | ২ জুন ১৯৮৫
মাতৃশিক্ষায়তন | অক্সফোর্ড কলেজ, বেঙ্গালুরু |
পেশা | চিত্রাভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০১২ – বর্তমান |
পিতা-মাতা | পি. আই. ইব্রাহিম কুট্টি, সামিনা |
আত্মীয় | মাম্মূত্তী (চাচা) দালকার সালমান (চাচাত ভাই) |
মকবুল সালমান হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি মূলত মালায়ালম সিনেমাতে কাজ করে থাকেন। তিনি হলেন বিখ্যাত মালায়ালাম অভিনেতা মাম্মূত্তী এর ভাতিজা এবং টেলিভিশন অভিনেতা ইব্রাহিম কুট্টির পুত্র। তিনি ২০১২ সালের এ,একে, সজনের পরিচালিত সিনেমা অসিরাভিতু ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যেম চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। পরবর্তীতে অনিশ উপাসনার পরিচালিত ২০১২ সালের মালায়ালাম সিনেমা ম্যাটিনী চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।
মকবুল সালমান কত্তায়াম কেরালায় ২ জুন ১৯৮৮ তারিখে টেলিভিশন অভিনেতা পি,আই, ইব্রাহিম কুট্টি এবং সামিনা ইব্রাহিম কুট্টির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন বিখ্যাত মালায়ালম চলচ্চিত্র তারকা মাম্মূত্তী এর ভাতিজা, মকবুলের স্কুল জীবন থেকে অভিনয় প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি বেঙ্গালুরু গবেষণায় মনোনিবেশ এবং অক্সফোর্ড কলেজ থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
মকবুল সালমানের এর চাচাত ভাই দালকার সালমান হলেন মালায়ালম চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সফল সমসাময়িক অভিনেতাদের মধ্যে জনপ্রিয় একজন। সালমানের তানিয়া ফাতিমা নামে একটি বোন আছে।
তার স্নাতকোত্তর শেষ করার পর, মকবুল গুরুত্বের সাথে অভিনয় করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি তার চাচা বিখ্যাত অভিনেতা মাম্মূত্তী এর পরিচয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করতে চাননি।[১] তাই অন্য কোন অভিনেতা মত, তিনি দর্শকদের মন জয় করার জন্য পর্দায় উপস্থিত হন। তিনি রঞ্জন প্রমোদ এর একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও পরে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।[২] এরপর তিনি পরিচালক ফজিলের লিভিং টুগেদার ছবির জন্য নতুন মুখ খুজছিলেন; আর এতেই সালমান সুযোগ পান এই ছবিতে অভিনয়ের করার জন্য কিন্তু দুর্ভাজনকভাবে পরবর্তীতে উক্ত চরিত্রটি বাদ দেয়া হয়।[২] তিনি প্রচুর সংগ্রাম করার পরে অবশেষে এ,একে, সজনের একটি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। এই প্রকল্পের কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সাজান এই স্ক্রিপ্ট বাদ দিয়ে আবার মকবুলকে নিয়ে অসুরাবিধু ছবিতে কোন দ্বিধা ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ করেন। উক্ত ছবিতে তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন; আর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন আসিফ আলী।[১] ছবিটি তুলনামুলকভাবে ব্যবসাসফল না হলেও মকবুলের অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিল।[৩]
পরবর্তীতে "ম্যাটিনী" ছবিতে ফটোগ্রাফার অনিস উপসানা তাকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেন যাতে করে পরিচালক হিসেবে অনিস আত্মপ্রকাশ করেন। ছবিটি প্রযোজনা করেন এআাইপিএল এন্টারটেইনমেন্ট যেটি এর আগে উক্ত বছরে সফলভাবে মকবুল এর চাচাত ভাই দালকার সালমান এর ছবি সেকেন্ড শো নির্মাণ করা হয়েছিল।[৪] ম্যাটিনী শো একইভাবে সমালোচক এবং শ্রোতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। মকবুল তার অভিনয়ের জন্য ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জিতেছেন বলে সমালোচক রেডিফ বলেন, "মকবুল হলেন পরবর্তী প্রজন্মের এমন একজন তারকা যিনি অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের যে কোন চরিত্র সাবলিলভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।"[৫]
এরপর তিনি করিমের পলিটিকাল থ্রিলার ছবি পারায়ান বাকি ভিসাথু এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হন; যেটি প্রাথমিকভাবে অগ্নি নাকসাতরাম পরিচালনা করেন যাতে মল্লিকাকে প্রধান নায়িকা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।[৬] তার আসন্ন চলচ্চিত্রের মধ্য রয়েছে দেবুতান জোশ পরিচালিত দাস থাকির।[৭] এবং লাভ স্টোরি সিনেমা সোলডার পরিচালনা করেছেন প্রশান্ত মাম্বুলী।[৮]
বছর | নাম | পরিচালক | চরিত্র | সহ-অভিনেতা/অভিনেত্রী | প্রতিষ্ঠান |
---|---|---|---|---|---|
২০১২ | অসুরাবিথু | এ. কে. সজন | মিসাই | আসিফ আলী | |
২০১২ | ম্যাটিনী | অনিশ উপসানা | নাজিব | মাইথিলী | এআইপিএল এন্টারটেইন্টমেন্ট |
২০১৩ | লাভ স্টোরী | প্রশান্ত মাম্বুরী | অভি | সয়াতি | |
২০১৩ | হ্যাংওভার | শ্রীজিত সুকুমারান | অভি | অর্চনা গুপ্তা | এআইপিএল এন্টারটেইন্টমেন্ট |
২০১৩ | আয়াল এনজান আলা | মহেশ | রফি | ||
২০১৩ | রিচ এন ফেমাস | অনুপ নায়ার | ডন | সান্জনা | লুকসান ক্রিয়েশন |
২০১৩ | ওরু করিন পাদাম | সুজিত এস. নায়ার | |||
২০১৩ | কেরালা টুডে | কপিল চাজুর | ইতি আচার্য | ব্রহ্মা ক্রিয়েশন | |
লং সাইট | লাভ এন্ড লাভ অনলি |